
পারভীন আক্তার নামের এক প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে দানবাক্সে চিঠি ফেলে গেছেন এক ব্যক্তি। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় চার মাস ১০ দিন পর পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলার সময় রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকার সঙ্গে এই চিঠিটি পাওয়া যায়। ওই চিঠি ছাড়াও অসংখ্য চিঠি পাওয়া গেছে দানবাক্সে।
ওই চিঠিতে প্রেমিক তার নাম লিখেছেন সাইফুল ইসলাম। বাড়ি সিলেটের হবিগঞ্জে বলে ওই চিঠিতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে সাইফুল ইসলাম লিখেছেন, ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আমি পারভীন নামে একটা মেয়েকে প্রচণ্ড ভালোবাসি। কিন্তু মেয়েটি আমাকে ভালোবাসে না। আমি আল্লাহর নিকট একটি প্রার্থনাই করি, আল্লাহ যেন আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে পারভীনকে কবুল করে নেন। যারা চিঠিটা পড়বেন তাদের কাছেও আমি দোয়া চাই।’
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, চার মাস ১০ দিন পর শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাংক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতলায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে। তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে চার মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, অতীতে সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।
এই দানবক্সে আরও এক প্রেমিক চিঠি লিখে রেখে গেছেন। নাম পরিচয়হীন ওই প্রেমিকার চিঠিতে লেখা ছিল, ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। হে আল্লাহ সমস্ত প্রশংসা শুধু তোমার জন্য। হে আল্লাহ আমি একটা ছেলেকে অনেক পছন্দ করি। আর সেও আমাকে। আমরা বিয়ে করতে চাই। কিন্তু তার মা-বাবা-ভাই মেনে নেয় না। আল্লাহ তোমার কুদরতি পায়ে ধরে বলি আমার পছন্দের মানুষের ফ্যামিলি যেন আমাদের মেনে নেয়। তুমি এই তৌফিক দান করো। আমিন।’
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ মোট ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছে। বর্তমানে টাকা গণনা চলছে। শেষ হতে হয়তো রাত ৯টা লেগে যেতে পারে।