14.7 C
Toronto
শুক্রবার, মে ১০, ২০২৪

বাবা প্রবাসে, তিন শিশু পাবনা থেকে ফরিদপুরে মায়ের ‘প্রেমিকের’ বাড়িতে

বাবা প্রবাসে, তিন শিশু পাবনা থেকে ফরিদপুরে মায়ের ‘প্রেমিকের’ বাড়িতে
মায়ের প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থানরত তিন শিশু

শিশুগুলোর বাবা প্রবাসী। মাস তিনেক আগে মাও তাদের ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে চলে যান। উপায় না পেয়ে তারা চাচাকে সঙ্গে নিয়ে মায়ের খোঁজে উপস্থিত হয়েছে মা যে বাড়িতে এসেছেন সেই বাড়িতে। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের বিষ্ণদী গ্রামে।

মায়ের খোঁজে এই গ্রামে আসা তিন শিশুর বাড়ি পাবনা জেলায়।

- Advertisement -

গত বৃহস্পতিবার ১১, ৮ ও ৩ বছর বয়সী এই তিন শিশু তাদের চাচাকে সঙ্গে নিয়ে বিষ্ণদী গ্রামের সুজন কুণ্ডুর বাড়িতে আসে। দুই দিন ওই বাড়িতে অবস্থান করে মাকে না পেয়ে আজ শনিবার তারা আবার পাবনা ফিরে যায়। তারা পাবনার সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।

গতকাল শুক্রবার মায়ের খোঁজে আসা ১১ বছর বয়সী শিশুকন্যা বলে, ‘সাত বছর ধরে আমার বাবা মালয়েশিয়ায় থাকেন। কয়েক মাস আগে মা বাড়ি থেকে চলে এসেছেন। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর আমার চাচার সঙ্গে এই বাড়িতে এসেছি। এই বাড়িতে এসে মাকে দেখেছি।

কিন্তু মা আমাদের দেখে পালিয়ে গেছেন। আমরা এখন কী করব? কোথায় যাব?’

শিশুদের সঙ্গে আসা চাচা বলেন, ‘বছর খানেক আগে বিষ্ণদী গ্রামে এক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বৌদি। সেখান থেকে সুজনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায় তিন মাস আগে সুজন পাবনায় গিয়ে বৌদিকে নিয়ে ফরিদপুরে চলে আসেন।

তিনি আরো বলেন, ‘আমার ভাই মালয়েশিয়া থেকে বৌদির কাছে টাকা পাঠাতেন। আর সেই টাকা বৌদি তাঁর প্রেমিক সুজনকে দিতেন। সুজন আমার ভাইয়ের টাকায় বাড়ি করেছেন, সুখে-শান্তিতে আছেন। কিন্তু মা-বাবা ছাড়া আমার শিশু ভাতিজা-ভাতিজিরা অসহায় হয়ে পড়েছে। আমরা এখন ওদের নিয়ে বিপদে আছি। তাই বাধ্য হয়ে ওদের নিয়ে সুজনের বাড়িতে এসেছিলাম। কিন্তু এই বাড়িতে ২দিন অবস্থান নিয়ে বৌদিকে না পেয়ে ওদের নিয়ে বাড়িতে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছি। তবে আমরা এর একটা সমাধান চাই।’

শিশুদের মা ও সুজন পলাতক থাকায় তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সুজন কুণ্ডুর বাবা দিলীপ কুণ্ডু বলেন, ‘আমার ছেলে বাড়িতে নেই। তাঁর সঙ্গে যে নারী ছিল, সেও বাড়িতে নেই। আমি এখন কিভাবে সমাধান দেব।’

আজ শনিবার বিকেলে বল্লভদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান শাহিন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম। অভিযুক্ত সুজন বাড়িতে নেই। তাঁকে খুজে বের করার চেষ্টা করছি। আশা করি সুজনের সঙ্গে কথা বলে ওই তিন শিশুকে তাদের মায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারব।’

ফরিদপুর সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল নগরকান্দা) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, ‘মায়ের খোঁজে শিশুদের অবস্থানের বিষয়টি আমরা অবগত আছি। ওই বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। শিশুদের মা ও সুজনকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। যেহেতু ওই নারীর তিনটি সন্তানই অপ্রাপ্তবয়স্ক, তাই আমার সমাজসেবা অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তিনি ব্যবস্থা নেবেন। একইসঙ্গে যদি পাবনা থেকে কেউ অভিযোগ করে, তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles