-3.4 C
Toronto
রবিবার, মার্চ ২৩, ২০২৫

গাজা রিইউনিফিকেশন কর্মসূচি অনুমোদনের কাছাকাছি ইসরায়েল

গাজা রিইউনিফিকেশন কর্মসূচি অনুমোদনের কাছাকাছি ইসরায়েল - the Bengali Times
কানাডিয়ানদের যেসব ফিলিস্তিনি আত্মীয় স্বজন রয়েছেন রাফায় আক্রমণের আগেই সেখান থেকে তাদেরকে সরিয়ে আনার একটি কর্মসূচি অনুমোদনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে ইসরায়েল

কানাডিয়ানদের যেসব ফিলিস্তিনি আত্মীয়-স্বজন রয়েছেন রাফায় আক্রমণের আগেই সেখান থেকে তাদেরকে সরিয়ে আনার একটি কর্মসূচি অনুমোদনের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে ইসরায়েল। কানাডার অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার এমনটাই জানিয়েছেন।
অভিবাসন সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটিকে ২৭ মে মিলার বলেন, আমাদের সাফল্য কম। তবে অবশ্যই এতে চেষ্টার কোনো কমতি নেই। পরিবারের সদস্যদের নিরাপদে কানাডায় আনার উদ্যোগ আমরা পরিত্যাগ করিনি।

কয়েক মাস আগে কানাডার গৃহীত এই উদ্যোগ ঘিরে সমালোচনা বাড়তে থাকার মধ্যে এই মন্তব্য করলেন মিলার। কর্মসূচিটির উদ্দেশ্য হচ্ছে, সংঘাতপূর্ণ গাজা ভূখ- ও সুদান থেকে কানাডিয়ানদের স্বজনদের নিরাপদে এখানে নিয়ে আসা।

- Advertisement -

মিলার ২৭ মে গাজা ভূখন্ড ছাড়তে চেয়ে আবেদনের সংখ্যা বৃদ্ধির কথা জানান, যেগুলো এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করতে হবে। তবে সত্যি সত্যিই কোনো ফিলিস্তিনি এই পদ্ধতিতে কানাডায় পৌঁছেছেন কিনা তার বিভাগ থেকে তা জানাতে পারেনি।

গাজার এই কর্মসূচিতে প্রাথমিকভাবে আবেদনের সংখ্যা এক হাজারে সীমিত রাখা হয়েছিল, যেগুলো গৃহীত ও যাচাই-বাছাই করা হবে। এর অর্থ হলো মিশরে চূড়ান্ত বায়োমেট্রিকের আগে সব কাগুজে কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু ২৪ মে পর্যন্ত ২ হাজার ৯০৩টি আবেদন ওই অবস্থায় পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন মিলার।

মিলার এখন আবেদনের সংখ্যা ৫ হাজার পর্যন্ত সম্প্রসারিত করেছেন। প্রত্যেক আবেদনে রয়েছে পরিবারের একাধিক সদস্য। অভিবাসন বিভাগ বলছে, ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত গাজা কর্মসূচির মাধ্যমে তারা ১৭৯টি সাময়িক রেসিডেন্ট পারমিট ইস্যু করেছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কেউ কানাডায় পৌঁছতে পেরেছেন কিনা তা জানা যায়নি।

আবেদনকারীদের কানাডায় অবস্থানরত স্বজনরা বলছেন, কর্মর্সূচিটির বিষয়ে অটোয়ার কাছ থেকে তারা মিশ্র তথ্য পাচ্ছেন, যার অর্থ হচ্ছে অন্য কোনো উপায়ে কিছু লোক রাফাহ থেকে বের হওয়ার সুযোগ হারিয়েছেন।

তথ্য অধিকার আইনে প্রাপ্ত এক মেমোতে দেখা গেছে, এক হাজারজনের সীমা বেঁধে দিলেও অভিবাসন বিভাগ কর্মসূচির শুরুতে অনেক বেশি আবেদনের প্রত্যাশা করেছিল। গত ডিসেম্বরে মিলারের স্বাক্ষরিত মেমোতে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ এক হাজারজনের মধ্যে সংখ্যাটি সীমিত রাখা হলে তা কিছুটা নিশ্চয়তা দেবে। কিন্তু অনেক বেশি সংখ্যক আবেদনের বিষয়টি প্রত্যাশিতই ছিল।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের শুমারি অনুযায়ী, ফিলিস্তিনি জাতীয়তা ও সংস্কৃতি বহন করছে এমন কানাডিয়ানের সংখ্যা ৪৫ হাজার ৯০৫।

এদিকে সুদানে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে গত বসন্তে এবং মিলার বলেছেন, ফল শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো কানাডায় অবস্থানরত সুদানী বংশোদ্ভুতদের স্বজনরা এখানে আসতে পারবে বলে তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না।

পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ফিঙ্গারপ্রিন্টিং ও অন্যান্য বায়োমেট্রিকের কারণে বিলম্ব হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কিন্তু স্থায়ী বাসিন্দা সংশ্লিষ্ট হওয়ায় সুদান কর্মসূচি অনেক বেশি পুক্সক্ষানুপুক্সক্ষ বলে জানিয়েছেন মিলার। তিনি বলেছেন, সুদান কর্মসূচির আওতায় অটোয়া ৩ হাজার ২৫০টি আবেদন গ্রহণ করেছে, যার মাধ্যমে ৭ হাজারের মতো সুদানী কানাডায় আসতে পারবেন।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles