10.4 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়া সফরের পরিকল্পনা

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়া সফরের পরিকল্পনা - the Bengali Times
সরকারের বহু প্রত্যাশিত নতুন চায়না নীতি প্রকাশের আগে এশিয়া ও অন্য কোথাও সফরের পরিকল্পনা করছেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি

সরকারের বহু প্রত্যাশিত নতুন চায়না নীতি প্রকাশের আগে এশিয়া ও অন্য কোথাও সফরের পরিকল্পনা করছেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি। এ সফরের উদ্দেশ্য কিছু গবেষণা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কানাডা নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক কনবেনশনকেও শক্তিশালী করতে চাই আমরা।

দ্য কানাডিয়ান প্রেসকে জোলি বলেন, শিগগিরই আমি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যাচ্ছি। ইউরোপের ভু-রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমার সময়ের সিংহভাগ নিয়ে নিচ্ছে। তবে আমাদের সরকারের জন্য ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল যে গুরুত্বপূর্ণ সে ব্যাপারেও আমি সচেতন আছি।

- Advertisement -

হুয়াওয়ে নির্বাহী মেং ওয়ানঝু ও দুই মাইকেল ইস্যুতে চীনের সঙ্গে কানাডার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকার পর তার নতুন করে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টার অংশ হিসেবেই জোলির এ উদ্যোগ।

যুক্তরাষ্ট্রের বন্দি প্রত্যার্পণ পরোয়ানার ভিত্তিতে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মেংকে গ্রেপ্তার করে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি)। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে দুই কানাডিয়ান মাইকেল কোভরিগ ও মাইকেল স্প্যাভরকে আটক করে চীন। কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্ররা একে চীনের প্রতিহিংসামূলক কাজ বলে আখ্যায়িত করে। মেংয়ের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত দুই মাইকেলকে প্রায় তিন বছর কারাবন্দি করে রাখে চীন।

চীনের সঙ্গে এ অচলাবস্থা এক বছর আগে কানাডাকে নতুন একটি আন্তর্জাতিক কনভেনশন তৈরির দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়, যার কাজ কূটনৈতিক ব্যাপারে স্বেচ্ছাচাররিমূলক আটকের নিন্দা করা। এখন পর্যন্ত ৬৮টি দেশের সমর্থন লাভে সমর্থ হয়েছে এ কনভেনশন। এটি তৈরি হয়েছিল মূলত কোভরিগ ও স্প্যাভরের মুক্তিতে সহায়তার জন্য বৃহত্তর আন্তর্জাতিক জোট গঠন।

এই জোটের বাস্তবিক কোনো শক্তি নেই উল্লেখ করে চীন ও অন্য সমালোচকরা নএকে প্রত্যাখ্যান করে। জোলি বলেন, শত্রতাপূর্ণ কূটনীতির শাস্তি হিসেবে সংশ্লিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অথবা অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা কনভেনশনের থাকা উচিত বলে পর্যবেক্ষকরা যে মত দিয়েছেন তাতে যুক্তি আছে। কীভাবে কনভেনশনকে শক্তিশালী করা যায় তা নিয়ে জি৭ অংশীদারদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। আমরা একে আরও ক্ষমতা দিতে চাই। সেই সঙ্গে অন্যান্য দেশকেও এর অধীনে আনতে চাই। দুই মাইকেল যেহেতু ফিরে এসেছেন তাই স্বেচ্ছাচারি যেকোনো আটকের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়ানো প্রয়োজন। সে সময় এটা ছিল নতুন হাতিয়ার। আমার মনে হয় এটি যথেষ্ট পরিপক্কতা পেয়েছে। আমাদের একে আরও শক্তিশালী করতে হবে।

জি৭ভুক্ত কিছু দেশ কনভেনশন শক্তিশালী করার পক্ষে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছে। এর প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন কনভেনশনের প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles