8 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

পশ্চিমে রং বদলের পালা

পশ্চিমে রং বদলের পালা
টরান্টো বিশ্ববিদ্যালয়

টরান্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ডেভিড ফুট নব্বইর দশকে ‘বুম, বাস্ট এন্ড ইকো’ (ইড়ড়স, ইঁংঃ ধহফ ঊপযড়) বইটি প্রকাশ করে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। এই বইটি পরপর তিনবছর কানাডায় সর্বোচ্চ বিক্রিত বইয়ের শীর্ষস্থান দখল করে নেয়। ডেভিড ফুট একুশ শতকের পশ্চিমা বিশ্বে বিশেষত কানাডার অর্থনৈতিক এবং সামাজিক জীবনে কি ধরনের পরিবর্তন আসবে তা নিয়ে কিছু চমকপ্রদ ভবিষ্যতবাণী করেন। সেই বাণী শোনার আগে কিছুটা অতীতে ফিরে যেতে হবে।

প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ জন মেনার্ড কেইনস অনেককাল আগেই বলে গেছেন যে, কোনো দেশের জনশক্তির সাথে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির রয়েছে সরাসরি সংযোগ। ১৯৩০ সালের মহামন্দার পেছনে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী জন্মহারের স্বল্পতাকে দায়ী করা হয়। অর্থাৎ পণ্যের চাহিদা কমে আসায় পশ্চিমে অর্থনীতির চাকা ¯øথ হয়ে পড়ে। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর একই ধরনের আশংকা থাকলেও তা ঘটেনি। বরং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এসেছে জোয়ারের মত। কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কানাডা এবং পশ্চিমা দেশগুলোতে জন্মহারে এসেছিল জোয়ার। এই জোয়ারে জন্ম নেয়া প্রজন্মকে বলা হয় বেবি বুমার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী বিশ বছর এই জন্মহারের জোয়ার অব্যাহত থাকে। এই বেবি বুমার প্রজন্ম পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষত কানাডার অর্থনীতিতে আনে উন্নয়নের জাগরণ। ফলে বেবিফুড থেকে শুরু করে সবধরনের পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। যুদ্ধপরবর্তী সময়ে পশ্চিমে অবকাঠামো গড়ে তোলার কারণে ব্যাপক অর্থনৈতিক কর্মকাÐ ঘটে। তৈরি হয় কর্মসংস্থান, প্রবৃদ্ধি ঘটে অর্থনীতির সূচকের।

- Advertisement -

কিন্তু ষাট দশকের মাঝামাঝি এই জন্মহারে ভাটা পড়ে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে আধুনিক জীবনযাত্রায় আসে ব্যস্ততা এবং ভোগবাদীতা। পেশাগত কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণ অনেক বেড়ে যায়। কানাডার পরিসংখ্যান বলছে আশির দশকে যেখানে ৫০ লাখ মহিলা কর্মরত ছিলেন, নব্বইর দশকে তা উন্নীত হয়েছে ৭৫ লাখে। অর্থাৎ এক দশকে প্রায় পঞ্চাশ ভাগ নারীর কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ বেড়েছে। কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের অধিক অংশগ্রহণের সাথে সাথে এসেছে নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। ফলে ভেঙ্গে পড়েছে সনাতনী পরিবার প্রথা। অধিক সংখ্যক নারী ও পুরুষ ঝুঁকে পড়ছে একাকী জীবন বা বিবাহবিহীন একত্র বসবাসে। দুই দশক আগে বিবাহবিহীন একত্র বসবাসকারী নারী পুরুষের সংখ্যা ছিল ৭ লাখ। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখের উপর। গত দুই দশকে বিবাহবিহীন একত্র বসবাসকারী দম্পতির হার ১৭ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ শতাংশে। একই সাথে সন্তানহীন দম্পতির সংখ্যাও ক্রমশ বাড়ছে। ১৯৮১ সালে সন্তানহীন দম্পতির সংখ্যা ছিল ৩৪ শতাংশ, ২০০১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ শতাংশ।

জন্মহারের স্বল্পতার এই চিত্র কেবল কানাডার নয় বরং পশ্চিমা বিশ্বের সামগ্রিক চিত্র। ডেভিড ফুট বলেন ষাট দশকের পরবর্তী প্রজন্মের সংখ্যা (জেনারেশন এক্স) বিপুলভাবে হ্রাস পায়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর উচ্চশিক্ষা, সরকারী এবং বেসরকারী চাকুরির বাজার ইত্যাদি ক্ষেত্রে যে শূন্যতা বিরাজ করছিল তা সহজেই পূরণ করে বেবিবুমার প্রজন্ম। স্বভাবতই এরা হলেন কানাডার সবচেয়ে ভাগ্যবান, সফল ও স্বচ্ছল প্রজন্ম। কিন্তু বুমারদের পরবর্তী প্রজন্ম তাদের পিতামাতার মত সৌভাগ্যবান নয়। ডেমোগ্রাফির পরিবর্তন কিভাবে অর্থনৈতিক সংস্কৃতিতে প্রভাব ফেলে তার একটি চমৎকার গল্প রয়েছে ডেভিড ফুটের বইতে। আশির দশকের প্রথমভাগে কানাডায় টেনিস খেলার জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গস্পর্শী। টেনিস ক্লাবগুলোতে সদস্য হবার জন্য দীর্ঘ তালিকায় নাম লিখে অপেক্ষা করতে হতো, কবে ডাক পড়ে। আর স্পোর্টস শপের ডিলাররা খেলার সামগ্রী যোগান দিতে হিমশিম খেত। নব্বইর দশকে এই পট রাতারাতি পরিবর্তিত হয়ে গেল। কর্মকর্তাগণ ক্লাব টিকিয়ে রাখার জন্য সদস্য পাবার আশায় নানারকম বিজ্ঞাপন দিতে বাধ্য হল। কিন্তু তারপরও দেখা গেল টেনিসের জনপ্রিয়তা ক্রমশ পড়তির দিকে।

আশির দশকের প্রথমার্ধে বুমার প্রজন্ম পেশাগত সাফল্যের মধ্যগগণে এবং বয়সে মধ্যযৌবনে। যৌবনের স্বভাবগত আকর্ষণে এরা অনেকেই ঝুঁকেছিলেন টেনিস খেলার দিকে। কিন্তু নব্বইর দশকে এসে এদের বয়স চল্লিশ পেরিয়ে গেল। মধ্যবয়সে টেনিস খেলার মোহ কেটে গেল এবং শারীরিক সামর্থ্যও কমে গেল। ফলে টেনিস র‌্যাকেট স্থান পেল ক্লজেটে কিংবা গ্যারেজে। পরবর্তী প্রজন্ম কিন্তু বুমারদের মত এত ভাগ্যবান ছিল না। কারণ চাকুরির বাজারে বেশিরভাগ পদ দখল করে রেখেছিল বুমার প্রজন্ম। সুতরাং কঠিন জীবিকার সংগ্রামে লিপ্ত পরবর্তী প্রজন্মের না ছিল টেনিস খেলার অবসর, না ছিল আর্থিক সামর্থ্য। ফলে টেনিসের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেল। ডেমোগ্রাফির এই পট পরিবর্তনের ফলে কানাডা এবং পশ্চিমা বিশ্বের অর্থনীতি, পণ্যবাজার এমনকি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

ডেমোগ্রাফির পরিবর্তনের বাণিজ্যিক ইঙ্গিত অনেক বেনিয়া কোম্পানি বুঝে নিয়ে মুনাফা লুটছে। এমনকি বিনোদন মাধ্যমেও তার প্রভাব পড়েছে।

বাণিজ্য রাজ্যের অনেকটাই জুড়ে আছে সিনেমা। সিনেমা কেন হিট হয় অথবা ফ্লপ হয় এই নিয়েও নানা মুনির নানা মত। হলিউডের চিত্রনাট্যকার উইলিয়াম গোল্ডিম্যান বলেছেন- কেউ কিছু বলতে পারে না। ১৯৯৭ সালের ক্রিসমাসের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পেল ‘টাইটানিক’ মুভি। ১৯১২ সালের একটি বিশাল যাত্রীবাহী জাহাজ ডুবির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছবিটি তৈরি হয়েছিল এবং এই ঐতিহাসিক ঘটনা নিয়ে এটাই প্রথম ছবি ছিল না। এর আগেও এই কাহিনি চিত্রায়িত হয়েছে এবং ইতিপূর্বে বহুবার এই নাটকীয় ঘটনাটি প্রদর্শিত হয়েছে চলচ্চিত্রে এবং টেলিভিশনে। সুতরাং সমসাময়িকতার পরিপ্রেক্ষিতে এই ছবিটির কোনো গুরুত্বই ছিল না। অথচ এর তিনমাস পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের রগরগে যৌন অভিযান ও কেলেংকারীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত ছবি ‘প্রাইমারি কালারস’ মুক্তি পেল হলে। কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিল জনপ্রিয় অভিনেতা জন ট্রাভোল্টা। এই সময় ক্লিনটনের কেলেংকারী নিয়ে মার্কিন মিডিয়াতে বেশ মাতামাতি চলছে। একেবারে মোক্ষম সময়ে মুক্তি পেল প্রাইমারি কালারস। অথচ টাইটানিকের বিপুল জনপ্রিয়তার জোয়ারে ভেসে গেল প্রাইমারি কালারস।

এই সফলতা ব্যর্থতার কারণ ডেভিড ফুট ব্যাখ্যা করেছেন ডেমোগ্রাফির প্রেক্ষাপটে। প্রাইমারি কালারের টার্গেট দর্শক ছিলেন মার্কিন বুমার প্রজš§। কিন্তু ব্যস্ত বুুমারগণ আজকাল হলে ছবি দেখার সময় পান নাÑ তাদের আগ্রহের স্থল অন্যত্র। অপরদিকে বুমারদের সন্তানরা এখন সদ্য যৌবনে পদার্পণকারী টিনএজার। তাদের কাছে ক্লিনটনের কেলেংকারী থেকে রিওনার্ডো ডি ক্যাপরিও এবং কেট উই¯েø¬টের প্রেমের আবেদন অনেক বেশি আকর্ষণীয়। দেখা গেছে অনেক টিনএজ মেয়েরা বিশ ত্রিশ বার হলে ছুটেছে একই ছবি বারংবার দেখার জন্য। টাইটানিকের প্রেম কাহিনির সাথে যুক্ত হয়েছে পরিচালক জেমস ক্যামেরনের স্পেশাল এফেক্টস। স¤প্রতি মেট্রিক্স রিলোডেড এর অভ‚তপুর্ব সাফল্য স্পেশাল এফেক্টস-এর প্রভাব প্রতিপত্তিকে আবার মনে করিয়ে দেয়। টিন এজারদের কাছে ছবির এই বিশেষ কৌশলের কারিগরী কেরামতির আবেদন অসামান্য।

নোবেল পুরষ্কারপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলিৎজ মন্তব্য করেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণ মানুষের গড়পড়তা আয় সিকি শতাব্দীর আগের পর্যায়ের চেয়েও নিচে নেমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে স্টক মার্কেট ঘুরে দাঁড়ালেও মধ্যবিত্তের সম্পদ ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৪০ শতাংশ কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর হারিয়েছে এবং আরো অনেকে হারানোর আশংকায় দিন গুনছে। স্বাস্থ্যখাতেও বীমা না থাকায় চার কোটি আমেরিকান অনিশ্চয়তায় ভুগছে।

ইউরোপে যদিও আগে থেকেই শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে সামাজিক সুরক্ষা প্রবর্তন হয়েছে তা সত্তে¡ও বেকারত্বের সমস্যাকে সামাল দেয়া যাচ্ছে না। আজ ইউরোপের নানা দেশে উচ্চহারের বেকারত্ব (গড়ে ১২%, সর্বোচ্চ ২৫%) সাধারণ মানুষের অসহায়ত্বের চিত্রই তুলে ধরে।

স¤প্রতি প্রকাশিত এক প্রবন্ধে অধ্যাপক ডেভিট ফুট ব্যাখ্যা করেছেন যে যখনই যে দেশের জনশক্তির জোয়ার এসেছে সেখানেই ঘটেছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন। যেমন, ১৯৫০-৮০ সাল পর্যন্ত জাপান, ১৯৬০-৯০ সাল পরিসরে জার্মানি, ১৯৭০-২০০০ সময়কালে দক্ষিণ কোরিয়া এবং ১৯৯০-২০১০ সাল পর্যন্ত চায়নায় ঘটেছে উন্নয়ন বিপ্লব।

পশ্চিমা দেশে বন্ধনহীন জীবনধারার কারণে এবং চায়নায় চল্লিশবছর আগের নেয়া ‘দম্পতি প্রতি এক সন্তান’ নীতির কারণে জনশক্তিতে এসেছে ভাটা। দক্ষকর্মশক্তির এই ঘাটতি পূরণের জন্য কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ এখন পর্যন্ত খুলে রেখেছে অভিবাসনের দরজা। এই অভিবাসনের কারণে বদলে যাচ্ছে টরান্টো, সিডনি, নিউইয়র্ক, লন্ডন এবং শিকাগোর মত কসমোপলিটন শহরগুলোর নাগরিক রং। অভিবাসনের কারণে কানাডার জনসংখ্যা বাড়ছে প্রতিবছর প্রায় এক শতাংশ। নবাগত অভিবাসীরা অধিকাংশই ভিড় করছে ‘গোল্ডেন হর্স সু’ নামে পরিচিত প্রধান পাঁচটি শহরে। এই শহরগুলো হল টরান্টো, মন্ট্রিয়ল, ভ্যানকুভার, ক্যালগরি এবং এডমান্টন। টরান্টো শহর একাই আকর্ষণ করছে প্রায় অর্ধেক অভিবাসী। বর্তমানে গ্রেটার টরান্টোর বাসিন্দা প্রায় ৫০ লক্ষ। দুই দশক আগে ১৯৯০ সালে যেখানে বহিরাগত অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ২৫ শতাংশ, আজ সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ বা ২৫ লক্ষ। নিউইয়র্কসহ পশ্চিমা বিশ্বেও কসমোপলিটন শহরগুলোর চিত্র অনেকটা একই রকম। যেই সত্যটি এই পরিসংখ্যানে ধরা পড়েছে তা হল ধীরে ধীরে পশ্চিমা বিশ্বে কসমোপলিটন শহরগুলোর রং বদলে যাচ্ছে। যেসব দেশ এখনো তাদের অভিবাসনের দরজা বন্ধ রেখেছে তারা মেনার্ড কেইনসের শ্লথ ধারার চক্রে পড়ে শিকার হচ্ছে অর্থনৈতিক মন্দার।

স¤প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিউ রিসার্চ সেন্টারের রিপোর্টে খুবই অবাক করা তথ্য বেরিয়ে এসেছে। বলা হয়েছে ৬৫ ভাগ আমেরিকানদের ধারণা তাদের পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ হবে তাদের তুলনায় ¤øান। অন্যদিকে ৭১ ভাগ বাংলাদেশী মধ্যবিত্ত লোকজনের ধারণা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যত এদেশেই উজ্জ্বল। অথচ আশি বা নব্বইর দশকে স্বচ্ছল শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পিতামাতারা মনে করতেন বিদেশে প্রধানত পশ্চিমা দেশে শিক্ষা লাভ করতে না পারলে সন্তানদের ভবিষ্যত হবে অনিশ্চিত। সমীক্ষা বলছে কালের পট পরিবর্তনে সেই মানসিকতা অনেকটাই বদলে গেছে। কারণ বাংলাদেশে উৎপাদন, বিপণন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিদ্যুৎ, টেলিযোগাযোগ, আবাসন এবং সেবাখাতে প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। মূলত চীন আর ভারতের অপ্রতিরোধ্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে এই অঞ্চলে কাজের বাজার আরো প্রসারিত হবে এবং সংকুচিত হবে পশ্চিমে। লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় পূর্ব পশ্চিম উপন্যাসের শেষ দিকে এই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। সুমেরীয় সভ্যতার পর এসেছিল গ্রিক, তারপর ক্রমান্বয়ে রোমান, বাইজেনস্টাইন, অটোম্যান, ইউরোপ এবং আমেরিকান সভ্যতা বিকাশ লাভ করে। একেক সভ্যতা প্রায় দুইশত থেকে পাঁচশ বছর পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করে গেছে। তাহলে অর্থনীতির চাকা ঘুরে কি সেই কথাই সত্যি হবে? প্রাচ্যের দেশ জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার পথ ধরে সেই চাকা কি চীন বা ভারতের দরজায় এসে কড়া নাড়বে?

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles