10.8 C
Toronto
রবিবার, মে ৫, ২০২৪

কে এই হাবিবুল্লাহ? যার কারণে নিরুদ্দেশ হয়েছিল যুবকরা

কে এই হাবিবুল্লাহ? যার কারণে নিরুদ্দেশ হয়েছিল যুবকরা

মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ। কুমিল্লার স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। তার মাধ্যমেই ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়’ নামে নতুন আত্মপ্রকাশ করা জঙ্গি সংগঠনে যুক্ত হয় কুমিল্লা থেকে নিরুদ্দেশ হওয়া আট তরুণ।

- Advertisement -

মূলত এই হাবিবুল্লাহ নিরুদ্দেশ হওয়া যুবকদের ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা, পাশ্ববর্তী দেশে মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের তাত্ত্বিক জ্ঞান ও বিভিন্ন ভিডিও দেখিয়ে জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট করেছিলেন। এসব যুবকের মধ্যে কয়েকজনকে সশস্ত্র প্রশিক্ষণে পটুয়াখালীতে পাঠিয়েছিলেন এই হাবিবুল্লাহ।

রবিবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও কেরানীগঞ্জে পৃথক অভিযান চালিয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠনটির দাওয়াতি ও অন্যতম অর্থ সরবরাহকারী হাবিবুল্লাহসহ পাঁচজনকে আটক করেছে র‍্যাব। এদের মধ্যে নিরুদ্দেশ হওয়া তিনজন তরুণ আছেন।

একইদিন রাতে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাদ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নতুন জঙ্গি সংগঠনের দাওয়াতি ও অন্যতম অর্থ সরবরাহকারী হাবিবুল্লাহ ও বাড়ি ছেড়ে যাওয়া তিনজনসহ মোট পাঁচজনকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও কেরানীগঞ্জ এলাকা হতে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এর আগে বুধবার পৃথক অভিযান চালিয়ে নিরুদ্দেশ হওয়া চার যুবকসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এ বিষয়ে সোমবার দুপুরে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।

গত ২৩ আগস্ট কুমিল্লা সদর এলাকা হতে আট তরুণ নিখোঁজের ঘটনা ঘটে।

একদিন পর (২৫ আগস্ট) কোতয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়। যা দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে র‍্যাব নিখোঁজদের উদ্ধারে ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে।

প্রাথমিকভাবে জানা যায়, জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা বাড়ি ছেড়েছিল। পরে ৬ সেপ্টেম্বর চার তরুণকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয় র‍্যাব। তাছাড়া সামরিক জঙ্গি প্রশিক্ষণের সময় শারতাজ ইসলাম নিলয় নামে এক যুবক পটুয়াখালী থেকে পালিয়ে আসেন। হিজরতে থাকা বাকি তিন যুবক সেখানে প্রশিক্ষণ নেন। বুধবার রাতে র‌্যাবের পৃথক অভিযানে তারা আটক হন।

জানা গেছে, কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ যুবকরা স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম হাবিবুল্লাহর মাধ্যমেই প্রথমে নতুন জঙ্গি সংগঠন সম্পর্কে ধারণা পায়। এসময় ওই যুবকদের পাশ্ববর্তী দেশে মুসলমানদের উপর নির্যাতনের বিষয়ে তাত্ত্বিক জ্ঞান প্রদান ও বিভিন্ন ভিডিও দেখানো হতো। এভাবে তাদের সশস্ত্র হামলার প্রস্তুতি পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগ্রহ তৈরি করা হয়।

সূত্র বলছে, সদ্য র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হোসাইন আহম্মদ পটুয়াখালীর একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। সেই মূলত দেশে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের কতিপয় সদস্যদের একীভূত করে ২০১৭ সালে নব্য সংগঠনের কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়’ সংগঠনটির নামকরণ করে। এই সংগঠনের নেতারাই মূলত নতুন নতুন তরুণদের তাদের দলে ভেড়ানোর কাজ করছিল। আর যারা সংগঠনটিতে নাম লিখিয়েছিল তাদের সশস্ত্র হামলার প্রস্তুতির জন্য প্রশিক্ষণ নিতে পটুয়াখালী, ভোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়েছিল।

সূত্র : নতুন সময়

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles