13 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

কানাডাতে আসতে চান

কানাডাতে আসতে চান - the Bengali Times
মিঃ মোস্তফা আকন্দের লেখা সাথের ছবিতে দেওয়া দুটি বই

কানাডাতে আসতে চান অথবা এখানে আছেন কিন্তু আপনার অবস্থানকে একটু তথ্যবহুল বা দৃঢ় করতে চান !
তাহলে মিঃ মোস্তফা আকন্দের লেখা সাথের ছবিতে দেওয়া বইদুটি পড়ুন।
মিঃ আকন্দের সাথে এখন যদিও আমার বন্ধুত্বের সম্পর্ক, কিন্তু তার সাথে পরিচয় হয়েছিল কিন্তু লেখালেখির মাধ্যমে। তারপর উনি বিভিন্ন সময়ে উনাদের প্রতিষ্ঠানের অফিসের জায়গাটি আমাদেরকে বিভিন্ন Career Related আলোচনা বা ওয়ার্কশপের জন্য ব্যবহার করতে দিয়ে অনেক উপকার করেছেন। ওই সময়গুলিতে আমাদের কাছে কোনো ফান্ড ছিল না, সে জন্য ওই রকম একটি জায়গা পাওয়া একটু দুরহ ছিল। তার পর কমুনিটির বিভিন্ন কাজে উনার সহযোগিতা পেয়েছি।

আজকে অনেকদিন চেষ্টার পরে উনার সাথে দেখা করে উনার লেখা এবং সদ্য প্রকাশিত দুইটি বই নিয়ে আসি। দুজনের সময়ই মিলছিলো না। বই দুটির মধ্যে অধিকাংশ লেখাই উনার বিগত দিনগুলির অনেক লেখা থেকে নেওয়া, সে জন্য আমার বেশ কিছু অলরেডি পড়া। কিন্তু আমি Kind of Old School তাই প্রিন্টেড ভার্সন সবসময়ই ভালো লাগে, তাছাড়া সব লেখাগুলি একসাথে পাওয়া যায় এজন্যই বইটি পাওয়ার আগ্রহে ছিলাম।

- Advertisement -

বই দুটি বাংলাদেশের হ‌রিৎপত্র প্রকাশনী প্রকাশ করেছে। লেখাগুলি খুবই সাবলীল এবং সাধারণ ভাষায় লেখা অর্থ্যাৎ বই দুটি পড়তে আপনার সাথে ডিকশনারি লাগবে না। কানাডাতে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক কিছু কিন্তু ইমিগ্রেশনের ওয়েবসাইট বা কোনো ইমিগ্রেশন কনসালটেন্টের কাছে খুব বেশি পাওয়া যাবে না, অথচ জিনিষগুলি জানা থাকলে এখানে এসে স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে যেমন সুবিধা হয়, তেমনি আমরা যারা অলরেডি এখানে আছি তাদেরও এখানকার সবকিছু নেভিগেট করা বা নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে সুবিধা হয়। আমরা অনেকেই আছি যারা নিজের ভাষায় লেখা পড়তে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি, আর সে কারণেও আমি মনে করি মোস্তফা ভাইয়ের বই অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

উনার তথ্যমূলক লেখার পাশে পাশে গল্পগুলিও খুব সুন্দর এবং আমাদের জীবনের আসে পাশের জিনিস নিয়েই লেখা তাই কানাডা, কানাডাতে বাস করা বাঙালি বা অন্য জাতির মানুষদের জানতে বইগুলি সহায়ক হবে বলে আমি আশা করি।
সুযোগ হলে বইদুটি সংগ্রহ করে পড়ুন ভালো লাগবে এবং অনেকের কাজেও লাগবে।

মোস্তফা ভাইয়ের একটি ফুলটাইম চাকরি আছে, একটি প্রতিষ্ঠানও চালান এবং পাশাপাশি তার একটি পরিবারও আছে। এগুলিকে মেইনটেইন করা এই দেশে সময়সাপেক্ষ, তারপরেও উনি উনার নিজের মনের শান্তির জন্য কিছু লেখালেখি করেন। কিন্তু সেটি উনার নিজের মনের শান্তির পাশাপাশি আমাদেরকেও অনেক শান্তি দেয় এবং অনেক সময় উপকারেও আসে। উনার বইদুটি প্রকাশনায় আমি অনেক উৎসাহিত বোধ করছি, এবং সাথে সাথে একজন বাংলাদেশী কানাডিয়ান হিসাবে গর্বও বোধ করছি।

এখানে কিছু মানুষ আছেন তারা অনেক বড়সড় কিছু করেন, এবং সেগুলিতে উৎসাহিত হই বটে, কিন্তু আমি বেশি উৎসাহিত হই মোস্তফা ভাইদের মতো মানুষেদের তাদের Passionকে ঘিরে এই জাতীয় কাজ কর্মে। এখানে অনেকেই আছেন যারা এরকম অনেক কিছু করে থাকেন, যেমন কেউ সুন্দর বাগান করেন, কেউ বাদ্যযন্ত্র বাজান, গান করেন, আবার কেউ কেউ তাদের অবশিষ্ট সময়ে ভলান্টারিলি আরবি পড়ান, খেলাধুলা করেন, ছবি আঁকেন, মাছ ধরেন, সুন্দর সুন্দর মুখরোচক রান্না করেন ইত্যাদি। বর্তমান সময়ের আমাদের যান্ত্রিক জীবনের ব্যাস্ততার মাঝে আমরা আমাদের Passion কি সেটা ভুলেই যাই, অথচ আমরা যান্ত্রিক বা ব্যাস্ত বলেই আমাদের Passion কি সেটা জানা এবং সে অনুযায়ী কিছু করা অতি জরুরি।

ভারতীয় একজন লেখক বলেছিলেন আপনি লিখতে পারেল জীবনে কখনো Retired বা বেকার হবে না।
আমি সেটি বিশ্বাস করি। লেখার এবং পড়ার অভ্যাস থাকলে আপনি আপনার দুঃখের হোক বা সুখের হোক উভয় সময়েরই ভেন্ট আউটের একটি জায়গা সবসময়েই পাবেন, আর এই ভেন্টআউট আপনি যদিও নিজের জন্য করবেন কিন্তু দেখবেন তাতে অনেক ক্ষেত্রে অন্য মানুষেরও কাজে আসবে। বইদুটি পড়ুন, আপনি নিজেও আপনার জীবন বা আসেপাশে ঘটে যাওয়া জিনিস নিয়ে লিখুন দেখবেন ভালো লাগবে। আর হাঁ, শুধু লেখা নয়, চাকরি, পরিবার এবং দৈনন্দিন জীবনের শত ব্যাস্ততার মধ্যেও আপনি আপনার একান্ত নিজের জন্য আপনার Passionকে ঘিরে কিছু করুন। দেখবেন জীবনে হতাশা কম আসবে এবং যাই করেন না কেন, নিজেকে Accomplished মনে হবে।
সবাই ভালো থাকুন।

সবশেষে মোস্তফা ভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ বইয়ের সাথে মূল্যবান কিছু সময় দেওয়ার জন্য।
যারা বাংলাদেশে আছেন তারা বইদুটি বর্তমানে বইমেলাতেই পাবেন। খুব বেশি দাম নয়। মোটামুটি সবারই নাগালের মধ্যে। আর কানাডাতে কিভাবে, কোথায় পাবেন সে জন্য মোস্তফা ভাইয়ের সাথে এই নাম্বারে যোগাযোগ করুন। উনার অনুমতি সাপেক্ষে নাম্বারটি এখানে দিয়ে দিলাম। ৪১৬ ৮৩৭ ৩৯৯৭।

টরন্টো, কানাডা

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles