7.9 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪

কোনটা সঠিক?

কোনটা সঠিক?
প্রতীকী ছবি

আমাদের জীবদ্দশায় তারাবী নামাজ সব সময় বিশ রাকাতই ছিল, হঠাৎ করে বিগত কয়েক বছর যাবত তারাবী নামাজ ৮ রাকাত না ২০ রাকাত এ নিয়ে বিতর্ক তৈরী করা হচ্ছে। আজ একজনের পোষ্টে পড়লাম আসলে তারাবী নামাজ বলে কোন কিছুর অস্তিত্বই রসুল (সঃ) এর সময় ছিল না, শুরু হয়েছে ওমর (রাঃ) এর সময় থেকে। যিনি এটা লিখলেন তার ফিডের পাতায় পাতায় ইসলাম ধর্ম এবং নবী সাহাবা নিয়ে অশ্রাব্য ও অশালীন পোষ্ট। বুঝুন তাহলে কে ফতোয়া দিচ্ছেন!

ইদানিং অনেকেই নামাজ এবং রোজা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন, নিজেদের মত করে ব্যাখা দিচ্ছেন যে এসব আসলে কোরান শরীফেই নেই। কেউ কেউ হাদিস শরীফের কথাগুলোকে ভুয়া বা মনগড়া বলে যুক্তি দেবার চেষ্টা করছেন। ঐ লোকই বলছেন হাদিস নয় কোরানের দিকে মনযোগ দাও!
দীর্ঘদিনের পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে কেউ কেউ সমালোচনা করছেন। ক্লাসে প্রথম বা দ্বিতীয় হওয়া নিয়ে যে প্রতিযোগিতামুলক একটা ব্যবস্হা সমাজে ছিল তা নিয়ে কেউ কেউ কটাক্ষ করছেন। বাংলাদেশের গোটা শিক্ষা ব্যবস্হা নিয়ে বিগত কয়েক বছর যে রকম কাঁটাছেড়া করা হয়েছে তা আগে কখনো দেখি নি। প্রতিযোগিতা না থাকলে যোগ্যতা কিভাবে যাচাই হবে? তাহলে কি বিসিএস সহ অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে দেয়া হবে? তাহলে সরকারী বেসরকারী পদগুলোতে নিয়োগ কিভাবে হবে? অবশ্য পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল হলে একরকম সুবিধাই হবে। ৯০ সালের পর থেকে যে কোন নিয়োগে ছাত্র রাজনীতির ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করা হয়। সুতরাং যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তার দলের ব্যাকগ্রাউন্ড না হলে সমস্যায় পড়তে হয়। অতএব এখন প্রতিযোগিতামুলক পরীক্ষার আর দরকার কি?

- Advertisement -

হাতের পাঁচ আঙুল সমান হয় না। গুণী বা মেধাবী যাচাইয়ের সুযোগ থাকতেই হবে। তা না হলে যার কেরানী হবার যোগ্যতা নাই তিনি সচিব হয়ে বসে থাকবেন। তাই বলে একজন সচিব হলেই যে অন্যরা নস্যি হয়ে যাবেন তা কোন গনতান্ত্রিক দেশে, আইনের শাসনের দেশে সম্ভব হয় না। কেরানী বা সচিব উভয়ের মানবাধিকার, মানবিক মর্যাদায় পার্থক্য থাকার কথা নয়। পার্থক্য হয় সেসব দেশে যেখানে কোন আইনের শাসন থাকে না।

মূলত শান্তিপূর্ণ সমাজ, দেশ এবং বিশ্বটাকে অশান্তিপূর্ণ করে তোলাই আমাদের অনেকের কাজ। যে কথা আমি আপনাকে বলছি, আমি নিজে করবো তার পুরো উল্টোটা। হিংসা পরশ্রীকাতরতা আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। সেই জন্যেই অনেকে বলেন আমাদের জাতীয় খেলা কাবাডি কারণ অন্যের ঠাং ধরে টেনে নিজের পর্যায়ে না নামানো পর্যন্ত আমাদের শান্তি নেই।

সবশেষে মাওলানা হাবিবুর রহমান যুক্তিবাদীর একটা ওয়াজ দিয়ে শেষ করি। সিলেটে একবার দোয়াল্লিন বনাম জোয়াল্লিন গ্রুপের মারামারি শুরু হয়েছে। হঠাৎ করে দুই গ্রুপের দুইজন ছাতি নিয়ে এক ব্যক্তিকে মারতে উদ্যত হয়ে জিজ্ঞেস করে, বল ব্যাটা তুই দোয়াল্লিন নাকি জোয়াল্লিন? তৃতীয় ব্যক্তিটি ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে উত্তর দেয়, ভাইরে, আমি নামাজই পড়ি না! কিসের দোয়াল্লিন আর জোয়াল্লিন!

স্কারবোরো, কানাডা

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles