প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি চট্টগ্রাম সমৃদ্ধ ও স্বতন্ত্র লোকসংস্কৃতির অঞ্চল হিসেবে বিশ্বজোড়া খ্যাত। আকার-আকৃতিতে অন্য দশজন বাঙালির মতো হলেও সাংস্কৃতিক চরিত্রে চট্টগ্রামের মানুষ বৈচিত্রময় বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। বিশেষ করে চট্টগ্রামের লোকসংস্কৃতি বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চল হতে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী, স্বতন্ত্র ও অভিনব।
‘কর্ণফুলি রে সাক্ষী রাখিলাম তোরে’, ‘যদি সুন্দর একখান মুখ পাইতাম, মহেশখালীর পানের খিলি তারে বাহানায় খাওয়াইতাম’ অথবা ‘কইলজার ভিতর গাঁথি রাখুম তোয়ারে ও ননাইরে’ এইসব হৃদয় ছোঁয়া কালজয়ী গানের মানুষদের সংগঠন চট্টগ্রাম সমিতি কানাডার সভাপতি মন্জুর চৌধুরীর আন্তরিক আমন্ত্রণে গতরাতে তাদের ফ্যামিলি নাইট ও পিঠা উৎসবে গিয়ে খুবই ভাল লেগেছে।
সত্যি কথা বলতে চট্টগ্রাম মানেই এক অন্যরকম টান ও ভালবাসা। ছোটবেলায় সিনেমায় সদ্য বিবাহিত নায়ক নায়িকাদের প্রথম ডায়লগটাই ছিল কোথায় তারা হানিমুনে যাবে, পাহাড় নাকি সমুদ্রে! দুটোই চট্টগ্রামে।
ফলে চট্টগ্রাম গেঁথে গিয়েছিল হৃদয়ে। রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আমার বিয়ের পরপরই হানিমুনে যাওয়া সম্ভব হয় নি। তবে বছরখানেক পর প্রথম বার্ষিকীতে প্রথম সুযোগেই ছুটে গিয়েছিলাম আমরা সেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। এছাড়া আমার স্ত্রীর শিক্ষা জীবনের অনেকটাই কেটেছে চট্টগ্রামে, ফলে চট্টগ্রাম মানেই একটা আলাদা অনুভূতি।
যাহোক চট্টগ্রাম সমিতি কানাডার বর্তমান সভাপতি মন্জুর চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনসহ আয়োজকদের ধন্যবাদ এত সুন্দর উপহার ও অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্যে।