11.6 C
Toronto
বুধবার, মে ১, ২০২৪

নেতাদের ভোট

নেতাদের ভোট
চৌদ্দ দলের ছোট দলগুলোর নেতারা বলেছেন তাঁদের ছোট দল এ জন্য বারবার নৌকা প্রতীকে ভোট করেন কিন্তু তাঁদের রাজনৈতিক মূল্য আছে

দুঃখের মধ্যেও একটা ফানি ঘটনার প্রতিক্রিয়া না দিয়ে পারছি না। চৌদ্দ দলের ছোট দলগুলোর নেতারা বলেছেন, “তাঁদের ছোট দল, এ জন্য বারবার নৌকা প্রতীকে ভোট করেন। কিন্তু তাঁদের রাজনৈতিক মূল্য আছে। তাঁদের যেন ভুঁইফোড় দলের সঙ্গে তুলনা করা না হয়। ভোটের পরও নানা চাপে তাঁদের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ হবে।”

এইযে ছোট দলের নেতাদের বড় বড় কথা, এর মানে হলো এলাকায় ভিত্তি না থাকলেও নিজেদের গুরুত্ব তুলে ধরে কিছু আসন বাগিয়ে এমপি মন্ত্রী হওয়া। তবে চৌদ্দ দলের জোট সত্তেও তারা নিজেদের প্রতীকে ভোট করতে ভয় পান। ছোট দলের বড় নেতাদের বিজয় নিশ্চিত করতে তারা নৌকা প্রতীক চায়। তারপরেও তারা নিশ্চিত নয় জয়ের ব্যাপারে। সে কারণে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বসিয়ে দিতেও অনুরোধ করেছেন। কিন্তু স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী সেটি নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বসিয়ে দেয়া হবে না, কারণ তাদের জন্যে অনেকে ভোট দিতে আসবেন। তবে তিনি শরীক দলগুলোকে বলেছেন, ইচ্ছে করলে তাদের দলের অন্য প্রার্থীরা নিজ নিজ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবেন।

- Advertisement -

জনাব রাশেদ খান মেনন, ইনু ভাই, দীলিপ বড়ুয়াদের কাছে আমার প্রশ্ন হলো, দরকষাকষি করে যে কয়টা আসনের জন্যেই নিজেরা নৌকা প্রতীক পান না কেন, সেগুলো দলের অন্য প্রার্থী যারা জাতীয়ভাবে কম পরিচিত, তাদের দেয়া হয় না কেন? নিজেরা ছোট দলের বড় নেতা, জাতীয় পরিচিতি আছে, তাহলে নিজেরা নৌকা নিয়ে দলের দীর্ঘদিনের পোড়খাওয়া জেলা নেতাদের হাতুড়ী কাস্তে মার্কায় ইলেকশন করতে বলা হচ্ছে কেন?

নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত বলে নিজেরা নিবেন নৌকা আর কর্মীদের দিবেন হাতুড়ী মশাল কাস্তে, অর্থাৎ নিশ্চিত পরাজয় বলা চলে, এই বৈষম্য কেন? এবার অন্ততঃ নৌকা প্রতীকগুলো জেলা উপজেলার নেতাদের দিয়ে নিজেরা নিজ দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করে দেখিয়ে দিন যে আপনারা অন্ততঃ নিজ দলের কর্মীদেরকে মুল্য দিতে জানেন। এমপি মন্ত্রী হবার সুযোগ শুধু আপনারাই পাবেন আর কর্মীরা আপনাদের পেছনে সারা জীবন শ্লোগান দিয়েই যাবেন, সেটা কতকাল দলের অন্য লোকজন মেনে নেয় সেটাই দেখার বিষয়।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles