8.2 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

টরন্টো ট্যুর

টরন্টো ট্যুর
ফাইল ছবি

লিস্ট দেখে, একটা একটা করে কাজ সারবো আজ। আমার বন্ধুর লাক্সারী গাড়ি নিয়ে ঘুরছি। টরন্টো এসেই প্রথম কাজ ছিল বাঙালি কার মেকানিকের কাছে আমার গাড়ি সার্ভিস করতে দেয়া। এরপর বন্ধুকে অনুরোধ করে তার গাড়িটা নিয়ে দুজন ঘুরছি সকাল দশটা থেকে। আমার গাড়ি দেবে সন্ধ্যা ছ’টায়। সারাজীবন শুধু বন্ধুর সেবা-ই করে গেছি। পাঠকরা ভাবে আমি শুধু বন্ধুর বাগান কোপাই, ঘরের চাল ঠিক করি, বাসন মাজি, ফার্নিচার এসেম্বলী করি। তাই আজ ঠিক করেছি উল্টা তাকেই প্যারা দিবো। ব্যাটা ঘুঘু দেখেছে, ফাঁদ দেখেনি!
.
এখন ডাক্তারের কাছে যাচ্ছি।
লরেন্স/মারখাম রোড ইন্টারসেকশনে এসে বামে টার্ন নিয়ে মারখাম রোডে উঠে সোজা দক্ষিণে অন্টারিও লেকের দিকে নেমে শেষ মাথায় ড্যানফোর্থ রোডে উঠে বাঙালি পাড়ার দিকে ছুটবো। ড্যানফোর্থ মানেই ছোট্ট বাংলাদেশ; বাংলায় লেখা দোকানপাট, পরিচিত-অপরিচিত মুখ। ঘরোয়া রেস্টুরেন্টের সিঙ্গারা, সমুচা, চপ, চা, আড্ডা!
.
কিন্তু অ্যারো চিহ্ন আসলেও সামনের গাড়ি দাঁড়িয়েই থাকলো। বন্ধু রেগে বলল, হর্ন মার শালারে, ঘুমাচ্ছে! এদেশে হর্ন দেওয়া চরম অভদ্রতা হলেও আমি করেকবার দিলাম। তবু গাড়িটা দাঁড়িয়েই থাকলো। মানুষ ইন্টারসেকশনে বসে বেয়াক্কেলের মতো নাক খুটায় আর মাথা কাত করে উদাস ভঙ্গিতে কী যেন ভাবে। তখন পেছন থেকে হর্ন না দিলে হুশ ফিরে না। কিন্তু আজকে নড়লোই না? আবার দুই মিনিট পরে অ্যারো দিবে।
.
আবার অ্যারো চিহ্ন আসলো, তবুও সামনের গাড়ি এক ইঞ্চি নড়লো না। বন্ধু গজগজ করতে করতে নেমে গেলো। আমি আল্লাহ আল্লাহ করতে থাকি। একবার রাস্তায় আরেক বাঙালির কলার ধরে মারতে নিছিলো। সে এগিয়ে গিয়ে গাড়িটার জানালা গলে হাত ঢুকিয়ে ড্রাইভারকে ঝাকি দিতেই গাড়িটা হালকাভাবে চলা শুরু করলো। অথচ বিপরীত দিক থেকে দ্রুত গতিতে ঝাঁকে ঝাঁকে গাড়ি আসছে। এখন বামে টার্ন নেওয়া মানে নিশ্চিত মৃত্যু!
.
চিশতী বিদ্যুৎ গতিতে গাড়ির দরজা খুলে লাফ মেরে ড্রাইভারের কোলের উপর শুয়ে পড়ে গিয়ার পার্কিঙে দিয়ে গাড়ি থামালো। সামনে থেকে আসা একটা গাড়ি প্রায় হিট করেই বসেছিল সত্তর কিলোমিটার স্পিডে! হিট করলে সবার আগে পটল তুলতো আমার বন্ধু। আমার রক্ত হিম হয়ে আসলো। সে দ্রুত আমাদের গাড়ির কাছে এসে মোবাইলটা তুলে নিয়ে এমার্জেন্সি ৯১১-এ কল করতে লাগল।
.
এক মিনিটের মধ্যে পুলিশ, দুই মিনিটের মধ্যে এম্বুলেন্স হাজির। ঘটনা ভয়াবহ। গাড়িতে বসা বৃদ্ধা অজ্ঞান হয়ে গেছে। চিশতী তাকে ঝাঁকি দেওয়ার পর ব্রেকের উপর থেকে তার পা রিলিজ হয়ে যাওয়ায় গাড়ি চলা শুরু করেছিল। সে পুলিশকে ঘটনা খুলে বলে ফিরে এসে বলল, আল্লাহ বাঁচাইছে!
.
.
এপয়েন্টমেন্ট থাকা সত্ত্বেও ডাক্তারের চেম্বারে ঢোকার সুযোগ পেলাম দেড় ঘন্টা পর। ডাক্তার এসে হাসি মুখে বলল, কেমন আছেন?
– ভালো।
উনার এসিস্ট্যান্ট কিছুক্ষন আগে আমার যে হিস্টোরি লিখে গেছে, সেটা পড়ে বলল, হা করেন। আমি হা করতেই একটা চামুচের মতো প্লাস্টিকের আংটা আমার জিব্বার পেছনে ঠেকিয়ে গলার ভেতর দেখলো। তারপর গলার থাইরয়েডের এপাশ ওপাশ টিপে দেখে বলল, কিচ্ছু নাই। ঢোক গিলতে ব্যাথা লাগে? খাওয়ার সময়?
– না
– আপনি অটোয়া থেকে আসছেন?
– জি
– ওখানে ফ্যামিলি ডাক্তার পান নাই
– সময় পাই নাই
– ক্যাম্পিং এ গেছিলেন?
– না, যাবো
– যে মশা, আর গরম ভাই রে ভাই.. [ডাক্তার এবার অনেকটা রিল্যাক্স করে চেয়ারে হেলান দিয়ে উদাস হয়ে গেলো] একশোটা কয়েল জ্বালায়েও কাজ হয় না। আর রেকুন যা জ্বালায়; বাঘের মতো ঘড়ঘড় আওয়াজও করে। খামচি দিলে র্র্যাবিস হতে পারে। ভ্যাকসিন নিয়ে রাখা ভালো।
.
হঠাৎ চেম্বারের দরজা ফাঁক করে অভদ্রের মতো এক ভদ্রমহিলা বলল, ডাক্তার ভাই; আরেকটা সমস্যা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম
– পরে বইলেন, এই রুগী দেখে নি?
– এক লাইনের ভাই, তিন-চারদিন পর পর আমার পায়খানা হয়। মাঝে মাঝে আম..
– আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে, এতসব বিস্তারিত এখানে বলতে হবে না। ওয়েট করেন
– ভাই, আমার হাজবেন্ড গাড়িতে ওয়েট করতেছে। পেটে খুব গ্যাস। আপনার ভাই আমাকে নাম দিছে..
– আর বলতে হবে না, এই নেন, ওষুধটা খান- ওভার দা কাউন্টার থেকে কিনে নেবেন- বলে একটা প্রেসক্রিপশন লিখে তাকে দিল।
.
এবার দরজা বন্ধ করে বিড়বিড় করে বলল, হায় রে মানুষ! মেজাজ ঠিক রাখা খুব কঠিন! আমার দিকে ফিরে বলল, টেস্টের রিপোর্ট দেখে পরে কথা বলব, ক্যামন? আর কোনো সমস্যা?
– পেট ব্যাথা
– আর?
– ঘুম কম l ডাক্তার ভাই, আপনার টেকনিশিয়ানকে একটু বলে দিবেন, যেন রক্ত নেয়ার সময় আমার বন্ধুকে পাশে থাকতে দেয়?
– ও আচ্ছা, আপনি সেই অজ্ঞান হওয়ার লোক! আচ্ছা বলে দিচ্ছি। এবার তাহলে ‘নাইন-ওয়ান-ওয়ান’ এ কল করবো না?
– যদি নিঃশ্বাস নি, পালস থাকে; তখন কল না করলেও হবে..
.
মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান পান চিবাতে চিবাতে আমার হাতে ফিতা বেঁধে পাশে তিনটা ব্লাড কালেকশন টিউব রাখলো। তিন টিউব রক্ত নিবে! চিশতী এসে আমার বাম কাঁধে হাত রেখে বলল, ও কিচ্ছু না, পিঁপড়ার কামড়..
.
.
আমার জ্ঞান ফিরলে দেখি একটা ফাঁকা ঘরে শুয়ে আছি। বন্ধু চিন্তিত মুখে বলল, এখন কেমন লাগতেছে?
– ভালো
– পেশাব, পায়খানার স্যাম্পল আজকে দিবি না আরেকদিন?
– আজকেই দি? আবার কবে আসি না আসি..
– আমার কত কাজ বাসায়..
.
একটা আপেল জুস খেয়ে পুরোপুরি ঠিক হয়ে গেলাম। ডাক্তার এসে প্রেশার মেপে, পালস দেখে হেসে বলল- একটু ভয় পাইছিল, চিন্তার কিছু নাই।
বন্ধু বলল, দয়া করে আগের মতো স্যাম্পল কৌটা ভরে হাগবি না। আধা চা চামচ এনাফ। পেশাবও তিন টেবিল চামচের বেশি দিবি না। ওয়েস্ট হবে। অপচয়কারী শয়তানের ভাই।
.
আমি পনেরো মিনিট পর চিন্তিত মুখে খালি কৌটা হাতে বাথরুম থেকে বের হয়ে এসে বললাম, দোস্ত হয় না তো?
– সকালে করছিলি?
– হু
– কোনো ফিউচার প্ল্যান নাই তোর। এইটুক বুদ্ধি নাই যে টেস্ট করতে দিতে পারে? উল্লুক, এই সামান্য কাজ পারিস না?
.
সে চোখ দুইটা মার্বেলের মতো সাইজ করে আমার দিকে কটমট করে চেয়ে থাকলো। তার ভাব দেখে মনে হচ্ছে মানুষ ইচ্ছে করলেই যেন যখন-তখন বড় কাজ করতে পারে। মনে মনে বললাম, তুই ইচ্ছে করলেই পারবি?
সে বলল- এক কাজ কর। ষ্টার রেস্টুরেন্ট থেকে দুই প্যাকেট ঝাল শাহী বিরিয়ানি, দুই লিটার পানি আর দুই কাপ চা মেরে দিয়ে দ্যাখ। হবে না মানে..
.
.
ডাক্তারের ক্লিনিক থেকে বের হয়ে বললাম, দোস্ত এবার তুই চালা। আমার হাতে ব্যাথা।
সে ড্রাইভিং সিটে বসে সে বলল, এবার?
একটু ব্লু স্কাই সুপার মার্কেটে যাবো
– ঐটা তো পিকারিং এ!
– পঁচিশ কিলোমিটার মাত্র
– তুই এতো কাহিনী করবি আগে বললি না ক্যান? আমার ম্যাট্রেস, সোফা ডেলিভারি দেওয়ার কথা। কোথায় কোন ময়লার মধ্যে ফেলে যাবে ঠিক আছে? বৃষ্টি শুরু হলে? আর তুই রক্ত দিয়ে হাত ব্যাথা করে ফেলি, এখন ওই ফার্নিচার কে ধরে তুলবে?
.
তাকে ব্লু স্কাই মার্কেটের বাইরে বসিয়ে একাই ভেতরে গিয়ে তিন কেজি গরুর ভুরি, বিশ কেজি চিকেন লেগ, দশ কেজি গরুর গোশ, তিন কেজি ভেড়ার মগজ, দুই কেজি ষাঁড়ের লেজ, পাঁচ কেজি ছাগলের পা, পাঁচটা হার্ড চিকেন কিনে ট্রলী বোঝাই করে তার গাড়ির পেছনের ঢালা খুলি। সে একবার শুধু নির্লিপ্ত চোখে তাকিয়ে আবার বিড়ি ফোঁকায় মন দিলো। ধোঁয়া ছেড়ে বলল, এবার?
– ক্যানাডিয়ান টায়ার
– ওই দোকানে ঢুকলে তোর দুই ঘন্টার আগে হাঁটাহাঁটি শেষ হয় না। তারপর এক ট্রলি জিনিস নিয়ে আবার সেইগুলা ফেরৎ রাখতে ছুটবি। দেখা যাবে কিছুই কিনিস নাই
– আজকে কিনবো দোস্ত।
.
চর অঞ্চলের হাটে যেমন জোগাল বাঁশের ঝুড়ি আর কোঁদাল নিয়ে দুই পায়ের ওপর ‘দ’ হয়ে বসে হতাশ ভঙ্গিতে দুই হাত মুখের সামনে ডলাডলি করে কাস্টমার খোঁজে, সেও ঠিক ওভাবে বসে থাকলো। মনে মনে বললাম- সোনা, তুমি যতই কোটিপতি হও না কেন, তোমার সেই ‘জোগাল জোগাল’ ভাব প্রকাশ পাবেই। ছাগলকে বাঘের রং মাখায়ে কয়দিন ভয় দেখানো যায়? বারবার ঘুঘু তুমি খেয়ে গেছো ধান! আমাকে দিয়ে ঘরের চাল ঠিক করাইছো, ভারী জিনিস তোলাইছো; বাসন মাজাইছো, বাগান কোপায়ে নিছো। আর আমাকে দিয়ে দশটা ঘন্টা বাইরে ঘুরতে তোমার এতো কষ্ট? বিড়ি ফুঁকি না বলে ভাইবো না আমার মাথা জ্যাম!
.
অনেক কিছু ট্রলিতে নিলেও তিন ঘন্টা হাঁটাহাঁটি করে ক্যানাডিয়ান টায়ার থেকে খালি হাতে বের হয়ে ‘শাহী কড়াই’ রেস্টুরেন্টে গিয়ে বিরিয়ানি নিয়ে গাড়ির পেছনের ডালা খুলে সাবধানে প্যাকেটগুলো রাখি। সিটে বসতেই সে পাশ থেকে বলল, কয় প্যাকেট নিলি!
– আট
– তারপর?
– তোর ডিপ ফ্রিজে রাখবো, কালকে ফ্রোজেন অবস্থায় বাসায় নিয়ে যাবো
– এটা কোনো বিরিয়ানি? সাদা বাসমতি ভাতের মধ্যে কাঁচা বাটা মশলা মাখায়ে বলে বিরিয়ানি! তোর মতো বোকারা এসব অখাদ্য খায়। আমার জন্য আবার আনিসনি তো?
– না, মনে আছে তুই অপছন্দ করিস
– থ্যাঙ্ক ইউ! আমরা এখন কোই যাচ্ছি?
– দোস্ত, কতদিন ব্লাফার্স পার্কে যাই না। পাঁচ মিনিটের জন্য যাবো
– আমার লাউয়ের চারাগুলা লাগাতে হবে, তুলে ফেলে রাখছি। আমার দিনটা তুই মাটি করলি।
.
টরন্টো থাকতে আমাদের পরিবারের সবচাইতে পছন্দের ছিল এই দোকানের চিকেন বিরিয়ানি। পাকিস্তানী এক পেশাদার ভদ্রমহিলা চালায় দোকানটা। আমার ছেলেকে যদি এক সাইডে এক টেবিল ভর্তি পৃথিবীর বেস্ট শেফের তৈরী বিফ স্টেক, বেকড স্যামন, লবস্টার, গলদা চিংড়ি বা ইলিশ মাছের কোপ্তা দেওয়া হয়; আর আরেক টেবিলে শুধু এই শাহী কড়াইয়ের এক প্যাকেট চিকেন বিরিয়ানি দিয়ে বলা হয় যেকোন এক টেবিল চুজ করতে হবে; তখন সে নির্ঘাত চোখ বুজে বিরিয়ানির প্যাকেটের দিকে হাত বাড়াবে। আরও আশ্চর্য্যের কথা, আর অন্য কোনো দোকানের বিরিয়ানি তার পছন্দ নয়! অথচ এটার দাম মাত্র পাঁচ/ছয় ডলার। তার দেখাদেখি আমাদেরও এটা পছন্দের তালিকায় শীর্ষে উঠে গেছে। তবে লোকে শুনলেই নাক সিঁটকিয়ে বলে, “এইটা তো কোনো বিরিয়ানি-ই না!”
মানুষের পছন্দের আসলে অনেক ভ্যারাইটি।
আমরা টরন্টো গেলেই গাড়ি ভর্তি করে এই বিরিয়ানি নিয়ে আসি।
**[তাই বলে যারা এখনো খাননি এটা, তাদেরকে চেখে দেখতে হবে; এর কোনো মানে নাই। নিরানব্বই পার্সেন্ট মানুষেরই পছন্দ হবে না। অতিরিক্ত ঝাল, পুদিনার পেস্ট, বাটা মশলার কাঁচা আলগা গন্ধ..]
.
সন্ধ্যা সাতটায় সে আমাকে মেকানিক এর কাছে নিয়ে আসলো। বললাম- তুই যা, আমি আসতেছি।
.
সে চলে গেলেও আমি গেলাম অন্যদিকে, আত্মীয়’র বাসায় দাওয়াত খেতে। আধা ঘন্টা পরে তাকে ফোন দিয়ে বললাম, দোস্ত বাসায় গেছিস?
– হু, তুই কোই ?
– আমার আসতে দেরি হবে। একটা উপকার করতে পারবি?
– বল
– তোর গাড়ির পেছনের মাছ মাংস সব বেইজমেন্টের ডিপ ফ্রিজে রাখতে পারবি?
– আচ্ছা
– আর আমার এক বন্ধু দুই কার্টন সবজি রেখে যাবে তোর বাসার সামনে। তুই ইকটু ঘরে তুলে রাখিস। সাবধানে তুলিস, একেকটা প্যাকেট পঁচিশ কেজির বেশি। উল্টাবি না, মিষ্টিকুমড়ার তলায় টমেটো পড়লে ভর্তা হয়ে যাবে। না উঠালে রাতে রেকুন এসে তছনছ করবে
– তুই রাতে আসবি না?
– রাত বারোটার বেশি বাজবে
– আমি ঘুমাই রাত দশটায়। অতো রাতে কিডা দরজা খুলবিন?
.
আজ ব্যাটাকে প্যারা দিবো! কত লাউয়ে কত মরব্বা হাড়ে হাড়ে টের পাবে!
এমনই প্যারা দিবো; “প্যারা প্যারা ডাই-ক্লোরো ডাই-ফিনাইল ট্রাই ক্লোরো ইথেন” দিয়ে ডলা দিবো! ডিডিটি ব্যান্ড হইছে তো আমার কি!
.
টরন্টো আসছি ইয়ার্কি মারতে? সাধ মিটিয়ে জমানো কাজগুলো করবো; সবার সাথে দেখা করবো, লেকের ধারে বসে টিম হর্টন্স এর কফি খাবো। প্রয়োজনে বাসায়ই ফিরবো না!
আমার প্রাণের শহর। মাতৃভূমির পরেই যে শহরের স্থান!
যে শহরের প্রতিটা অলি গলি আমার নখদর্পণে। প্রতিটা পাখি, বৃক্ষ, অট্রালিকা আমার স্মৃতিতে অমলিন।
বাতাসে আমার নিঃশ্বাসের কণা এখনো বাতাসে ভেসে বেড়ায়!

অটোয়া, কানাডা

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles