10.4 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

লকডাউনে অনেক কানাডিয়ানই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ জমিয়েছেন

লকডাউনে অনেক কানাডিয়ানই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ জমিয়েছেন
ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজের এমিরেটাস অধ্যাপক পিটার ভিক্টর

অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হলে তা পুনরুদ্ধারে ভোক্তাদের ব্যয় করার কথা সব সময়ই বলে থাকেন আর্থিক বিশ্লেষকরা। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে উদ্ভূত লকডাউনের সুবাদে অনেক কানাডিয়ানই উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ জমিয়েছেন এবং সেই অর্থ খরচের চাহিদা তৈরি হয়েছে। ব্যাংক অব কানাডা গত মার্চে জানায়, মহামারি চলাকালে কানাডিয়ানরা ১৮ হাজার কোটি ডলার সঞ্চয় করেছেন। ২০২৩ সাল পর্যন্ত এর ১৫ শতাংশও যদি ব্যয় করা হয় তাহলে কানাডার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে গতি সঞ্চারিত হবে। অধিকাংশ আর্থিক প্রতিষ্ঠানই বিষয়টির দিকে গভীর নজর রাখছে। আরবিসি তো কনজ্যুমার স্পেন্ডিং ট্র্যাকার ব্যবহার করছে।

ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজের এমিরেটাস অধ্যাপক পিটার ভিক্টর বলেন, ১৯০০ সালের দিকে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি সম্ভব হয়েছিল জীবশ্ম জ্বালানির ব্যবহার, খনি ও ভূমি উন্নয়নের ওপর ভর করে। টেকসই ব্যবস্থার ওপর সবগুলোরই নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে।

- Advertisement -

এদিকে, ভ্যাকসিনেশনের উচ্চ হার নাগরিকদের উষ্ণতর গ্রীষ্ম উপভোগের সুযোগ এনে দেবে বলে গত বসন্তেই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়েছিলেন কানাডার রাজনীতিকরা। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসায় এ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করতে শুরু করেছে প্রদেশগুলো। আগের মতো খরচ করতেও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে নাগরিকদেরও।

যদিও এই গ্রীষ্ম চরম আবহাওয়ার আরেকটি প্রদর্শনী দেখাছে। ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ও অন্টারিওতে দেখা দেয় অত্যধিক গরম ও ব্যাপক হারে দাবানল এবং প্রেইরি অঞ্চলে খরা।

জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বির্ষক আন্তঃসরকার প্যানেল (আইপিসিসি) এ সপ্তাহের শুরুর দিকেই দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে যে, জলবায়ু পরিবর্তন মানবসৃষ্ট এবং এর মারাত্মক প্রভাব এরই মধ্যে দেখা যাচ্ছে।

বর্তমানে যে ধ্বংসলীলা আমরা দেখছি তা দশকের পর দশক ধরে পরিবেশের ক্ষতি করার ফল। এটা এমন সময়ে ঘটছে যখন রাজনীতিক ও বিপণনকারীরা আমাদেরকে আরও খরচে উৎসাহিত করছেন। হোক সে শপিং মলে, কার ডিলারশিপে অথবা তথাকথিত ভ্রমণে।

 

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles