হার্টের অসুখ আর মনের অসুখ এক না। আমরা অনেক সময় হৃদপিন্ডকে মন বলে ভুল করি। শরীরের ভিত্রে মন যে আসলে কোথায় থাকে তা লোকেট করা কঠিন।
ব্যক্তির সমস্ত শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গপ্রতঙ্গ একেঅপরের সাথে জড়িয়ে থাকে। আরো জড়িয়ে থাকে মানুষ, সমাজ, প্রকৃতি আর দেখা না দেখা ভুবনের সাথে। সামগ্রিকভাবে একজন ব্যক্তির এসব যোগসুত্রের নামই মন।
সেই যোগসুত্রের মধ্যে ঘাটতি দেখা দিলে আমাদের মন খারাপ হয়।
যাদের এ ধরনের ঘাটতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছে, তখন তারা আত্নহত্যা করে। সমগ্র জীবনে প্রত্যেকটা ব্যক্তি কোন না কোন সময় আত্নহত্যার চিন্তা করে থাকে। আত্নহত্যার চিন্তা করা আর আত্নহত্যা করা কিন্তুু এক জিনিস না। প্রথমে আসে চিন্তা, তারপর আসে আত্নহত্যার প্লান মানে কীভাবে কাজটা করবে, তারপর কর্মটি করা। আত্নহত্যার চিন্তা থেকে আত্নহত্যা করা পর্যন্ত বেশ লম্বা একটা সময় থাকে। এ সময়ে সে অন্যের সাহায্য চায়। সে বাচতে চায়।
এই সময়ে কারোর মনের অসুখটা আইডেন্টিফাই করা সম্ভব হলে তাকে বাচানো সম্ভব। এ সময়টা সে সব কিছু থেকে নিজেকে ভিত্রে ভিত্রে একা করে ফেলে। কোন খড়কুটেপ ধরে বেচে থাকতে চায়। এমন কী যদি তাকে এও মনে করিয়ে দেয়া যায় যে, তুমি না থাকলে তোমার বিড়ালটির কী হবে? তখন সে একটি যোগসুত্র খুজে পেতে পারে। সে তখন ভাবতে পারে যে, আমার বেচে থাকার দরকার আছে।
তোমার
সে জন্য বলা হয় সামাজিক যোগসুত্র বাড়ানো দরকার। তাতে আত্নহত্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
পাশের জনের খোজখবর নিন। তাহলে সেও আপনার খোজখবর নিবে। এভাবে আমরা ভালো থাকতে পারি।