13 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কী আলাপ হলো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কী আলাপ হলো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর - the Bengali Times
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড এ কে আব্দুল মোমেন

বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ধরনা দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ সফর থেকে ফিরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেটের আমন্ত্রণে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সেখানে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় উঠে আসে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতের প্রসঙ্গ।

- Advertisement -

বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে মন্ত্রণালয়ে সফর নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলাপ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমন কোনো আবেদন করা হয়নি। এটা ছিল কথার কথা।

মন্ত্রী বলেন, কথার মধ্যে বলেছি যে তারা (বিএনপি) নির্বাচনে আসে না। আমরা সব রকমের প্রচেষ্টা চালিয়েছি। কিন্তু আইনের মাধ্যমে নির্বাচনে আসতে হবে। জনগণের কাছে যেতেই হবে। তখন বলেছে যে আসে না (নির্বাচনে), তখন বলেছি, আপনারা পারলে নিয়ে আসেন। এমনই কথা হয়েছে। আমরা কোনো প্রস্তাব আকারে দেইনি।

যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি করা মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নেতিবাচক দিক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এসব প্রতিবেদন তৈরি করা হয় দেশীয় কিছু এনজিওর তথ্য নিয়ে। যাদের অসৎ উদ্দেশ্য আছে। এই প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্র কিছু অযাচিত অভিযোগ তুলেছে বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মোমেন বলেন, এনজিও সব সময় বলে যে বাংলাদেশ খারাপ! আরেক দল আছে, যারা বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশে খারাপ চিত্র দিতে পারলেই খুশি থাকে। আমাদের অনেক বাঙালিই আমেরিকান অ্যাম্বাসিতে চাকরি করেন, তারা শুধু খুঁজে থাকেন যে কোথায় দোষ আছে! শুধু দোষ খুঁজে বের করাটাই যেন আমাদের বাঙালির চরিত্রেরই অভ্যাস। অথচ, তা তথ্য নির্ভর না। তারপরও সেখানে কিছু কিছু মতামত এসেছে, তারা আমাদের ধর্মের ওপর একটা আকার দিতে চায়। সেগুলো আমরা আগেই প্রত্যাহার করেছি।

এবারের যুক্তরাষ্ট্র সফরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি পলাতক রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

 

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles