পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এক গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণ ও পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে এক হোটেল ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সোমবার দুপুরে উপজেলার মহিপুর থানার সদর ইউপির বাজারে খানাপিনা রেস্তোরাঁয় অর্ধশতাধিক মানুষের সামনে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ঐ নারী।
এ সময় হোটেলের সামনে স্থানীয়রা ভিড় জমান। দুই সন্তানের জননী ৩৫ বছর বয়সী ঐ নারী কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, অভাবের তাড়নায় প্রায় দেড়মাস আগে আবাসিক হোটেল সোহান ও খাবার হোটেল খানাপিনা রেস্তোরাঁয় গৃহপরিচারিকার কাজে মাসিক চুক্তিবদ্ধ হন মালিক আবু-হানিফের সঙ্গে। কাজ শুরু করার কিছুদিন পর থেকে আবাসিক হোটেলে আগত একাধিক মানুষদের সঙ্গে অনৈতিক কাজে বাধ্য করে হানিফ।
তিনি বলেন, এক একবার অনৈতিক কাজ শেষে আমাকে ১৫০ টাকা দিতো। সবশেষে তিনদিন আগে হানিফ নিজেই আমাকে ধর্ষণ করে। দিনদিন পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় এসব বিষয় আমি মালিকের স্ত্রীকে অবহিত করি এবং কাজ না করার শর্তে হোটেল থেকে চলে যাই। কিন্তু সোমবার আমার বকেয়া বেতন নিতে আসলে আমাকে মারধর করে এবং ভয় দেখায় হানিফ। বাধ্য হয়ে আমি মানুষের সামনে সবকিছু ফাঁস করেছি।
এদিকে অভিযুক্ত হানিফের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে ফাঁসাতে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে। আমি তাকে ধর্ষণ করিনি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভুক্তভোগী ওই নারী মহিপুর থানায় অবস্থান করছেন।
মহিপুর থানার ওসি খন্দকার আবুল খায়ের বলেন, এক নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে স্বজনদের নিয়ে থানায় এসেছেন। আমরা অভিযোগ নিচ্ছি। পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সূত্র : নতুন সময়