দেশ আজ দুইভাগে বিভক্ত। একভাগ বাংলায় প্রশ্ন করে। অন্যভাগ বাংলা প্রশ্ন শুনেও কিছু কিছু উত্তর অন্য ভাষায় দেয়।
প্রথম দল বাংলায় অনর্গল কথা বলতে পারে। দ্বিতীয় দল মাত্র চার পাঁচটা বিদেশী শব্দ জানে।
প্রথম দল বাংলায় প্রশ্ন করতে পারে এবং বাংলা উত্তরও দিতে পারে।
দ্বিতীয় দল বিদেশী ভাষায় বড় কোন প্রশ্ন করতে পারে না। বিদেশি ভাষায় শুধু ছোট ছোট উত্তর দিতে পারে। তাও সব প্রশ্নের উত্তর না। দু’চারটা মাত্র। উদাহরণ দেওয়া যাক।
প্রথম দল প্রশ্ন করলো; ‘ডালে এত লবণ কেন’? দ্বিতীয় দল বিদেশী ভাষায় কোন উত্তর দিতে পারলো না
প্রথম দল প্রশ্ন করলো; এই রিক্সা গুলিস্তান যাবে? দ্বিতীয় দল বিদেশী ভাষায় কোন উত্তর দিতে পারলো না
প্রথম দল প্রশ্ন করলো; নতুন ডিজাইনের শাড়ী এসেছে কোনটা চাই আপা? দ্বিতীয় দল বিদেশী ভাষায় কোন উত্তর দিতে পারলো না
প্রথম দল প্রশ্ন করলো; ধান কবে কাটলেন? দ্বিতীয় দল বিদেশী ভাষায় কোন উত্তর দিতে পারলো না
প্রথম দল প্রশ্ন করলো; এবার কেমন ধান পেলেন চাচা?
দ্বিতীয় দল এবার বিদেশি ভাষায় একটা উত্তর দেবে যা সরাসরি উত্তর নিয় তবে, অনেক ধান পাওয়ার পক্ষে সেই উত্তর দেবে।
একটা কথা বলা প্রয়োজন। অন্য ভাষা থেকে বিভিন্ন শব্দ নিজ ভাষায় প্রবেশ করে অধিক ব্যবহার করার কারণে এক সময় নিজ ভাষার অংশ হয়ে যায়। এখানে বিদেশি বলার কারণ হলো এখনো যে বিদেশি শব্দগুলো এবং তার প্রকাশ ভংগিমা ও বাক্য পুরোপুরি আমাদের হয়ে ওঠেনি।
যেমন:
অনেক আগে একটা হাসির গল্প শুনেছিলাম। একজনকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কী খবর, কেমন আছো? সে বিদেশী ভাষায় উত্তর দিয়েছিল। ফাইন। এইটুকু বলেই সে বলল, রাস্তায় যা প্যাক কেদা, কেমন থাকুম মিয়া! এক বদনা পানি দাও, স্যান্ডেলটা ধুইয়া ঘরে ঢুকি। তারপর থেকে সেই লোকের নাম হয়ে গিয়েছিল: ফাইন!!
উদাহরণ: তোর বাসায় আজ কে এসেছিল রে?
উত্তর: মিস্টার ফাইন এসেছিল।
স্কারবোরো, কানাডা