17.9 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪

ট্রল রাজ্যের সম্রাট

ট্রল রাজ্যের সম্রাট
হিরো আলম

হিরো আলম আসলে ট্রল রাজ্যের সম্রাট। হিরো আলম যা কিছু করেন তার সব কিছু নিয়েই অসংখ্য ট্রল হয়।
কথা হচ্ছে, একজন মানুষকে নিয়ে প্রতিনিয়ত ট্রল হয় কেন? কি এমন কান্ড করেন তিনি যে তাকে নিয়ে মানুষ ট্রল করে?
এই সব প্রশ্নের উত্তর খুজলেই তো আপনি সহজেই তার উত্তর পেয়ে যাচ্ছেন। উত্তরগুলি পাওয়া তো কঠিন কিছু নয়।

মানুষের সুস্থ্য স্বাভাবিক ধারার বিপরীতে কেউ যখন অসুস্থ্য, অস্বাভাবিক এবং উদ্ভট আচরন করে তখন খুব স্বাভাবিক কারনেই তাকে নিয়ে মানুষ ট্রল করে।
যেমন, এটিএন বাংলার চেয়ারম্যানকে নিয়ে সোস্যাল মিডিয়াতে অসংখ্য, অগুনিত ট্রল দেখা যায়। এর কারন তো একই। তিনি মানুষের সুস্থ্য স্বাভাবিক রুচিবোধের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বেসুরো গলায় একটি স্বনামধন্য টিভি চ্যানেলে এমন সব গান করেন যা তার বয়সের সংগে যায় না।গান গাওয়ার সময় এমন সব অঙ্গভঙ্গি করেন যা শুধু উদ্ভটই নয়, দৃষ্টিকটুও। প্রতি ঈদের সময় তার গান শুনে নয় বরং তার এই সব ভাড়ামো দেখে মানুষ আনন্দ পায়।

- Advertisement -

সেফুদাকে নিয়েও সোস্যাল মিডিয়াতে অসংখ্য ট্রল দেখা যায়। তারও অবস্থান সুস্থ্য স্বাভাবিক ধারার বিপরীতে বিকারগস্ত একটি ধারা। তার এই সব বিকৃত কথাবার্তা, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ, অশ্লীল কথাবার্তা দেখে মানুষ বিনোদন পায়।

কথা হচ্ছে, এমন অসুস্থ্য কর্মকান্ড, কথাবার্তা মানুষ দেখে কেন? কেনই বা এইসব দেখে বিনোদন লাভ করে?
খেয়াল করলে দেখবেন, রাস্তায় একজন পাগল বা উন্মাদ ব্যক্তি উদ্ভট কর্মকাণ্ড করলে, উদ্ভট আচরন, কথাবার্তা বললে কিছু মানুষ সেগুলি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখে। দেখে বেশ বিনোদন পায়। তবে এই বিনোদন পাওয়া সুস্থ্য,স্বাভাবিক নয়।

যে কারনে পাগলের কান্ডকারখানা দেখে মানুষ সুখ পায়, আনন্দ পায় সেই একই কারনে হিরো আলম, সেফুদা, মাফুজুর রহমানের কান্ডকারখানা দেখে মানুষ মজা পায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় রোদ্দুর রায়( আসল নাম অনির্বাণ রায়) তার প্রতিবাদী কবিতায় অশ্লীল শব্দ চয়নকে বেছে নিয়েছেন। নয়ডার এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার আইটি কর্মী হিসেবে কাজও করেছেন রোদ্দুর রায়। এই শিক্ষিত লোকটি এমন একটি লাইন বেছে নিয়েছেন যাতে তিনি জনগনের মনোযোগ আকর্ষন করতে পারেন । বিকৃতভাবে রবীন্দ্র সংগীত গাওয়া থেকে শুরু করে এমন কোন উদ্ভট আচরন নেই যা তিনি করছেন না।তার ভিউয়ার, ফলোয়ার অনেক।
আজকাল এই সব কন্টেট মেকাররা সোস্যাল মিডিয়া দখল করে রেখেছে। কন্টেট মেকারদের অনেকের কন্টেট আবার বেশ ভালো শিক্ষামূলক এবং তথ্যবহুল। যেমন, সুখেন সোলাইমান,খাদিজাতুল কোবরা সোনিয়া।
এদের কন্টেন্টগুলি বেশ ভালো এবং সমৃদ্ধ।

কিন্তু এদের ঠিক বিপরীতে এই সব ট্রল রাজ্যের সম্রাটদের অবস্থান,তাদের দাপট, দৌরাত্ম্য।
ট্রল নিশ্চয়ই ভালো কিছু নয়। যিনি বা যারাই ট্রলের শিকার হচ্ছেন বা যাদেরকে নিয়ে মানুষ ট্রল করে তাদেরকে বুঝতে হবে তাদের কন্টেন্টে কোন সমস্যা আছে। তানাহলে মানুষ ট্রল করবে কেন?

কই, সুখেন সোলাইমান কিংবা খাদিজাতুল কোবরা সোনিয়াকে নিয়ে তো কোন ট্রল হয় না।
যা কিছু মানুষের সুস্থ্য, স্বাভাবিক ধারার বিপরীত সেখানেই সমস্যা আছে, সেখানেই অসুস্থতা আছে, অস্বাভাবিকতা আছে ; কন্টেন নির্মাণের সময় এই নর্মগুলি মেনে চললে কোন সমস্যা হবার কথা নয়।
এখন কেউ যদি ইচ্ছে করে, জেনে বুঝে ট্রল সম্রাট হতে চান তখন আর কিছু বলার থাকে না।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles