
২০১০ সালে ‘মাই নেম ইজ খান’ ছবিতে শাহরুখ খানকে বলতে শোনা যায়, ‘মাই নেম ইজ খান অ্যান্ড আই অ্যাম নট আ টেররিস্ট’। ১৪ বছর পর সেই সংলাপ আবারও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল। এ বার জেল থেকে পাঠানো বার্তায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘মাই নেম ইজ অরবিন্দ কেজরিওয়াল অ্যান্ড আই অ্যাম নট আ টেররিস্ট’।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা সঞ্জয় সিংহ কারাবন্দি কেজরিওয়ালের একটি বার্তা পড়তে গিয়ে এমনই জানালেন।
গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার কেজরিওয়ালের বর্তমান ঠিকানা এখন তিহাড় জেল। সেখানকার দুই নম্বর সেলেই দিন কাটছে তার। গ্রেপ্তার হওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়েননি তিনি।
আপ দাবি করেছে, জেল থেকেই সরকার চালাবেন কেজরিওয়াল। কারাবন্দী হওয়ার পর থেকেই স্ত্রী সুনীতাসহ আপের বিভিন্ন নেতা-নেত্রীর মাধ্যমে নিজের বার্তা দিয়ে আসছেন তিনি। মঙ্গলবার তেমনই এক বার্তা পড়ে শোনালেন আপের রাজ্যসভার সংসদ সদস্য সঞ্জয়।
তার অভিযোগ, ‘জেলে কেজরিওয়ালের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের মতো আচরণ করা হচ্ছে।’ সোমবার তিহাড়ে গিয়ে কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মান। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যের এক জন দাগী আসামিকে যে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, কেজরিওয়ালকে সেটুকুও দেওয়া হচ্ছে না। তার দোষটা কোথায়?’
মঙ্গলবার একই কথা বলতে শোনা গেল সঞ্জয়ের মুখেও। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছেন, ‘জেলে কাছের মানুষের সঙ্গে কেজরিওয়ালকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এটিই স্পষ্টতই একটি প্রতিহিংসার রাজনীতি। এভাবে তাকে আটকে রাখা যাবে না। তিনি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবেন।’
এদিকে জেল থেকে কেজরিওয়ালের দেওয়া নতুন বার্তা যখন আলোচনায়, তখন বিজেপিও পাল্টা আক্রমণ করতে ছাড়ছে না। দিল্লির সংসদ সদস্য মনোজ তিওয়ারি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘কে তাকে সন্ত্রাসবাদী বলছে? আমরা তাকে দুর্নীতিবাজ বলছি। তিনি দিল্লির শত্রু।’
অন্য দিকে, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পাননি কেজরিওয়াল। আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির গ্রেপ্তারি বেআইনি, এমন দাবি করে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিলেন আপ প্রধান। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রিপোর্ট তলব করে সুপ্রিম কোর্ট। এমনকি দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতেও স্বস্তি পাননি কেজরিওয়াল।
জেল হেফাজত শেষে তাকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। সেই মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জেল হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন বিচারক।