বরিশালের মুলাদীতে ধর্ষণের পর বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বড়িতে অবস্থান নেওয়া তরুণীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে প্রেমিক মো. সোলায়মানসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত মো. সোলায়মান উপজেলার মুলাদী সদর ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের জলিল ব্যাপারীর ছেলে।
অভিযোগে ওই তরুণী জানান, ২০১৬ সালে সোলায়মানের সঙ্গে মুলাদী শহরে তার পরিচয় হয়। ওই সময় আলাপচারিতার একপর্যায়ে সোলায়মান কৌশলে তার মোবাইল নম্বর নিয়ে নেন। পরে বিভিন্ন সময় ফোন দিয়ে কথা বলতেন সোলায়মান। কয়েক দিন পর তরুণীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন তিনি। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৭ সালে সোলায়মান বিদেশ চলে যান। তবে বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমুতে তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। ওই সময় অভিভাবকরা বিয়ের জন্য পাত্র দেখেন। তরুণী বিষয়টি সোলায়মানকে জানালে তিনি অন্যত্র বিয়ে করতে নিষেধ করেন। গত ২৪ আগস্ট সোলায়মান বিদেশ থেকে দেশে এসে তরুণীর সঙ্গে দেখা করেন। পরে সোলায়মান তরুণীকে ঢাকায় একটি বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেন। ২৫ আগস্ট তাকে নিয়ে নিয়ে সোলায়মান গ্রামের বাড়িতে আসেন। ওই দিন রাতে তরুণীকে আবারও ধর্ষণ করেন তিনি। গত এক সপ্তাহ ধরে তরুণীর সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন সোলায়মান। এরপর তরুণী গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বিয়ের দাবিতে সোলায়মানের বাড়িতে অবস্থান নেন। ওই সময় অভিভাবকরা সোলায়মানকে বাড়ি থেকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেন।
ভুক্তভোগী তরুণী জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের এনামুল ব্যাপারীর ছেলে রায়হান ও সোলায়মানের পরিবারের লোকজন মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
তিনি বলেন, বিয়ের কথা বলে সোলায়মান আমার সঙ্গে স্ত্রীর মতো মেলামেশা করেছেন। বিষয়টি এখন এলাকার সবাই জানে। এখন আর কোথাও ফিরে যাওয়ার পথ নেই। সব পথই আমার বন্ধ। সোলায়মান স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ না করলে আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ নেই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মো. সোলায়মানের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাকসুদুর রহমান বলেন, তরুণী ধর্ষণ ও মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র : জাগো নিউজ