17.1 C
Toronto
রবিবার, মে ৫, ২০২৪

ছেলের শিক্ষক খুঁজতে গিয়ে কোচিং সেন্টারে ধর্ষণের শিকার মা

ছেলের শিক্ষক খুঁজতে গিয়ে কোচিং সেন্টারে ধর্ষণের শিকার মা

অ্যাম্বিশন কোরিয়ান ল্যাংগুয়েজ কোচিং সেন্টারের পরিচালক মো. নাহিয়ান ইসলাম নাহিদসহ আরও দুইজন মিলে তাকে ধর্ষণ করেন বলে ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

- Advertisement -

এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নাহিয়ান ইসলাম নাহিদকে গ্রেফতার করা হলেও পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত আরও দুইজন। নাহিয়ান ঈশ্বরদী পৌরসভার শেরশাহ রোড এলাকার শাহনেওয়াজ ইসলাম হিরোজের ছেলে।

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সকালে তার ছেলেকে প্রাইভেট পড়ানোর শিক্ষক খোঁজার জন্য অ্যাম্বিশন কোরিয়ান ল্যাংগুয়েজ কোচিং সেন্টারের পরিচালক মো. নাহিয়ান ইসলাম নাহিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় নাহিদ তার কোচিং সেন্টারে সাক্ষাতে দেখা করতে বলেন। এরপর ওই দিনই বিকেলে তিনি কোচিং সেন্টারে গেলে সেখানে নাহিয়ানসহ অজ্ঞাত দুইজনকে বসে থাকতে দেখেন। পরে নাহিয়ান কোচিং সেন্টারের মূল দরজা বন্ধ করে দেন।

এরপর তিনজন মিলে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলেন। ওই নারী বাড়ি ফিরে পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানান। প্রথমে লোকলজ্জার ভয়ে পরিবার চুপ ছিল। পরে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে আলোচনা করে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন।

এ বিষয়ে যে বাসায় অ্যাম্বিশন কোরিয়ান ল্যাংগুয়েজ কোচিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল সেই বাড়ির মালিক চৌধুরী সাদিক বলেন, ‘যেদিন এ ঘটনা ঘটে সেদিন আমি বাসাতেই ছিলাম। এ ঘটনা শোনার পর আমি তাদের কোচিং সেন্টারে তালা মেরে দেই এবং তাদেরকে আর ভাড়া দেব না বলে দিয়েছি।’

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, ঘটনাটি মঙ্গলবার ঘটলেও ভুক্তভোগী বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) থানায় অভিযোগ দেন। অভিযোগ হাতে পাওয়ার পর রাতে থানা পুলিশ মূল অভিযুক্ত নাহিয়ানকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত বাকী দুইজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাতেই পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরীক্ষার প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র : সময় নিউজ

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles