8.8 C
Toronto
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

৮৭ বছর বয়সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি

৮৭ বছর বয়সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি - the Bengali Times
বছর বয়সে ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন শ্রীলংকার নাগরিক ভারাথালেডচুমি সানমুগানাথন

সবচেয়ে বেশি বয়সী শিক্ষার্থী হিসেবে ৮৭ বছর বয়সে ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন শ্রীলংকার নাগরিক ভারাথালেডচুমি সানমুগানাথন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে যে ৪ হাজার শিক্ষার্থী মঙ্গলবার স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন সানমুগানাথন তাদের একজন।

সিপি২৪কে তিনি বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে কিছু করার আকাক্সক্ষা আমার সারাজীবনের। সারাজীবনই আমি রাজনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে আগ্রহী।
বিশ^বিদ্যালয়ের তরফ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সানমুগানাথন ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির সবচেয়ে বেশি গ্র্যাজুয়েটই কেবল নন, কানাডায় সবচেয়ে বেশি বয়সে গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি নেওয়া নারীদেরও একজন তিনি।

- Advertisement -

এটা তার দ্বিতীয় গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি। এর আগে তিনি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের বার্বেক কলেজ থেকেও গ্র্যাজহজুয়েশন সম্পন্ন করেন। সে সময় তার বয়স ছিল ৫০-এর মাঝামাঝি। ইয়র্কে থাকাকালে তার পড়ার আগ্রহ ছিল শ্রীলংকা নিয়ে। শ্রীলংকা তার জন্ম ও বেড়ে ওঠার স্থান।
শ্রীলংকায় জাতীয় শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় অহিংসা নিয়ে গবেষণা করেছেন তিনি। কৈশোরে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি আকৃষ্ট হয়েই এ গবেষণায় উদ্বুদ্ধ হন সানমুগানাথন। তিনি বলেন, আমার মনোযোগ বেশি ছিল শ্রীংকার ওপর। কারণটা আপনারা সবাই জানেন। গত ৫০ বছর ধরে শ্রীলংকা খবরের শিরোনাম হয়ে আসছে। ১৯৪৮ সালে শ্রীলংকা স্বাধীনতা লাভ করে। সে সময় থেকে শীলংকার খবরগুলো ছিল শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে।

সানমুগানাথনের জন্ম উত্তর শ্রীলংকায় এবং স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের জন্য তিনি ভারতে যান। গ্র্যাজুয়েশন শেষে তিনি শ্রীলংকায় ফিরে আসেন এবং স্থানীয় একটি স্কুলে ইতিহাস ও ইংরেজি বিষয়ে পাঠদান শুরু করেন। এরপর শিক্ষায় একটি ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন। কানাডায় অভিবাসনের আগে তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাস করতেন। সেখানে তিনি শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং ইংরেজি, অর্থনীতি ও ইএসএল বিষয়ে হাইস্কুলে পাঠদান করতে থাকেন। মেয়ের স্পন্সরশীপে ২০০৪ সালে তিনি কানাডায় আসেন।

কয়েক বছর আগে তিনি ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির টিউশন ফিতে প্রণোদনার বিষয়টি জানতে পারেন এবং শিক্ষা শুরু করতে আবেদন করেন। ২০১৯ সালের ফল/উইন্টার সেশনে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ পান সানমুগানাথন। সে সময় তার বয়স ছিল ৮৫ বছর।
সানমুগানাথন বলেন, আমি সব সময় চেয়েছিলাম এ অথবা এ মাইনাস পেতে এবং আমি তা পেয়েছি।

পরবর্তীতে লেখক হওয়ার পরিকল্পনা আছে সানমুগানাথনের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি পিএইচডি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু করলাম এমএ। এর কারণ, আমার মনে হয়েছিল দ্রুত এটি শেষ করে অন্য কিছু করতে পারব। সেই মোতাবেক আমি একটি বই লিখতে যাচ্ছি।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles