টিপ, রং-বেরঙের শাড়ি পরে, বটমূলে রবীন্দ্র সংগীত শুনে, পান্তা-ইলিশ খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে, পাঞ্জাবি পরে, রঙ মেখে, বৈশাখী মঙ্গোল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করলেও আপনি বাঙালি; আবার, এসব কিচ্ছু না করে ঘরে বসে ইংরেজি মুভি দেখলে/এসিডিসির গান শুনলেও আপনি বাঙালি। চল্লিশ দিনের চিল্লায় গিয়ে দীনের পথে পরহেজগারি করলেও আপনি বাঙালি। আবার ভূমি অফিসে রাতের বেলায় মোমবাতি জ্বালিয়ে টেবিলের নিচ দিয়ে উপরি দেয়া-নেয়া করলেও আপনি বাঙালি।
আবৃত তিন-চারটা বউ সাথে গাউছিয়ায় ঘুরলেও আপনি বাঙালি; আবার নেংটি পরা বউ নিয়ে রাস্তায় হাঁটলেও ঐ একই। আর আপনি যদি খুব এক্সেপশনাল হয়ে থাকেন, অর্থাৎ উপরের কোন কিছুই না মানেন, তাহলে আপনি সবচেয়ে বড় বাঙালি! যারা সারা বছর ইলিশ খেলেও পহেলা বৈশাখে এসব মানি না বলে কষ্ট করে একদিন ইলিশ না খেয়ে গোমড়া মুখে গোস্যা করে বসে থাকেন, তারাও…
হাজার বছর ধরে আমাদের পাছায় বাঙালিত্বের যে সিল মারা আছে, তা পার্মানেন্ট।
বাঙালীর বিরল কিছু বৈশিষ্ট্য:
– এরা ভাত না খেলে যেমন বাঁচে না, তেমনি পরচর্চা ছাড়াও বাঁচে না
– এরা কেউ পান্তার পক্ষে, কেউ বিপক্ষে
– এরা কেউ মঙ্গোল শোভাযাত্রার পক্ষে, কেউ বা বিপক্ষে
– এরাই বটমূলে বোম ফুটায়, আর মরে নিরীহ নিষ্পাপ বাঙালি
– এরা মঙ্গোল/আনন্দের/শুভ দিনেও রাজাকারের বিরাট পোস্টার মাথায় করে ঘুরে।
সবাইকে বাংলা ১৪৩১ নববর্ষের শুভেচ্ছা, শুভকামনা।