16.2 C
Toronto
রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪

৪০ পেরোলেই কমছে যৌন আকাঙ্ক্ষা?

৪০ পেরোলেই কমছে যৌন আকাঙ্ক্ষা?
প্রতীকী ছবি

বয়স ৪০ পেরোতে না পেরোতেই যৌন আকাঙ্ক্ষা হ্রাস পায় অনেক পুরুষের। মূলত ইরেকটাইল ডিসফাংশন নিয়ে সংকোচ বা অজ্ঞতার কারণেই এই সমস্যা আরও জটিল হয়। সাধারণত হাড়ের ক্ষয় রোধে ভিটামিন ডি কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে কম বেশি অনেকেই জানেন। কিন্তু এই ভিটামিনের অন্যান্য গুরুত্ব নিয়ে তেমন সচেতনতা নেই।

যদিও ভিটামিন ডির অভাবে শুধু হাড় ক্ষয় নয়, চুল পড়ে যাওয়া, অবসাদ, মেরুদণ্ডে ব্যথাসহ যৌন ক্ষমতাও কমে যেতে পারে। এমনটাই মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. অনির্বাণ দলুইয়ের।

- Advertisement -

ইরেকটাইল ডিসফাংশন

ইরেকটাইল ডিসফাংশন পুরুষের একটি যৌন সমস্যা। এই রোগ হলে তারা যৌন মিলনের সময় অঙ্গে শিথিলতা অনুভব করেন, যার কারণে যৌন মিলনে সন্তুষ্টি থাকে না। এর সঙ্গে আরও অনেক রকম যৌন সম্পর্কিত সমস্যা থাকতে পারে। তবে বয়স্কদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি। তাছাড়া কিডনির রোগ, হার্টের সমস্যা, স্থূলতা, মানসিক চাপ, হতাশা এবং ডায়াবেটিস ছাড়াও ধূমপান, অ্যালকোহল বা ওষুধের ব্যবহার এর প্রধান কারণ। এর ফলে দেহে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা হ্রাস পেতে পারে।

চাই ভিটামিন ডি

ভিটামিন ডি শরীরে রক্ত সঞ্চালনের ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করে। যৌন মিলনের সময় রক্ত সঞ্চালনের বৃদ্ধি ও প্রয়োজনীয় উত্থানে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ইরেকটাইল ডিসফাংশন শরীরে ভিটামিন ডি’র অভাবে দেখা যায়। ২০ বছরের বেশি বয়সের প্রায় তিন হাজার জন পুরুষের উপর করা একটি গবেষণায় এই তথ্যের সত্যতা মিলেছে।

বিস্তারিত বললে যাদের শরীরে ভিটামিন ডি’র মাত্রা প্রতি মিলিতে ২০ ন্যানোগ্রামের কম তাদের ইরেকটাইল ডিসফাংশন হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আবার শরীরে ভিটামিন ডি’র মাত্রা প্রতি মিলিতে ৩৫ ন্যানোগ্রামের বেশি হলে এই সমস্যা কমে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, অন্য হরমোনের অভাব সরিয়ে রাখলে শুধুমাত্র ভিটামিন ডি’র ঘাটতিতেই এই সমস্যা প্রকট হয়ে উঠছে।

ভিটামিন যেভাবে ইরেকটাইল ডিসফাংশন নিয়ন্ত্রণ করে

গবেষকরা বলছেন, ভিটামিন ডি’র অভাবে রক্তবাহের দেয়ালে এন্ডোথেলিয়াল স্তরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভিটামিন ডি’র একটি মাত্র ডোজেই এই সমস্যা কমতে শুরু করে। ভিটামিন ডি আবার নাইট্রিক অক্সাইডের তৈরিতে সাহায্য করে, যা লিঙ্গোত্থানের জন্য রক্তবাহের মধ্যে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। রক্তে পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে ভিটামিন ডি। আরও দেখা গেছে এই ভিটামিন শরীরের প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদানগুলো কমিয়ে রাখে, যার ফলে ইরেকটাইল ফাংশন ঠিক থাকে।

সমাধানের উপায়

ইরেকটাইল ডিসফাংশন থাকলে ভিটামিন ডি-৩’ এর মাত্রা পরীক্ষা করে নেওয়া জরুরি। এর অভাব থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো ভিটামি ডি’র সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যায়। প্রতিদিন ১০০০ আইইউ সাপ্লিমেন্ট কয়েক সপ্তাহ পর রক্তের মাত্রায় প্রতি মিলিতে ১০ ন্যানোগ্রাম ভিটামিন ডি বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু ভিটামিন ডি’র গুরুতর অভাব হলে কয়েক মাসও সময় লাগতে পারে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles