পুরো ২০২৪ সাল জুড়ে ব্যবসা দেউলিয়া হওয়ার ঘটনা উচ্চই থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। ডেভিস ওয়ার্ড ফিলিপস অ্যান্ড ভাইনবার্গ এলএলপির পার্টনার নাতাশা ম্যাকপারল্যান্ড বলেন, অনেক বছর ধরে আমরা কৃত্রিমভাবে দেউলিয়া আবেদন কম করে দেখিয়েছি।
তিনি বলেন, মহামারির সময় ঐতিহাসিকভাবে স্বল্প সংখ্যক দেউলিয়াত্বের আবেদন হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দেউলিয়াত্ব এবং পুনর্গঠন প্রক্রিয়া। সরকারি সহায়তার কারণে এমনটা হয়েছে। তবে ২০২৩ সালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। একই ধারা ২০২৪ সালেও অব্যাহত রয়েছে।
অফিস অব দ্য সুপারিন্টেন্ডেন্ট অব ব্যাংকরাপ্টসির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ২০২২ সালের তুলনায় ব্যবসা দেউলিয়া হওয়ার ঘটনা বেড়েছে ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে ২০১৯ সালের সঙ্গে তুলনা করলে ২০২৩ সালে ব্যবসা দেউলিয়া হওয়ার ঘটনা বেড়েছে প্রায় ৩১ শতাংশ।
২০২৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধের কোনো এক সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হওয়ার ঘটনা মহামারি পূর্ববর্তী সময় বা ২০১৯ সালকে ছাড়িয়ে যেতে শুরু করে। কিন্তু তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার খুব একটা দরকার নেই।
ম্যাকপারল্যান্ড বলেন, হঠাৎ করে দেউলিয়াত্ব আবেদনের বন্যা বয়ে গেলে আমি উদ্বিগ্ন হতাম। কিন্তু আমি যেমনটা প্রত্যাশা করেছিলাম পরিস্থিতি তেমনটাই মনে হচ্ছে আমার কাছে। ২০১৯ সালে দেউলিয়াত্ব আবেদন কম হয়েছিল। এবং নির্দিষ্ট মাত্রায় দেউলিয়াত্ব অর্থনীতির স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো।
কোনো ব্যবসা ঋণ বা অন্যান্য দায় পরিশোধ করতে না পারলে দেউলিয়াত্বের মুখে পড়ে। সেটা হতে পারে ব্যাংকরাপ্টসি এবং প্রোপোজাল। ব্যাংকরাপ্টসির অর্থ হলো ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া। আর প্রোপোজাল পুনর্গঠনের উপায় প্রস্তাব করে থাকে।