7.7 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নূর চৌধুরীকে ফেরত দেবে না কানাডা

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নূর চৌধুরীকে ফেরত দেবে না কানাডা
কানাডা আইনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ফেরত দেওয়া সম্ভব না বলে হাইকমিশনার জানিয়েছেন

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নূর চৌধুরীকে ফেরত দেবে না কানাডা
বিকল্প পথে চায় বাংলাদেশ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক ২ নভেম্বর, ২০২২ ০৮:৪৭ | পড়া যাবে ২ মিনিটেপ্রিন্টমৃত্যুদণ্ডাদেশ থাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার আসামি এম বি নূর চৌধুরীকে ফেরত দেওয়া কানাডার পক্ষে সম্ভব নয়। ঢাকায় কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস গতকাল মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা জানান। নূর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর জন্য বিকল্প পথ খুঁজতে আইনমন্ত্রী কানাডাকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

আইনমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি নূর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

- Advertisement -

কানাডা আইনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ফেরত দেওয়া সম্ভব না বলে হাইকমিশনার জানিয়েছেন। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তাদের (কানাডা) অনুরোধ করেছি, বিকল্প পন্থা বের করা যায় কি না। তাঁকে (কানাডীয় হাইকমিশনার) বলেছি, একজন খুনিকে আশ্রয় দেওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন। ’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি হাইকমিশনারকে অনুরোধ করেছি, যেসব আইন ও বিধি-বিধান আছে তা যদি পর্যবেক্ষণ করে দেখি তাহলে কানাডা যাতে তাকে ফিরিয়ে দিতে পারে, সে পন্থা খুঁজতে পারে। হাইকমিশনার বলেছেন, কানাডা সরকারকে বিষয়টি তিনি জানাবেন। ’

আনিসুল হক বলেন, কানাডীয় হাইকমিশনার জানতে চেয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনের সময় বাংলাদেশ নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের সুযোগ দেবে কি না? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি (আইনমন্ত্রী) সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, এটি নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। তারা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সুষ্ঠু নির্বাচন করা। সেখানে সরকার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে। বাংলাদেশে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর।

ঢাকায় কানাডীয় হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, আইনমন্ত্রী ও কানাডীয় হাইকমিশনার দুই দেশের ৫০ বছরের বন্ধুত্বের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক সমাজে গণমাধ্যম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার গুরুত্বসহ পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন।

প্রস্তাবিত উপাত্ত সুরক্ষা আইন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক হাইকমিশনারকে বলেছেন, এই আইনের খসড়া প্রণয়নের ব্যাপারে অংশীজনদের সঙ্গে একবার সভা হয়েছে। আরো দু-তিনবার সভা হবে। উপাত্ত নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এ আইন করা হবে না, উপাত্ত সুরক্ষার জন্য করা হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, এ বছর বাংলাদেশ-কানাডা সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। উভয় দেশ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এ সম্পর্ক দেখে। ফলে উভয় দেশের মধ্যে অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। এই সম্পর্ক আরো দৃঢ় ও গভীর হোক, বাংলাদেশ সেটাই চায়।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles