11.4 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৪

ইলেকশন ফিন্যান্স আইন নিয়ে বিতর্ক চলছে

ইলেকশন ফিন্যান্স আইন নিয়ে বিতর্ক চলছে

ইলেকশন ফিন্যান্স আইনে নটউইথস্ট্যান্ডিং ক্লজ প্রয়োগ আইনটিকে অজনপ্রিয় করে তুলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিলটি পাস হলে ফোর্ড সরকারের জন্য তা উল্টো ফল বয়ে আনতে পারে। কিন্তু যেহেতু সংসদে ফোর্ড সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে তাই বিতর্ক শেষে এটি পাস হয়ে যাবে এমনটাই মনে করা হচ্ছে। এদিকে, আইনটির ওপর জরুরি বিতর্কের জন্য আইনসভায় ফিরে এসেছেন প্রতিনিধিরা। আইনটির ওপর বিতর্ক শনিবার সকালে শুরু হয় এবং এ সপ্তাহে বিলটি উত্থাপনের আগ পর্যন্ত আগামী কয়েকদিন তা চলতে পারে। বিতর্কিত বিলটিতে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন ব্যয়ের বিষয়টি ফিরিয়ে আনা হয়েছে, সপ্তাহের শুরুর দিকে যা অসাংবিধানিক বলে মত দিয়েছিলেন প্রাদেশিক বিচারক। আইনে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন ব্যয়ের সময় বাড়িয়ে প্রচারণা শুরুর আগের দিন থেকে ১২ মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে ব্যয়ের সীমা ৬ লাখ ডলার অপরিবর্তীত রয়েছে।

- Advertisement -

তবে একে স্বাধীন মত প্রকাশের লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছে ইউনিয়নগুলো। যদিও প্রোগ্রেসিভ কনজার্ভেটিভ পার্টির যুক্তি, নির্বাচনকে বাইরের প্রভাব থেকে মুক্ত রাখার স্বার্থেই এ পরিবর্তন। আগামী জুনে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগে বিরোধীদের চুপ করিয়ে রাখার উদ্দেশেই এ পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করতে বিলম্ব করেননি সমালোচকরা।

ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্রিস্টিন দ্য ক্লারসি বলেন, তৃতীয় পক্ষ শব্দবন্ধটির অর্থ স্পষ্ট নয়। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ অন্টারিওবাসীর বাক স্বাধীনতাকে লক্ষ্য করেই যে আইনটি সেটা স্পষ্ট। সব মানুষ ও গ্রুপ যারা প্রকৃতপক্ষে রাজনৈতিক দলের না এটা তাদের সবারই ক্ষতি করবে।

এর সঙ্গে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিষয়টিও আছে বলে মনে করেন ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর ম্যাসে কলেজের জ্যেষ্ঠ ফেলো জেফরি ডিভরকিন। তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যমগুলো নির্বাচনের সময় বিজ্ঞাপন থেকে বাড়তি রাজস্বের ওপর নির্ভর করে থাকে। ইলেকশন ফিন্যান্স আইন আয়ের সে উৎসটিকে হুমকিতে ফেলে দেবে। এটা রাজনৈতিকভাবে যেমন বিপজ্জনক, একইভাবে বিপজ্জনক স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমের জন্যও। একটা সুস্থ্য ও স্বাধীন গণমাধ্যমের যে আবহ তার জন্য সত্যিই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে আইনটি। আমার মনে হয় না সরকার এটি বিবেচনায় নিয়েছে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles