13 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪

টরন্টোর শরনার্থীদের আবাসন সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান প্রয়োজন

টরন্টোর শরনার্থীদের আবাসন সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান প্রয়োজন
আশ্রয়ণ বিপর্যয় এড়াতে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে জোর দিচ্ছে কমিউনিটি গ্রুপগুলো

আশ্রয়ণ বিপর্যয় এড়াতে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে জোর দিচ্ছে কমিউনিটি গ্রুপগুলো। আশ্রয়ণ সমস্যার কারণে আশ্রয়প্রার্থীরা টরন্টোর স্ট্রিটে আটকে আছেন। অনেকে আবার যেখানে আবাসন ও অন্যান্য সুবিধা রয়েছে সেখানে শরনার্থীদের সরিয়ে নেওয়ার কথাও বলছে।

সিটি অব টরন্টো আশ্রয়ণ সক্ষমতা বাড়াচ্ছে ও অন্তত ৩০০ শরনার্থী টরন্টোর দুটি চার্চে যাত্রী যাপন করছেন। এই অবস্থায় শরনার্থীদের জন্য স্বেচ্ছাসেবীর প্রয়োজনীয়তা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে, যাতে করে তাদের শরনার্থী স্ট্যাটাসের জন্য তারা সহায়তা করতে পারেন। সেই সঙ্গে তাদের আয়েও সহায়তা করতে পারেন।

- Advertisement -

নাইজেরিয়ান কানাডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের ওকি ইঘোবর বলেন, আফ্রিকান কমিউনিটির মধ্যকার প্রবাসী, সামাজিক কর্মী, নার্স, চিকিৎসক এবং বিশেষ করে আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আপনাদের সাহায্য আমাদের এই মুহূর্তে খুব দরকার। কমিউনিটির জন্য অনেক কিছু করতে হবে। অএখন আমরা যা করছি তা সাময়িক পদক্ষেপ এবং এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই আমরা।

আশ্রয়প্রার্থীদের অন্যতম ৪১ বছর বয়সী রনি লুগোনজা। সমকামিতাকে অবৈধ ঘোষণা করে এ বছর আইন পাসের পর উগান্ডা থেকে পালিয়ে আসতে হয়েছে তাকে। আইনে সমকামিতার শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদ- ঘোষণা করা হয়েছে।
সিটিভি নিউজ টরন্টোকে তিনি বলেন, আপনাকে সেখঅনে ধরা পড়লে জেলে যেতে হবে। এর ফলে শাস্তিও হতে পারে। আমাদেরকে জীবন নিয়ে পালিয়ে আসতে হয়েছে।

গত ৬ জুলাই তিনি কানাডায় আসেন এবং রাস্তায় রাত কাটাতে হচ্ছে তাকে। তিনি বলেন, তবে চার্চে একটি খাট পাওয়ায় তার চেয়ে এটা ভালো। তার টরন্টোতে আসার কারণ এটা ভালো শহর। তবে চাকরির জন্য কানাডার যেকোনো স্থানে যেতে তিনি প্রস্তুত। সমগ্র কানাডাকেই আমি মুক্ত দেশ মনে করি।

আরেকটি ফেডারেল কর্মসূচির আওতায় কুইবেকের রক্সহ্যাম রোডের একদল শরনার্থীকে একটি হোটেলে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে আশ্রয় দেওয়ার সক্ষমতা নেই বলে সরকারের তরফ থেকে জানানোর পর তাদের জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ফেডারেল সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আশ্রয়প্রার্থীদের বর্তমানে কুইবেকের ১০টি হোটেলের ৭৫১টি কক্ষে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্টারিওতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে ১৭টি হোটেলের ২ হাজার ৭৩৭টি কক্ষে। এই শরনার্থীদের সিংহভাগ নাইজেরিয়ার।

শরনার্থীদের আটলান্টিক প্রদেশে স্থানান্তর শুরু হয় ১৮ ফ্রেবুয়ারি। এখন পর্যন্ত সেখানে ৪৮১ জন আশ্রয়প্রার্থীকে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে হ্যালিফ্যাক্সে গেছেন ১৬৩ জন, ফেডেরিক্টনে ৭৯ জন, মঙ্কটনে ১৩৪ জন এবং সেন্ট জন’সে ১০৫ জন।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles