10.5 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৫

‘১০ লাখ টাকা নেন মিষ্টি খেতে, কাউরে বলবো না’

‘১০ লাখ টাকা নেন মিষ্টি খেতে, কাউরে বলবো না’ - the Bengali Times
ছবি সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামকে চাকরি প্রদানের বিনিময়ে মিষ্টি খেতে দশ লাখ টাকার প্রস্তাব দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছেন মিথি নামের এক তরুণী। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে চাকরি প্রদানের অনুরোধ জানিয়ে প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন এবং পরবর্তীতে ওই বার্তাটি পাঠান তিনি। হোয়াটসঅ্যাপ আইডিতে তার নাম দেখা যায় মিথি। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচএম আলী হাসান ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং-১০২১) করেছেন।

ক্ষুদেবার্তায় ওই তরুণী লিখেছেন, ‘স্যার ১০ লাখ মিষ্টি খেতে নেন স্যার, এটা আপনি আর আমি ছাড়া কেউ জানবে না ইনশাআল্লাহ, আমার সত্যিই ওখানে কেউ নেই, প্লিজ স্যার চাকরিটা খুব দরকার।’

- Advertisement -

জিডি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় উপাচার্যের মোবাইলে মিথি নামক এক অজ্ঞাত নারী উপাচার্যকে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অনুরোধ করে মেসেজ পাঠান। এছাড়া মেয়েটি উপাচার্যের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার জন্য জোরাজুরি করেন। উপাচার্য তার সঙ্গে কথা না বললে ওই মেয়ে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠায়। এ বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করলে উপচার্যের মানহানি হবে বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়।

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, উপাচার্য স্যারকে মিষ্টি খাওয়ার জন্য এক চাকরিপ্রার্থী মেয়ে ১০ লাখ টাকা দিতে চাইছে। স্যারকে মেসেজ করে বলেছে। স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী থানায় জিডি করা হয়েছে। এদিকে জিডিতে উল্লেখিত নম্বরে যোগযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘সকালে ১১ টার ফুল দিয়ে আসছিলাম তখন এক মহিলা কণ্ঠ আমাকে ফোন দিয়ে বললো, স্যার আমি আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই। আমি পরিচয় চাইলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, স্যার আপনি কী একা? আমি আবার কল দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাকরির ব্যাপারে কথা বলবো। আমার তো কুষ্টিয়াতে কেউ নাই। আমি কাউকে চিনি, জানিও না।’

‘তখন আমি তার সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী না বলে কল কেটে দিলাম। তিনি আবার অনুরোধ করে বললে, প্লিজ একটা মিনিট একটু কথা বলেন। তারপর আমি কেটে দিলে একটা মেসেজ পাঠায় যে, ১০ লাখ টাকা নেন মিষ্টি খেতে। এটা আমি কাউরে বলবো না। এখন দেখেতেছি সেই মেসেজটা ডিলেট করে দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা এটা একটা চক্রের ষড়যন্ত্রের জাল ছিল। এটার সাথে সাথে আমি জিডিটা করেছি এবং পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি যেন দ্রুত এটা খুঁজে বের করে।’

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles