আওয়ামী লীগের ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশ মঙ্গলবার। রাজধানীতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ সমাবেশ ও র্যালি অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে ঢাকার বাইরে রাজশাহী, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের সব জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ কর্মসূচি পালন করবে। এতে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন।
এর আগে ‘শান্তি সমাবেশ’ করলেও এবারই প্রথম এর সঙ্গে ‘উন্নয়ন’ শব্দ যুক্ত করে সমাবেশ করতে যাচ্ছে তারা।
বিএনপি-জামায়াতের ‘সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের’ প্রতিবাদে আয়োজিত এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বড় শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একাধিক প্রস্তুতি সভাও করেছে দলটি।
সংশ্লিষ্ট নেতারা বলছেন, এসব কর্মসূচি ঘিরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক সেটা তারা চান না। এ কারণে কর্মসূচি ঘিরে তাদের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
তাদের মতে, তিনটি লক্ষ্য সামনে রেখে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনের নামে বিএনপিকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না দেওয়া, নির্বাচনি প্রস্তুতি এবং সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরা। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে নেতাকর্মীদের সব ধরনের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তারা।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ জানান, বেলা তিনটায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এছাড়া দলের কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতারা এতে অংশ নেবেন। সমাবেশের পর র্যালি হবে। র্যালি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট, শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড, সিটি কলেজের রাস্তা হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে গিয়ে শেষ হবে।
গত ডিসেম্বর থেকেই নানা কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার সরকার পতনের একদফা নিয়ে মাঠে নেমেছে দলটি।
এদিকে বিএনপিকে শুরু থেকেই ফাঁকা মাঠ ছাড়েনি আওয়ামী লীগ। ঢাকাসহ সারা দেশে নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে ছিল ক্ষমতাসীনরাও। সামনের দিনগুলোতেও বিএনপিকে রাজপথ ফাঁকা ছাড়বে না ক্ষমতাসীনরা। অতীতের ধারাবাহিকতায় নানা কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
সর্বশেষ ১২ জুলাই ঢাকায় দেড় কিলোমিটারের ব্যবধানে দুটি পালটাপালটি বড় সমাবেশ করেছে তারা। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফরের মধ্যে এ পালটাপালটি সমাবেশ হয়। তবে কোনো সংঘাত বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
সূত্র : যুগান্তর