5.8 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

সিঙ্গেলদের ভালোবাসা দিবস কেমন হতে পারে

সিঙ্গেলদের ভালোবাসা দিবস কেমন হতে পারে - the Bengali Times
প্রতীকী ছবি

আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি, ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ বা ভালোবাসা দিবস! এখনো যারা ‘দ্য রাইট ওয়ান’-এর জন্য অপেক্ষা করছেন, এমন সিঙ্গেলদের ভ্যালেন্টাইন ডে কেমন হতে পারে! অবশ্য যেখানে দ্বিতীয় কোনো পক্ষের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করতে হয় না, সেখানে দিন রচনার ব্যাপারটি সম্পূর্ণ নিজের খেয়াল-খুশির ওপরই বর্তায়। এর সঙ্গে একীভূত হয় সবার কাছে নিজেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মেলে ধরা অথবা নিজের তৈরি আলাদা জগৎটাকে আরও কারুকার্যমণ্ডিত করার বিষয়টি। চলুন জেনে নিই এমন কিছু উদ্‌যাপন, যা যেকোনো ধরনের সিঙ্গেলের ভ্যালেন্টাইন ডে-কে বিশেষ দিনে পরিণত করতে পারে।

শহরের বাইরে ঘুরতে যাওয়া

- Advertisement -

প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহটি ঘোরাঘুরির জন্য শুধু একটি ভণিতা হতে পারে। সঙ্গী হিসেবে বন্ধুবান্ধব, পরিবার বা আত্মীয়স্বজন যে কেউ হতে পারে। অবশ্য এ ক্ষেত্রে সিঙ্গেলদেরই খুঁজে বের করতে হতে পারে। তবে সবকিছু উপেক্ষা করে ভ্যালেন্টাইন ডের ভোরবেলা একা একাই বেরিয়ে যাওয়া যায় ট্রাভেল ব্যাগ কাঁধে করে। দূরপাল্লার বাসে উঠে ফোনে প্রিয় গানগুলো নিয়ে তৈরি প্লেলিস্টটা ছেড়ে দিয়ে কানে এয়ারফোন লাগিয়ে দৃষ্টি রাখা যায় জানালার ওপাশে ছুটতে থাকা শহরে। দূরের কোনো অজপাড়া গাঁ, বিলের বুকে নৌকায় ভেসে থাকা অথবা পাহাড় চূড়া থেকে পাখির চোখে নিচের লোকালয় দেখা নিমেষেই ভুলিয়ে দিতে পারে দিনক্ষণ।

বন্ধুদের সঙ্গে জম্পেশ আড্ডা

সিঙ্গেলদের ভ্যালেন্টাইন ডে মানেই প্রিয় কোনো জায়গায় বসে বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা। হতে পারে সেটা পাড়ার টং দোকান অথবা বাসার ছাদে বা টিএসসির মোড়ে কিংবা চিত্রশালার খোলা উদ্যানে। ঝালমুড়ি, চা খাওয়ার ছুতোয় বেহিসাবি ঘণ্টাগুলো ভুলিয়ে দিতে পারে চারপাশের সবকিছু। যারা ইতোমধ্যে পড়াশোনার জীবন পার করে কর্মজীবনে প্রবেশ করে ফেলেছেন, তারা প্রায়ই দুঃখ করেন ফেলে আসা বন্ধু-আড্ডার দিনগুলোর জন্য। কেননা, বন্ধুরা সব কাছাকাছি থাকলেও ব্যস্ততার জন্য সবাইকে একই সময় পাওয়া যায় না। আর যারা দূরে চলে গেছে, তাদের অবস্থা তো আরও করুণ। তাই সিঙ্গেল বন্ধুদের একত্রিত হওয়ার জন্য ভ্যালেন্টাইন ডে হতে পারে সেরা উপলক্ষ।

নতুন বা প্রিয় কোনো মুভি বা টিভি সিরিজ অথবা কমেডি শো দেখা

পরিবার বা আত্মীয়স্বজন অথবা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মুভি দেখার সময়টি হতে পারে শ্রেষ্ঠ একটি কোয়ালিটি টাইম। আর ব্যস্ততার জন্য কাউকেই পাওয়া না গেলে নতুন বা প্রিয় কোনো মুভি ছেড়ে দিয়ে একা একাই বসে যাওয়া যেতে পারে কফিভর্তি মগ হাতে নিয়ে। কয়েক যুগ ধরে চলচ্চিত্রগুলোর পাশাপাশি টিভি সিরিজগুলো বিভিন্ন ধরনের দর্শকের চাহিদার ভিত্তিতে কন্টেন্ট তৈরি করে আসছে। সব মুভি বা টিভি সিরিজের পটভূমিতেই রোমান্টিক আবহ থাকে না। আর কমেডি শো হলে ভ্যালেন্টাইনের মতো হাজারো সপ্তাহ অকপটেই কাটিয়ে দেওয়া যায়। এই মাধ্যমটি বিশেষত অফিসপাড়ার সিঙ্গেলদের জন্য ভ্যালেন্টাইন ডে উদ্‌যাপনের সেরা উপায় হতে পারে।

পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো

ভ্যালেন্টাইন ডে’ কেন্দ্র করে বাবা-মা, ভাইবোনদের জন্য গিফট কিনে সেগুলো দেওয়ার জন্য ছোট্ট করে মজার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে বাসার মধ্যেই। এখানে পরিবারের সদস্যদের প্রত্যেকে নিজ নিজ প্রিয় গান গাইতে পারে বা কবিতা আবৃত্তি করতে পারে অথবা শেয়ার করতে পারে নিজের জীবনের প্রিয় কোনো মুহূর্ত। বড় পরিবারের ক্ষেত্রে এই আনন্দগুলো আরও বড় হতে পারে। চাচাতো ভাইবোনরা সব একসঙ্গে হয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলা করা, বাড়ি সাজানো, রান্নাবান্না সব মিলিয়ে ক্রিস্টমাস বা ঈদের মতোই এক দারুণ সময়ের অবতারণা করা যেতে পারে।

নতুন কোনো খাবার রান্না করা

যারা রান্না করতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য ভ্যালেন্টাইন ডে নিঃসন্দেহে একটি চমৎকার দিন। শুধু পরিবারের লোকজনই নয়; বন্ধুবান্ধব, পাড়া-পড়শি অথবা আত্মীয়স্বজনকে ডেকে ছোটখাটো একটা পার্টির আয়োজন করে পরিবেশন করা যেতে পারে নিজের সেরা রান্নাটা। তা ছাড়া নতুন কোনো সময়সাধ্য রান্নার জন্য কাজের পর বাকি পুরো দিনটিই নিজের জন্য রেখে দেওয়া যেতে পারে। ভ্যালেন্টাইনের আগের দিনেই পরিকল্পনা করে পরদিন কাজ শেষে বাসায় ফেরার সময় মনের মতো বাজার করে নেওয়া যেতে পারে। সন্ধ্যার পর থেকে নিজের বিশাল সাম্রাজ্যটায় যথারীতি আয়োজন করে শুরু করা যেতে পারে প্রিয় রান্নাটি।

নতুন ব্লগ তৈরি

যারা নিজের কাজটি করতে প্রচণ্ড ভালোবাসেন, তাদের আসল ভ্যালেন্টাইন তো সেই কাজটিই। তাই যে কাজে পারদর্শিতা আছে, সে রকম কোনো কাজ করে তা রেকর্ড করার জন্য ভ্যালেন্টাইন ডে-টা সেরা। হতে পারে সেটা গিটার বাজানো, গান গাওয়া, রান্না, প্রযুক্তিবিষয়ক কোনো ভিডিও, এমনকি ঘুরতে গিয়েও ভ্রমণটা ভিডিও করে আনা যেতে পারে। এরপর ফুটেজগুলো মনের মতো সম্পাদনা করে আপলোড করা যেতে পারে ইউটিউব ও ফেসবুকে। এটি শুধু তৃপ্তির কাজ-ই করা হবে না; পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়ার জন্যও একটি সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে।

সিঙ্গেল নামের স্টেরিওটাইপটি ম্লান হয়ে যেতে পারে বছরের অন্য বিশেষ দিনগুলোর মতো ভ্যালেন্টাইন্স ডে-টাও শুরু করলে। মূলত মানসিক প্রশান্তি দিনের ধরনের ওপর নির্ভর করে না। যেকোনো অর্জন অথবা নিছক ভালোলাগার উদয় বিশেষায়িত করতে পারে যেকোনো সাধারণ দিনকে। শুধু ভ্যালেন্টাইন ডে নয়, এটি যেকোনো তথাকথিত বিশেষ দিন, এমনকি সপ্তাহের শেষ দিনটির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles