9.3 C
Toronto
সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

মিডিয়া লিটারেসি বাড়িয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ রুখতে পারে কানাডা

মিডিয়া লিটারেসি বাড়িয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ রুখতে পারে কানাডা
বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের বিস্ফোরক অভিযোগ কানাডিয়ানদের জন্য ভুযা তথ্য বুঝতে ও মিডিয়া লিটারেসি বাড়ানোর সুযোগ হিসেবে দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরদ্ধে লড়াইয়ে ইয়োরপীয় ইউনিয়নের প্রধান লাটজ গুয়েলনার

বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের বিস্ফোরক অভিযোগ কানাডিয়ানদের জন্য ভুযা তথ্য বুঝতে ও মিডিয়া লিটারেসি বাড়ানোর সুযোগ হিসেবে দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরদ্ধে লড়াইয়ে ইয়োরপীয় ইউনিয়নের প্রধান লাটজ গুয়েলনার। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সচেতনতা বাড়ানো। এটাকেই সবার আগে অগ্রাধিকার দিতে হবে। জনগণের মধ্যে আলোচনা হওয়াটা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।

জি৭ র‌্যাপিড রেসপন্স মেকানিজমের অংশ হিসেবে গত মাসে অটোয়া সফরে এস এ মন্তব্য করেন তিনি। ২০১৮ সালে কুইবেকে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে হুমকি প্রতিরোধে ওয়ার্কিং গ্রুপটির জন্ম হয়।

- Advertisement -

সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমাদের কানাডিয়ান সহকর্মীরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন। জি৭কে এই ক্ষেত্রে রাখতে তারা খুবই ভালো অবকাঠামো তৈরি করেছে। কারণ, এটা ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

গত বছর রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার পর উদ্যোগটি আরও বেশি জরুরি হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, আমরা এটাকে যতটা প্রোগান্ডা মনে করি এটা ততটা বেশি নয়। বরং আমরা যেটা দেখছি তা হলো নতুন কৌশল, নতুন পদ্ধতির প্রয়োগ। বিশেষ করে অপরাধীরা স্ক্রিনশটের মাধ্যমে ওয়েবসাইট ক্লোনিং করছে। এরপর ঠিকানা সামান্য এদিক সেদিক করে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর কাজে এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত নন, এমন শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানোর এটা সবচেয়ে ভালো উপায়।
গুয়েলনার বলেন, ভুয়া তথ্য কেবল মিথ্যা তথ্য ছড়ানো নয়। এর মধ্য দিয়ে লোকজনকে বিপথে চালিত করার পাশাপাশি মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে। সেই সঙ্গে আস্থাতেও চিড় ধরানো হয়। এটা কেবল ক্রেমলিনের বিষয় নয়। এটা পুরো ব্যবস্থার প্রতি, মিডিয়ার প্রতি অবিশ^াস তৈরির বিষয়।

তিনটি কৌশলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে ইউরোপীয়রা। এর একটি হলো মিডিয়া, ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা ও শিক্ষা উদ্যোগ বিশেষ করে এসব বয়ান কোন পদ্ধতিতে ছড়ায় সেটা শনাক্তে অর্থায়ন। দ্বিতীয়টি হলো প্রযুক্তি জায়ান্টদের ভুয়া তথ্য ছড়ানোর ঝুঁকি কমানোর দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া। তৃতীয় কৌশলটি হলো কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা। সমভাবাপন্ন দেশগুলোর সঙ্গে কাজের মাধ্যমে এটা করা যায়।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles