15 C
Toronto
শনিবার, মে ১৮, ২০২৪

কিংস স্ট্রিট ট্রানজিটে আইন ভেঙেও টিকিট পান ০.৩% চালক

কিংস স্ট্রিট ট্রানজিটে আইন ভেঙেও টিকিট পান ০.৩% চালক
স্ট্রিটকারকে আগে যেতে দেওয়ার আইনি অধিকার কাজে আসছে না যেমনটা আশা করা হয়েছিল কিং স্ট্রিটের ট্রাফিক ও টিকিটের উপাত্তের নতুন এক বিশ্লেষণে বিষয়টি উঠে এসেছে

স্ট্রিটকারকে আগে যেতে দেওয়ার আইনি অধিকার কাজে আসছে না যেমনটা আশা করা হয়েছিল। কিং স্ট্রিটের ট্রাফিক ও টিকিটের উপাত্তের নতুন এক বিশ্লেষণে বিষয়টি উঠে এসেছে।

ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর স্কুল অব সিটিজের বিশ্লেষণ বলছে, কিং স্ট্রিট ট্রানজিট প্রায়োরিটি করিডোরে যেসব আইন লঙ্ঘন হয়েছে তাদের মধ্যে দশমিক ৫ শতাংশেরও কম ক্ষেত্রে টিকিট ইস্যু করেছে পুলিশ।
টিটিসির সাম্প্রতি তথ্য বলছে, ২০১৭ সালে যখন কিং স্ট্রিট ট্রানজিট পাইলট চালু করা হয়েছিল বর্তমান পরিস্থিতি সেরকম খারাপ আছে বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরও খারাপ হয়েছে। স্ট্রিটকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ব্যাথার্স্ট ও জার্ভিসের মধ্যে প্রযোজ্য বিশেষ নিয়ম চালকরা ভঙ্গ করায় এই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে তাদের বিশ্বাস।

- Advertisement -

রেডিটের একটি পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পর সম্প্রতি বিষয়টি বড় করে সামনে এসেছে। ওই পোস্টে দেখানো হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি হেঁটে পিটার স্ট্রিট থেকে ইয়ং স্ট্রিটে যায় সেক্ষেত্রে তার সময় কিং স্ট্রিটকারের চেয়ে কম লাগে।

প্রতিবেদনের লেখকরা মোড়ে যানবাহনের গতি সংক্রান্ত উপাত্ত চেয়ে অনুরোধ করেছিলেন। সেই সঙ্গে ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত টরন্টো পুলিশের ইস্যু করা টিকিটের উপাত্তও চেয়েছিলেন। প্রতিবেদন বলছে, কিং স্ট্রিট প্রায়োরিটি করিডোরের মোড়গুলোতে প্রতিদিন প্রায় ৬ হাজার ৮০০ অবৈধ বাঁক নেওয়া হয়েছে। কিন্তু টরন্টো পুলিশ টিকিট ইস্যু করেছে গড়ে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশেরও কম। অর্থাৎ, কিং স্ট্রিট ট্রানজিট প্রায়োরিটি করিডোরে আইন ভঙ্গ করেও কোনো জরিামানার মুখে পড়েননি ৯৯ দশমিক ৭ শতাংশের বেশি চালক।

আইন ভঙ্গের জরিমানা ৮৫ থেকে ১০০ ডলার। আইনের সঠিক প্রয়োগ না করায় রাজস্বের সম্ভাবনাও হাতছাড়া হচ্ছে বলে প্রতিবেদনের লেখকরা মনে করছেন। অটোমেটিক এনফোর্সমেন্ট ক্যামেরা এক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে বলে মনে করছেন তারা। সিটি কর্মীরা যাতে বিষয়টি ভেবে দেখেন সেজন্য সম্প্রতি একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন কাউন্সিলর ক্রিস ময়েস।

পরীক্ষামূলক প্রকল্প হিসেবে কিং স্ট্রিট ট্রানজিট প্রায়োরিটি করিড্রো ২০১৭ সালে চালু করা হয়। নগরীর ব্যস্ততম রুটটিতে ভ্রমণ সময়ের লক্ষণীয় উন্নতি হওয়ায় পরবর্তীতে এর মেয়াদ দুই বছর বর্ধিত করা হয়।
নতুন প্রতিবেদনে লেখকরা ২০১৯ সাল থেকে মোড়ে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের উপাত্ত খতিয়ে দেখেছেন। এর মধ্য পরিস্থিতির পূর্ণাঙ্গ চিত্র সামনে এসেছে।

তাদের হিসাব অনুযায়ী, ওই বছর কিং ও পোর্টল্যান্ড মোড়ে সবচেয়ে বেশি আইন লঙ্ঘন হয়েছে। মোড়গুলোতে প্রতিদিনি গড়ে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ হয়েছে ১ হাজার ১০৬টি। যদিও ২০১৯ সালে ওই মোড়গুলোতে টিকিট ইস্যু করা হয়েছে প্রতিদিন গড়ে মাত্র ছয়টি। এ ছাড়া কিং ও ব্যাথার্স্ট স্ট্রিটে আইন লঙ্ঘনের ঘটনা প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ৬৪টি। এর বিপরীতে টিকিট ইস্যু করা হয়েছে প্রতিদিন গড়ে তিনটির কম। এর পরের দুই বছর আইন লঙ্ঘনের ঘটনা একই রকম থেকেছে অথবা বেড়েছে।

 

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles