10.8 C
Toronto
বুধবার, মে ৮, ২০২৪

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করছে কানাডা

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করছে কানাডা
এই অঞ্চলের মানবাধিকার নিয়ে যে উদ্বেগ আছে কানাডা তা কীভাবে সামাল দেবে সেই প্রশ্ন তুলছেন সমালোচকরা

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার পরিকল্পনা করছে কানাডা। কিন্তু এই অঞ্চলের মানবাধিকার নিয়ে যে উদ্বেগ আছে, কানাডা তা কীভাবে সামাল দেবে সেই প্রশ্ন তুলছেন সমালোচকরা।

গত মাসে অটোয়া ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল প্রকাশ করে। তাতে কূটনৈতিক, সামরিক ও বাণিজ্য সম্পর্কে মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলে তাদের উপস্থিতি জোরদারের কথা বলা হয়েছে। মানবাধিকারকে চীনের তোয়াক্কা না করা ও বৈশি^ক বাণিজ্য রীতির পাল্টা দিতেই এ উদ্যোগ।

- Advertisement -

অটোয়া ইন্দোনেশিয়া, ভারত ও অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এবং সামরিক প্রশিক্ষণের পরিকল্পনাও করছে। কিন্তু যেসব দেশেল সঙ্গে কানাডা সম্পর্ক গভীর করতে চাইছে সেসব দেশের মানবাধিকার নিয়ে নীরব থাকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অধিকার কর্মীরা।

কানাডিয়ানস ইউনাইটেড এগেইন্সট হেইটের প্রতিষ্ঠাতা ফরিদ খান বলেন, মানবাধিকার হচ্ছে মানবাধিকার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী সরকারের সঙ্গে কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা সময় আপনি শঠতা অবলম্বন করতে পারেন না। আমরা চুপ থাকতে পারি না।

গত সপ্তাহেই ইন্দোনেশিয়া সমকামিতাকে শাস্তিমূলক ঘোষণা করে সর্বসম্মত আইন পাশ করেছে সেদেশের সংসদ। সমকামিতার শাস্তি এক বছর পর্যন্ত জেল। এছাড়া প্রেসিডেন্ট ও সরকারি ইন্সটিটিউটকে অপমান করাও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

আইনটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি বৃহস্পতিবার সার্বিকভাবে মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, অটোয়া ওই অঞ্চলে বন্ধ তৈরির চেষ্টা করছে এবং তাদেরকে কানাডিয়ান মূল্যবোধের দিকে ধাবিত করতে চাইছে। মানবাধিকার সবসময়ই আমাদের পররাষ্ট্রনীতির অংশ। সবসময়ই এটা রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সুতরাং, এই ইস্যুটি বারবারই আমরা সামনে আনবো।

১৯৪৫ সালের নথির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মানবাধিকার ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। যদিও এনডিপি বলছে, ২০১৫ সাল থেকে লিবারেল পার্টি ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাণিজ্য আলোচনার নামে ওই নীতিকে খাটো করে দেখা হচ্ছে।

এনডিপির পররাষ্ট্রবিষয়ক ক্রিটিক হিদার ম্যাফারসন সাংবাদিকদের বলেন, মানবাধিকার, উন্নয়ন ও কূটনৈতিক সম্পর্কের চেয়ে বাণিজ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়টি আমরা ধারাবাহিকভাবে দেখে আসছি। কানাডার সৎ মধ্যস্থতাকারী হওয়ার সুযোগ রয়েছে। সকলের জন্য বিশ^কে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ করতে সেই প্রভাবটা আমাদের অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles