8 C
Toronto
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪

ছুটির মৌসুম ঘিরে অন্টারিওর কোভিড নির্দেশিকা

ছুটির মৌসুম ঘিরে অন্টারিওর কোভিড নির্দেশিকা - the Bengali Times
অন্টারিওর চিফ মেডিকেল অফিসার ডা কিয়েরান মুর বৃহস্পতিবার তার সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে ছুটির মৌসুমে মাস্ক পরিধান ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো জনস্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানান

আসন্ন ছুটির মৌসুমে যারা জমায়েতের কথা ভাবছেন ও নতুন বর্ষ উদযাপনের পরিকল্পনা করছেন তাদের জন্য কোভিড-১৯ নির্দেশিকা জারি করেছে অন্টারিও সরকার। অন্টারিওর চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. কিয়েরান মুর বৃহস্পতিবার তার সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে ছুটির মৌসুমে মাস্ক পরিধান ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো জনস্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানান। সামনের সপ্তাহগুলোতে প্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা যে বাড়বে সে ব্যাপারেও সতর্ক করে দেন তিনি।

সাত দিনের গড় হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা অব্যাহতভাবে বাড়ছে এবং বর্তমানে তা ৬৯২ জনে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে সংখ্যাটি ছিল ৫৯৭। কিয়েরান মুর বলেন, যেখানেই ছুটি কাটাতে ও নতুন বর্ষ উদযাপন করতে চান না কেন দয়া করে তা নিরাপদে করুন। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং আমাদের ধারণা বলছে, পুরো ছুটির সময়জুড়ে তা বাড়বে।

- Advertisement -

গত বছর সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ চলতে থাকায় কেবলমাত্র পরিবারের লোকজনের সঙ্গেই উদযাপনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ বছর অধিকাংশ মানুষই ভ্যাকসিন নিয়েছেন এবং তাদেকে সতর্কভাবে একসঙ্গে উদযাপনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

ডা. মুর বলেন, মহামারি নিশ্চিতভাবেই বিদায় নিচ্ছে না। তবে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ ও জনস্বাস্থ্য বিধিবিধানগুলো অব্যাহতভাবে মেনে চলার মধ্য দিয়ে আমরা সংক্রমণের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারি। সেই সঙ্গে একটি সুখী ও স্বাস্থ্যকর উৎসব মৌসুম পেতে পারি। অন্টারিও এখনও মহামারির চতুর্থ ঢেউয়ের মধ্যে আছে এবং জনগণকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে, বিশেষ করে পরবর্তী চার মাস।

তিনি বলেন, সত্যি সত্যিই মনে হচ্ছে চতুর্থ ঢেউ চলছে, যেমমনটা আমরা দেখেছিলমা সেপ্টেম্বরে। ওই সময় আক্রান্তের সংখ্যা নিচে নামেনি। আমরা যেহেতু ইনডোরে জনবহুল ও খোলা স্থানের দিকে যাচ্ছি তাই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সুতরাং ঝুঁকি যে আছে আমরা সেটা জানি।

যারা এই ছুটির মৌসুমে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন তাদেরকে অবশ্যই উভয় ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার সুপারিশ করেছেন ডা. মুর। তাছাড়া যাদের মধ্যে উপসর্গ রয়েছে এবং তা গুরুতর না হলেও তাদেরকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আপনি যদি ভ্যাকসিন না নিয়ে থাকেন বা আংশিক নিয়ে থাকেন তাহলে সব গন্তব্যেই অনাবশ্যক ভ্রমণ এড়িয়ে চলা উচিত আপনার। এছাড়া ভ্যাকসিন নেন বা না নেন ব্যক্তিগত কিছু জনস্বাস্থ্য বিধি যেমন মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং বাইরে গেলে ও বাইরে থেকে ফেরার পর হাত ধোয়ার মতো চর্চাগুলো চালিয়ে যান।

যারা বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাদেরকে ফেডারেল সরকার প্রণীত সব প্রক্রিয়া অবশ্যই মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছেন ডা. মুর। যারা পার্টি দিতে চাইছেন তাদের প্রতি সম্ভব হলে তা আউটডোরে ও অতিথির সংখ্যা ১০০ জনের মধ্যে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডা. মুর। আর ইনডোর পার্টি হলে জনসমাগম ২৫ জনের বেশি হওয়া উচিত নয়। এছাড়া সেখানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবানের বন্দোবস্ত থাকতে হবে এবং সম্ভাব্য কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের জন্য আগত অতিথিদের তালিকা সংরক্ষণ করতে হবে। যেসব অতিথি পুরোপুরি ভ্যাকসিনেটেড নন অথবা তাদের ভ্যাকসিনেশন সংক্রান্ত তথ্য জানাননি তাদেরকে মাস্ক পরিধানের পাশাপাশি শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।

শিশুদেরকে ইনডোরের পরিবর্তে আউটডোরে সান্তা ক্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অভিভাবকদেরকেও ভার্চুয়াল সাক্ষাতের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে। উপহার বিনিময় করার সময় দুই মিটার শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি মাস্ক পরিধান করতে হবে। উপহার বিনিময় বা খোলার পর হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles