অন্টারিওর একটি গ্রুপের বিরুদ্ধে হেলিকপ্টারে করে মার্কিন সীমান্তে মাদক পাচারের অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছে। রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ এ অভিযোগ এনেছিল। গ্রুপের দুই সদস্য এখন তাদের হেলিকপ্টারটি ফিরে পেতে আইনী লড়াই চালাচ্ছেন।
প্রদেশের সিভিল ফরফিচার রেজিমের আওতায় অন্টারিওর সুপারিয়র কোর্টে শুনানির জন্য অন্টারিওর অ্যাটর্নি জেনারেলের আবেদন পর্যন্ত ৩ লাখ ৮০ হাজার ডলারের বেল ২০৬ বি-৩ হেকিপ্টারটি আরসিএমপি দখলে রেখেছে। জব্দের আবেদনের বিরোধিতা করে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ব্রায়ান গ্রিনস্প্যান বলেন, তারা কোনো ধরনের অন্যায় করেননি বলে দাবি করেছেন এবং বৈধ সম্পদ ফিরে পাওয়ার সব ধরনের অধিকার তাদের রয়েছে।
এ ঘটনায় দায়ের করা সিভিল মামলায় বলা হয়েছে, কমল দীপ বাসান ও রামিন্দারজি আসি উভয়েই হেলকপ্টারটি পরিচালনকারী হেলিকপ্টার ট্যুর কোম্পানির পরিচালক। কিন্তু ট্যুরের কাজে হেলিকপ্টারটি ব্যবহার করতে দেখা যায়নি এবং ফ্লাইট লগেও এর কোনো নাম নেই। যদিও ট্রান্সপোর্ট কানাডার নিয়ম অনুযায়ী ট্যুর কোম্পানিগুলোর ট্যুরের সুনির্দিষ্ট ফ্লাইট লগ রাখার কথা। এর পরিবর্তে হেলিকপ্টারটি বেশ কয়েকটি ‘নন-স্কোয়াকিং’ ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। এর মধ্যে ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের বিভার আইল্যান্ডে কয়েক মিনিট চক্কর দেয় এবং চারটি লাল রঙের ডাফেল ব্যাগে ভরা ১০৮ পাউন্ড গাঁজা ফেলে দেয় বলে অভিযোগ আছে। নন- স্কোয়াকিং ফ্লাইট হলো এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ না করা।
ফ্লাইটটি যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস ও সীমান্তরক্ষী কর্মকর্তাদের নজরে আসে। মার্কিন কর্তৃপক্ষ চারটি ডাফেল ব্যাগই জব্দ করে। ব্র্যাম্পটনের উত্তরের একটি ঘাঁটিতে হেলিকপ্টারটি থাকতে পারে বলে নিশ্চিত হয় আরসিএমপি। তল্লাশির ক্ষমতা পাওয়ার পর জিপিএস উপাত্তে নিউ ইয়র্ক স্টেটের একটি ট্রিপের সঙ্গে এর মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
ভারমন্টের বাসিন্দারা জুলাইয়ে নিচ দিয়ে উড়ে যাওয়া একটি হেলিকপ্টারের ব্যাপারে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি ফেলা যাওয়া একটি সেলফোন কুড়িয়ে পাওয়ার কথা জানায়। কুইবেকের রেসিনের দূরবর্তী একটি কোয়ারিতে হেলিকপ্টারটির সন্ধান পায় আরসিএমপি। সেই সঙ্গে তিনজন লোককে এটি অন্টারিওর ওয়াটারলুতে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে।
আদালতে দাখিল করা নথিপত্র অনুযায়ী, সংক্ষিপ্ত ট্রিপে হেলিকপ্টারটিকে তিনটি ঘটনায় সীমান্ত অতিক্রম করতে দেখা গেছে। ধরে নেওয়া যায় যে, এটি আন্তঃসীমান্ত চোরাচালানের ঘটনা।
আরসিএমপি জানায়, ২০২০ সালের ২৭ আগস্ট কুইবেকের একটি স্থান থেকে হেলিকপ্টারটি উড্ডয়ন করে এবং ফিরে আসার আগে সেটি ভারমন্টের নিউপোর্টের কাছাকাছি কোথাও যায়। এই ফ্লাইটে উড়োজাহাজটি মাত্র তিন মিনিট মার্কিন ভুখন্ডে ছিল। একইদিন আবারও হেলিকপ্টারটি ডজ রাম ট্রাকে করে নিয়ে যেতে দেখা যায় এবং মন্ট্রিয়লের একটি হোটেল পর্যন্ত তাদের পিছু নেয়া হয়।
সেখানেই বিতরণের উদ্দেশ্যে মারিজুয়ানা রাখা ও অপরাধমূলক কর্মকা-ে অংশগ্রহণের অভিযোগে একদল লোককে গ্রেপ্তার করে আরসিএমপি। একইদিন অন্য কর্মকর্তারা পাঁচটি স্থানে তল্লাশি চালিয়ে ৮০০টি গাজা গাছ, একটি অর্থ গোনার মেশিন, ফোন, কম্পিউটার, প্যারাফারনালিয়া মাদক ও ১৭টি অবৈধ অস্ত্র জব্দ করেন।