13.3 C
Toronto
রবিবার, মে ৫, ২০২৪

দাদার ৫ টাকাই বদলে দেয় তার জীবন

দাদার ৫ টাকাই বদলে দেয় তার জীবন

গাজী মাজহারুল আনোয়ার। একাধারে বরেণ্য গীতিকার, সুরকার, সিনেমা পরিচালক, প্রযোজক ও রচয়িতা। গুণী এই মানুষটির জন্ম ১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার তালেশ্বর গ্রামে। আজ রোববার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ৭৯ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান কিংবদন্তি এই গীতিকবি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

- Advertisement -

গাজী মাজহারুল আনোয়ারের বাবা ছিলেন ব্রিটিশ আমলের একজন নামকরা আইনজীবী। বনেদি পরিবারে তার জন্ম। দাদা-দাদি দুজনেই ছিলেন জমিদার বংশের। তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় কুমিল্লা জেলা স্কুলে। এরপর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ। বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী একজন ছাত্র ছিলেন তিনি। বাবার ইচ্ছে ছিল ছেলে বড় হয়ে ডাক্তার হবেন। আর তাই তিনি ভর্তি হন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। বছর খানেক আগে পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন কিংবদন্তি এই তারকাশিল্পী।

সে সময় তিনি জানান, মাত্র পাঁচ টাকা তার জীবনকে বদলে দিয়েছে। ডাক্তার হওয়া মানুষটি হয়ে উঠেন শোবিজের উজ্জ্বল নক্ষত্র।

গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ভাষ্য, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার মনের মধ্যে ইচ্ছে ছিল বাংলাদেশ, মাটি ও দেশের মানুষের জন্য কিছু করব। তখন কিন্তু দেশের অবস্থান ছিল বাংলাদেশ না, ইস্ট পাকিস্তান। আর দাদার কড়া নিদের্শ ছিল ছুটিতে আমাদের গ্রামের বাড়িতে আসতেই হবে। দাদা খুব মিলিটারি মেজাজের ছিল। তাই তার কথা না রাখার কোনো উপায় ছিল না আমাদের। আমরা যখন গ্রামে যেতাম দাদা তখন (পরিবারের সবাই এক হওয়ার) আনন্দ আরও বাড়িয়ে তুলতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করত। সেখানে গান, নাচ, যাত্রা, কবিতাসহ নানা আয়োজন রাখা হতো।’

তিনি আরও বলেন, ‘দাদা একদিন সকাল বেলা আমাকে প্রশ্ন করলেন, “রাতে যে গানটা তুই শুনেছিস, সে গানটার কিছু অংশ যদি তুই আমাকে শোনাতে পারিস, তবে তোকে পাঁচ টাকা দেব।” আমি তখন সেই গানের কিছু অংশ দাদাকে শুনিয়েছিলাম আর পাঁচ টাকাও পেয়েছিলাম। সেই পাঁচ টাকা দিয়েই হয়তো দাদা আমার ভাগ্যটা বেঁধে দিয়েছিলেন গান, কবিতা, মানুষ, চলচ্চিত্রসহ সংস্কৃতিক অঙ্গনের বিভিন্ন ধারার সঙ্গে। এরপর আমার মনের মধ্যেও দেশে, মানুষ, সংস্কৃতি নিয়ে নানা চিন্তা-ভাবনা আসতে থাকে। পড়াশোনার পাশাপাশি তখন থেকেই আমি গান লেখা শুরু করি। দাদার সেই পাঁচ টাকাই হয়তো আমাকে আজ এখানে নিয়ে এসেছে।’

সূত্র : আমাদের সময়

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles