10.5 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

ভোটে জেতানোর আশ্বাসে ২০ লাখ টাকা নিলেন আ. লীগ নেতা

ভোটে জেতানোর আশ্বাসে ২০ লাখ টাকা নিলেন আ. লীগ নেতা - the Bengali Times
কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম সংগৃহীত ছবি

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এক মেম্বার পদপ্রার্থীকে জিতিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিমের ‍বিরুদ্ধে। সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থী হারুনুর রশীদের কাছ থেকে কয়েক দফায় তিনি এই টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নির্বাচনে হেরে গিয়ে ওই প্রার্থী এখন টাকা ফেরত চাইছেন। দুজনের মধ্যে এ সংক্রান্ত কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই অডিও কথোপকথনে শোনা যায়, হারুন বলছেন- ‘চান রাইতের দিন (নির্বাচনের আগের রাতে) ১২ লাখ টাকা নিলেন। কিন্তু আমার জন্য কি করলেন?’ জবাবে ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম বলেন- ‘প্রশাসন কারচুপি করতে দেয় নাই।’

- Advertisement -

এ সময় হারুন জবাবে বলেন- ‘ভাই যা হওয়ার হইছে, আপনি আমার টাকাগুলো ফেরত দেন।’ তখন সেলিম বলেন, ‘রাজনৈতিক সংগঠনে মানুষ কোটি কোটি টাকা খরচ করে মেম্বার-চেয়ারম্যান নির্বাচন করে। রাজনীতি করতে গেলে টাকা লাগে। টাকা দিছস। ভবিষ্যতেও দিবি।’ এ কথার জবাবে উত্তেজিত কণ্ঠে হারুন বলেন, ‘আপনি আমার কাছ থেকে টাকা নিছেন, আবার প্রতিপক্ষের কাছ থেকে ২ কোটি টাকা নিছেন।’

এ বিষয়ে শাক্তা ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর প্রার্থী হারুনুর রশীদ বলেন, ‘নির্বাচনে আমাকে জিতিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম কয়েক দফায় ২০ লক্ষাধিক টাকা নিয়েছেন। ২০ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি আমার কাছ থেকে ৪ লাখ, মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর ৩ লাখ এবং নির্বাচনের আগের দিন (২৭ নভেম্বর) ১২ লাখ নিয়েছেন। আমি নিজে গিয়ে তার ঘাটারচরের অফিসে টাকাগুলো পৌঁছে দিয়েছি। নির্বাচন ছাড়াও তিনি আমার কাছ থেকে ৪৮ লাখ টাকা নিয়েছেন। আমি জমি বিক্রি করে তাকে টাকা দিয়েছি। তিনি ভালো মানুষ সেজে শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন।’

মেম্বার প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম বলেন, ‘এগুলো এডিট করা। মিথ্যা, বানোয়াট। আমার প্রতিপক্ষ আমাকে হেয় করার জন্য মিথ্যা নাটক সাজিয়ে এটা করেছে। আমি দীর্ঘদিন রাজনীতি করি। ওইরকম স্বভাবের হলে অনেক টাকা কামাতে পারতাম। আমার ঢাকা শহরে কোনো বাড়ি নেই, ব্যক্তিগত গাড়ি নেই। ব্যাংক ব্যালেন্সও নেই।’

সূত্র : আমাদের সময়

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles