15.8 C
Toronto
বুধবার, মে ১, ২০২৪

নস্টালজিক

নস্টালজিক
ছবিড্যানি মুলার

১৯৯০ সালের পুরনো বিজনেস বা ভিজিটিং কার্ডটি আবারও খুঁজে পেয়ে কিছুটা নষ্টালজিক হয়ে গেলাম। তখন গোয়ালন্দে এনালগ টেলিফোন ছিল। থানার মধ্যে ছিল টেলিফোন এক্সচেইন্জ নামে টিএন্ডটি অফিস। সাচ্চা ভাই, কুদ্দুস ভাই, জমারত ভাই সেই টিএন্ডটি অফিসে চাকুরী করতেন।

তাঁরা আজ আর বেঁচে নেই। ঢাকায়, এমনকি রাজবাড়ী ফরিদপুরে ফোন করতে হলেও ট্রান্ক কল করতে হতো। অর্থাৎ গোয়ালন্দ টিএন্ডটি অফিসে ডায়াল করে ঢাকার নাম্বার দিয়ে কল বুক করে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হতো। অনেক সময় সকালে কল বুক করে সন্ধায় লাইন পাওয়া যেত। পরিচিত বড় ভাইয়েরা যারা ওখানে চাকুরী করতেন তারা কেউ সেই সময় অফিসে থাকলে দ্রুত লাইন লাগিয়ে দেবার চেষ্টা করতেন। হাতে গোণা কয়েকটি বাসায় এবং ব্যবসা কেন্দ্রে তখন টেলিফোন সেট ছিল।

- Advertisement -

শুরু থেকেই আমাদের বাসার নাম্বার ছিল এক (১), আব্বার ব্যবসা কেন্দ্রের নম্বর ছিল ২৫ আর ৯০ সালে আমার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের টেলিফোন নাম্বার ছিল ২২। এক আঙুল দিয়ে নব ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ফোন করতে হতো। তারপর আশির দশকে এরশাদের আমলে দেশের অনেক জায়গার মত গোয়ালন্দের টেলিফোন ব্যবস্হাও এনালগ থেকে ডিজিটাল করা হলো। টিএন্ডটি অফিসটিও থানার ভেতর থেকে সরিয়ে অন্য জায়গায় নেয়া হলো। সবই আজ স্মৃতি। আজ মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ফোন।

মাঝে মাঝে মনে হয় সেই যুগটাই অনেক ভাল ছিল, স্মার্ট ফোন আমাদের জীবনকে মেকী করে দিয়েছে, সময় কেড়ে নিচ্ছে, কেড়ে নিচ্ছে বন্ধুত্ব ও ভালবাসা। জানি না গোয়ালন্দে এখন সেই টিএন্ডটি অফিসটি আছে কিনা বা থাকলেও কী কাজ হয় সেখানে!

স্কারবোরো, কানাডা

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles