0.4 C
Toronto
শুক্রবার, মার্চ ২১, ২০২৫

কাউকে নিয়ে মন্তব্য করতে নেই!

কাউকে নিয়ে মন্তব্য করতে নেই! - the Bengali Times
কাউকে নিয়ে মন্তব্য করতে নেই

ড. মোহাম্মদ ইউনূস স্যার কখনো কি জানতেন যে তিনি এত শীগ্রই দেশের প্রধান হয়ে দেশ পরিচালনা করবেন? উত্তর হলো না। কারণ শেখ হাসিনা তো ওনার চরম শত্রুর মতো দেখেন। শেখ হাসিনা কি বলেছিলেন ইউনূস স্যারকে নিয়ে মনে আছে না? বলেছিলেন পদ্মায় চুবিয়ে আবার তুলবেন।

দেখেন পরিস্থিতি ক্যামনে উল্টে গেল। ইউনূস স্যার হলেন দেশের প্রধান আর শেখ হাসিনা দেশ প্রধান থেকে দেশ শূন্য হলেন। সো কাউকে অগ্রিম কিছু বলতে হয় না।

- Advertisement -

বাবর বন্দি ছিলেন আর কিছুদিন গেলেই তো ফাঁ*সি কার্যকর হয়ে যেত। তিনি এখন বাইরে।

এখন আমার কথাই বলি। অনেক সময় ভাবলে অবাক হই। আমি কানাডায় আসার আগে আমার একজন বান্ধবী বলেছিল অন্য আরেক বান্ধবীর সঙ্গে আমাকে নিয়ে আমার সামনে, “আরে বাদ দে তো। হালিমা বলে কানাডায় যাবে। দেখিস শেষে খুলনায় পড়ে থাকবে।” আমার বাড়ি সাতক্ষীরা সেটা ভুল করে খুলনা বলেছে। সে আমার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিল। আমি বলেছি কানাডায় যাওয়ার চেষ্টা করছি এটা সে ভাবতেই পারি নি যে সত্যি হবে।

তারপর আমরা তো চলে আসলাম 2007 সালে। তার হয়তো কথাটা মনে নেই। কিন্তু আমার মনে আছে। আজও ভাবি তার কথাটা।

আমি যখন কানাডায় প্রথম এসেছি তখন এখানকার একজন বেশ পরিচিত ভাইয়ের বউ আমাকে বলেছিলেন, “তুমি আর আমি মিলে ECA পড়ব। ECE টা পড়া সহজ না। আর কাজ করাও অনেক দায়িত্বের। তুমি পারবা না।”

সেই আমি ECE শেষ করেছি। কাজ তো করছিই ECE হিসেবে আবার পাকা তিন বছর সেন্টার সুপারভাইজারের কাজ করেছি। আল্লাহর রহমতে এখনো ভালো কোম্পানিতে কাজ করতেছি। আমাকে অনেক প্যারেন্টস, স্টাফস প্রশংসা করেন। তারমধ্যে এক প্যারেন্ট প্রশংসা করে কমেন্ট করে অনেক কিছু বলেছেন। এটাও বলেছেন, ‘You have tremendous qualities.’ সুতরাং দক্ষতাটাকে ফুটিয়ে তুলতে হয়। পৃথিবীর সবার কাছে কেউ ভালো হতে পারে না। নিজের কোনো একটা ভালো ভূমিকার জন্য মানুষের মন জয় করতে পারলেও সার্থকতা মনে করতে হবে।

আমরা যখন প্রথম বাংলো বাড়ি কিনি তখন দুই-একজন বাঙালি ভাবি দেখতে এসেছিলেন। এদেশের নরমাল বাংলো বাড়িগুলো একই রকম হয়। ছোট ছোট ঘর। দুই-একটা বাংলো বাড়ি একটুখানি বড়ো হয়। তো ঐ ভাবিরা এসে দেখে বললেন, “কী আর করবা এই ছোট ঘরের মধ্যে বাস করে জীবন কাটিয়ে দিতে হবে সারাজীবন।”

আমরা বাড়ি রিবিল্ড করার ডিজাইন তৈরি করেছি। সেখানে 2 story house এ বেইসমেন্ট বাদে 4800sq f এর আয়তনে ছয়টা বড়ো বেডরুম ও সাতটা বাথরুমের draft করা হয়েছে। বেইসমেন্ট আলাদা। দুইটা গ্যারেজ ইত্যাদি। সিটি অনুমতি দিলে কাজ শুরু হবে। তো যদি লক্ষ্যটা ঠিক থাকে আর কপালে থাকে তাহলে সবকিছু পাল্টে যায়।

ডাক্তার বলেছিল ‘তোমার বাচ্চাই হবে না। সিস্ট আছে। ইত্যাদি। আল্লাহ দিয়েছেন চারজন। আরো নেওয়ার ইচ্ছে ছিল। সব আশা পূরণ হয় না।

কয়েকদিন আগে একটা পোস্টে বলেছিলাম আমার বড়ো মেয়ের রেজাল্ট ভালো হওয়াই তার স্যার তাকে মেডিকেলে পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আমাদেরও ইচ্ছে আছে, সেও চেষ্টা করবে। এখন আল্লাহর ইচ্ছে না হলে তো হবে না। আল্লাহ চাইলে হতেও পারে বলা তো যায় না। এই পোস্টে একজন আপা ফলোয়ার কমেন্ট করলেন, “আগে হয়ে নিক তো তার আগে এত্ত কথা বলে লাভ নেই।” এমন কিছু একটা বলেছেন।

সে যদি মেডিকেল না পড়তে পারে তো ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বে। সে একাডেমি রেজাল্টে 98- 100% মার্কস পেয়েছে। behavior সেকশনে 24 E পেয়েছে আউট অফ 24। সো আমরা যদি আশা করি সে মেডিকেলে পড়বে, চান্স পাবে তাতে তো ক্ষতি নেই। না হতে পারলে দুনিয়া শেষ হয়ে যাবে না। বরং কারোর জন্য দোয়া করলে সেই দোয়াও কবুল হয়।

যাই হোক, কাউকে ছোট করে দেখতে হয় না। সব সময় দেশ ও জাতির জন্য দোয়া করতে হবে।

আল্লাহ আপনাদের সুস্থ রাখুন।

 

টরন্টো, কানাডা

- Advertisement -
পূর্ববর্তী খবর
পরবর্তী খবর

Related Articles

Latest Articles