-0.9 C
Toronto
মঙ্গলবার, মার্চ ১৯, ২০২৪

ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা ট্রুডোর

ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা ট্রুডোর
ট্রুডো বলেন রাশিয়ার আক্রমণের মধ্যে ইউক্রেনের টিকে থাকার জন্য মিত্রদের সমর্থন খুবই গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলো যুদ্ধবিরতির যে চেষ্টা করছে তাতে অবশ্যই রাশিয়ার বিরুদ্ধে দোষারোপ থাকতে হবে

জি৭ সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে রাশিয়াকে কড়া সমালোচনায় বিদ্ধ করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। পরে সম্মেলনের মনোযোগ চলে যায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেস্কির দিকে এবং তার দেশেল পক্ষে আরও সমর্থন আশা করেন তিনি।

জাপানের হিরোশিমাতে রোববার ট্রুডো বলেন, রাশিয়ার আক্রমণের মধ্যে ইউক্রেনের টিকে থাকার জন্য মিত্রদের সমর্থন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশগুলো যুদ্ধবিরতির যে চেষ্টা করছে তাতে অবশ্যই রাশিয়ার বিরুদ্ধে দোষারোপ থাকতে হবে।

- Advertisement -

জি৭ সম্মেলনে যোগদান শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমরা যদি শক্তিশালী সামরিক সহায়তা নিয়ে না দাঁড়াতাম তাহলে ইউক্রেন আজকের অবস্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতো না। রাশিয়া যাতে বিজয়ী হতে না পারে সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টায় আমাদের দ্বিধা থাকা চলবে না।
জি৭ দেশগুলো রাশিয়ার ওপর নতুন করে অবরোধ ঘোষণার পর শনিবার হিরোশিমাতে পৌঁছান জেলেনস্কি। সম্মেলনে গ্লোবাল সাউথকে আমন্ত্রণ জানানো হয়, যাতে করে রাশিয়া ও ও ইউক্রেন থেকে ভূরাজনৈতিক হুমকির মুখে বৃহত্তর জোট গড়ে তোলা যায় সেই আশায়।

তিন দিনের সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র এই ঘোষণা দেয় যে, পশ্চিমা মিত্ররা আমেরিকায় তৈরি ফাইটার জেট ইউক্রেনের সহায়তায় যুদ্ধে পাঠাতে পারবে। কানাডা কীভাবে এই উদ্যোগে সহায়তা করতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তরে ট্রুডো বলেন, কানাডিয়ান সমস্ত্র বাহিনী যে সহায়তা দিচ্ছে তাতে পাইলট প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। সব ধরনের বিকল্পের প্রতিই আমাদের সমর্থন উন্মুক্ত রাখছি আমরা।
রোববার সকালে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রুডো। তিনি বলেন, জেলেনস্কির স্বশরীরে হিরোশিমায় উপস্থিতি বড় ব্যবধান তৈরি করে দিয়েছে।

জি৭ সম্মেলনে উদীয়মান অর্থনীতি ভারত, ব্রাজিল ও ইন্দোনেশিয়ার নেতাদের পাশাপাশি স্বল্পোন্নত দেশগুলোর প্রতিনিধিদেরও স্বাগত জানানো হয়। এসব দেশের অনেকেই অর্থনৈতিকভাবে রাশিয়ার ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল। তাই রাশিয়ার কর্মকা-ের নিন্দা জানানোর ব্যাপারে তারা অনেক ে বশি দ্বিধায় থাকে।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভা রোববার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো পাশাপাশি শান্তি আলোচনার জন্য ব্রাজিলের অন্তর্ভুক্তিতে একটি ক্লাব অব নেশনের প্রস্তাব দেন। একই সঙ্গে তিনি ইউক্রেনকে অস্ত্র জোগান দিতে অস্বীকৃতি জানান। এই যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনেরও কিছুটা সমালোচনা করতে ছাড়েননি তিনি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ এই যুদ্ধে উস্কানি দিচ্ছে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles