10.5 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

করোনার যুদ্ধের মূল অস্ত্র ভ্যাকসিন

করোনার যুদ্ধের মূল অস্ত্র ভ্যাকসিন
কানাডার একটি ভ্যাকসিন সেন্টারে প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড

উন্নত বিশ্বের অনেক দেশে শতভাগ না হলেও অধিকাংশ মানুষের ভ্যাকসিন দেওয়া সম্পূর্ণ করে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার জন্য খুলে দিচ্ছে, তাও পুরোপুরি না। একটু একটু করে । তারপরও একদম কমে যাওয়া করোনা সংক্রামণ বাড়তে বাড়তে কোথাও আবার একশ হাজারে পৌঁছে গেছে। আইসিইউয়ে ভীড় লেগে গেছে। যারা ভাকসিন নেয়া এড়িয়ে গেছে আগে, তারা এখন পরি মরি করে ভ্যাকসিনের জন্য দৌড়াচ্ছে। আর ভ্যাকসিন নেয়া অনেক মানুষও আবার সংক্রামিত হয়ে যাচ্ছে। করোনাকে সামাল দেয়া সহজ হচ্ছে না।

আর বাংলাদেশে আজ বন্ধ। কাল লক ডাউন কঠিন, সীমিত, হালকা নানা রকম নিয়মের মধ্যে কারখানার শ্রমিকদের ভীড় দৌড়াদৌড়ি, কাজ রক্ষার জন্য ছুটে যাওয়া আর আসা। এর মধ্যে সব খোলা রাখার আদেশ দশ আগষ্ট থেকে। ভ্যাকসিন যদিও দেওয়া হচ্ছে । মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়ার আগ্রহও প্রচুর আছে। অথচ মাত্র দশ ভাগ লোককে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে। আর করোনার সংক্রামণ এখন অনেক বেশি বাড়ছে। শুধু ঢাকা কেন্দ্রীক নয় এখন সারা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পরেছে, করোনার তাণ্ডব। প্রতিদিন মৃত্যু আর মানুষের আহাজারীর খবর শুনতে হয় দেখতে হয়। কত পরিবারে নেমে আসছে ভয়াবহ কঠিন সময় মৃত্যুর মিছিল। অথচ এমন সময় কঠিন ভাবে নিয়ন্ত্রনে না রেখে, সব কিছু খুলে দেয়ার এই সিদ্ধান্ত এটা কেন? শুধু কি পনের আগষ্টকে সামনে রেখে সব জীবন স্বাভাবিক করে দেয়ার জন্য এমন তুলে নেয়া হচ্ছে লকডাউন।

- Advertisement -

পৃথিবী জুড়ে মহামারীর জন্য কত জাতিয় দিবস, কত ধর্মীয় অনুষ্ঠান বাতিল হলো, চলে গেলো নিরবে মানুষের ঘরে থাকার মাঝে। আগে বেঁচে থাকা ভালো থাকা তারপর সব আয়োজন পালন করা যাবে।

বাংলাদেশে সবাই কঠিন লক ডাউন যেমন মানতে পারে না । সাধারন বিজ্ঞান সম্মত মাস্ক পরে না। দূরত্ব বজায় রাখে না। পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে খেয়াল করে না। ঘরে থাকে না। এ রকম অসংখ্য মানুষের ভীড়ে কিছু মানুষ তবু নিজেদের জন্য, পরিবারের জন্য সর্তকতা মেনে চলছিল।

কিন্তু সরকার থেকে যদি সব কিছু স্বাভাবিক করে দেওয়া হয় তখন যারা নিজেদের সুরক্ষা করে চলতে চান বাইরে বের হন না তাদের তাে আর উপায় থাকে না। ইচ্ছা না থাকলেও বাইরে বের হতে হবে ভীড়ের মধ্যে গাদা গাদি করে চলতে হবে।

সত্যি এমন সুন্দর অনিয়মের নিয়ম কেবল বাংলাদেশেই চলে।

টরন্টো, কানাডা

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles