19 C
Toronto
শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪

অচেনা যাত্রী

অচেনা যাত্রী

রোববার টিম হর্টন কফি শপে চমৎকার একটি বিকেল কাটিয়ে সন্ধ্যায় ৫০৬ স্ট্রিটকারে মানিব্যাগ খুইয়ে ঘরে ফেরি। সারা শরীর তদন্ত করে মানিব্যাগ না পেয়ে মাথায় বজ্রপাত ঘটে। দ্রুত ফিরে যাই মেইন স্ট্রিট সাবওয়ে স্টেশনে। স্ট্রিটকারের এক ড্রাইভারকে বললাম ঘটনাটা। তিনি জানালেন, স্ট্রিটকারে তিনি অভ্যন্তরীণ ভাবে ঘোষণা দিবেন। তারপর পরের স্ট্রিটকারের এক তরুণী ড্রাইভারকে বললাম। তিনি বললনে, আমি ঘোষণা শুনেছি। তুমি বে স্ট্রিটের Loss and Found খোঁজ নিও।

- Advertisement -

[আমি যখন TTC-তে কাজ করতাম, তখন আমি স্বর্ণালংকার, পাসপোর্ট, ডলার, মানিব্যাগ পেয়ে অনেক বার জমা দিয়েছি। আমি নিজেই সব ব্যাংককার্ড, হেলথ কার্ড, টিটিসি পাশ, আইডি সব হারিয়ে দিশেহারা! প্রতি শীতে হাতমোজা হারাই, কানটুপি হারাই, চশমা হারাই, মাফলার, এমন কি আইফোনসহ সব হারিয়ে এসে বউয়ের বকা খাই। নিজেকে শান্তনা দিয়ে বউকে বলি, এতো কিছু হারাই। কিন্তু কক্ষনোই পা-মোজা হারাইনি।]

যাইহোক। হতাশ হয়ে টিকিট কাউন্টারের কর্তব্যরত ভাদ্র মহিলাকে বললাম, তোমার কাছে মানিব্যাগটা এলে আমার একটা কল দিও, প্লিজ।
তাকে সেল নম্বর দিয়ে চলে এলাম। বাসায় ফেরার জন্য কুড়ি নম্বর বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। তখনই ফোন এলো। কথা বলতে বলতে তিনি আমাকে দেখে হাত উঁচু করে ডাকলেন এবং কাউন্টার থেকে বেরিয়ে এসে হাসি মুখে মানিব্যাগটা ফেরৎ। এই মাত্র তার কাউন্টারে এক যাত্রী দিয়ে দ্রুত চলে গেছে।

বাসায় ফেরার জন্য কুড়ি নম্বর বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। তখনই ফোন এলো। কথা বলতে বলতে তিনি আমাকে দেখে হাত উঁচু করে ডাকলেন এবং কাউন্টার থেকে বেরিয়ে এসে হাসি মুখে মানিব্যাগটা ফেরৎ

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles