19.7 C
Toronto
বৃহস্পতিবার, মে ১৬, ২০২৪

মৃত্যুর কাছে হেরে গেল আনিকার উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন

মৃত্যুর কাছে হেরে গেল আনিকার উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন
নিখোঁজ আনিকা আক্তার

মৃত্যুর কাছে হেরে গেছে আনিকার উচ্চশিক্ষা অর্জনের স্বপ্ন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার চরসোনারামপুর এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় (২২ মার্চ) ডুবে যাওয়া ভ্রমণতরীর যাত্রী ছিলেন। একদিন পেরিয়ে গেলেও তার মরদেহ উদ্ধার করতে পারেননি উদ্ধারকারীদল।

আনিকা আক্তার (১৯) নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামের দারু মিয়ার মেয়ে। তিনি বান্ধবীর সঙ্গে নৌকায় ঘুরতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন। শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় তাদের বহনকারী ট্রলারটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় আরও নিখোঁজ ৫ জন।

- Advertisement -

আনিকা চলতি বছর নরসিংদী মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। দুই ভাই সোহেল মিয়া আর মেহেদি হাসানের মধ্যে তিনি ছোট। বড় দুই ভাইই কর্মজীবী। বেশি পড়াশোনা করেননি। তাদের প্রচেষ্টায় আনিকার শিক্ষাজীবন চলছিল। আনিকাসহ সকলের স্বপ্ন ছিল তিনি উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করবেন।

আনিকার বড়ভাই সোহেল মিয়ার সঙ্গে কথা হয় মেঘনা নদীর ভৈরবপাড়ে। তিনি জানান, শুক্রবার বাড়ি থেকে তার বান্ধবী রুবার বাড়িতে বেড়াতে যায় সে। সেখান থেকে তার সঙ্গে বিকালে ভৈরবের মেঘনার ব্রিজ দেখতে এসে নদীভ্রমণের জন্য আনিকা ও তার বান্ধবী রুবা নৌকায় উঠে। নৌকায় ভ্রমণের সময় একটি বালুবাহী বলগেটের সঙ্গে ভ্রমণতরীর ধাক্কা লেগে নদীতে ডুবে যায়। রুবা সাঁতার কেটে প্রাণে বেঁচে ফিরলেও ডুবে যায় আনিকা।

ভ্রমণতরী ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরা হলেন- শহরের কমলপুর এলাকার সুবর্ণা বেগম (২০), ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমী বেগম (২৫) ও আমলাপাড়া এলাকার চন্দন দের শিশুকন্যা আরাদ্ধ দে (১২)।

এখনও নিখোঁজ আছেন ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা (৩২), মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রাইসুল (৫), ভৈরবের আমলাপাড়ার দোলন দে (৩৫) এবং আনিকা আক্তার (১৯)।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles