10.5 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

জীবনের দাবী

জীবনের দাবী
ফাইল ছবি

জীবনের দাবী বা প্রয়োজন অপরিসীম। আপনাকে বসে থাকলে চলবেনা। কে করে দেবে আপনার কাজ? আপনাকেই উদ্যোগী হতে হবে। দু’মাস ধরে -মাইনাস ২০সেলসিয়াস এর মধ্য দিয়ে বরফ মাখা পথ দরে অফিসে যাচ্ছি। গাড়ীটি আটকা পড়ে আছে ১৭০০ কিমি দূরে। একা ভরসা পাইনি। চালিয়ে আনার বিকল্প নেই। সহকর্মী রায়ান শুনে বললো -আমি যাবো। ৪০ উর্ধ্বো এ ফিলিপিনো মানুষটির মনে অনেক দয়া।

অবশেষে দুজনাই এডমনটন এয়ারপোর্টে পৌছালাম রাত ১২ টায়। রায়ান বললো-কোন হোটেলে যাওয়ার দরকার নেই, এয়ারপোর্টের মধ্যে রাত কাটিয়ে দেয়া যাবে। রাত ১টায় পুরা এয়ারপোর্ট খালি দুজন দু সোফাতে শুয়ে পড়লাম। ভোর ৪টা থেকে কিচির মিচির, যাত্রী আসছে যাত্রী যাচ্ছে। হাত মুখে পানি দিলাম, রেডি হলাম। ব্রেক ফাষ্টের পর দু’জনা বেরিয়ে পড়লাম।

- Advertisement -

সেদিন রাতে আমাদেরকে Edmonton Inn হোটেলে রাত কাটাতে হলো। এর মাঝে লেখক বন্ধু লায়লা বানুর সাথে যোগাযোগ করলাম। কাজ শেষে সে দেখা করতে চায় কিন্তু রাত ১১টার কাছাকাছি, বাইরে প্রচন্ড ঠান্ডা তাকে নিষেধ করলাম বললাম-আবার আসবো শীঘ্রই, তখন দেখা হবে। লায়লার অনুরোধ যাত্রা পথের সুন্দর ছবিগুলি যেন ফেসবুকে দেই।
১৭০০ কি: মি: কত দীর্ঘ পথ, গাড়ীর গতি ১০০/১১০ কি: মি:।

প্রথম দিন সকাল সাড়ে ১০টায় রওনা দিলাম। রায়ান গাড়ী চালাতে ভালোবাসে। বললাম-তুমি চালাও প্রয়োজন হলে আমি চালাবো। আমাকে আর চালাতে হয়নি। এক রাত দু দিন আমাদেরকে পথে থাকতে হয়েছে। অবশেষে আমরা সুস্থ্য তবে বিধ্বস্থ অবস্থায় ফিরে এসেছি। রায়ানের কথা আমি সব সময় মনে করবো সে আমার খুব যত্ন নিয়েছে। কখনো কখনো মনে হয়েছে আমার সন্তানের থেকেও অনেক যত্ন নিয়েছে আমার। রায়ান তোমার আছে আমি কৃতজ্ঞ।

এ লেখাটি এডমনটনের বন্ধু -লায়লা বানুর সৌজন্যে লেখা।

ইনুভিক, কানাডা

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles