17.5 C
Toronto
মঙ্গলবার, মে ২১, ২০২৪

স্বামীর খোঁজে বাংলাদেশে এসে নিরাশ হয়ে ফিরলেন ভারতীয় তরুণী

স্বামীর খোঁজে বাংলাদেশে এসে নিরাশ হয়ে ফিরলেন ভারতীয় তরুণী
<br >রিয়া বালা ও বিটু রায়

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতীয় তরুণী রিয়া বালা ও বাংলাদেশি যুবক বিটু রায়ের সম্পর্ক গড়ায় ভালোবাসায়। আবদ্ধ হন বিবাহবন্ধনে। বিয়ের এক মাসের মাথায় রিয়াকে রেখে ভারত থেকে দেশে ফেরেন বিটু রায়। দেশে ফিরে রিয়া বালার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি। এমনকি বিয়ের বিষয়টিও অস্বীকার করতে থাকেন। উপায় না দেখে স্বামীর খোঁজে গত বুধবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়ে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বিটুর বাড়িতে আসেন রিয়া বালা।

- Advertisement -

কিন্তু স্বামীর খোঁজ না পেয়ে আজ শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজ দেশ ভারতে ফিরে গেছেন তিনি।

রিয়া বালা ভারতের বর্ধমান জেলার অম্বিকা কালনা এলাকার শ্যামল কান্তির মেয়ে। তার স্বামী পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের শিবচণ্ডী এলাকার অখিল চন্দ্রের ছেলে বিটু রায়।

স্থানীয় প্রশাসন ও রিয়া বালা জানান, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে রিয়া বালার সঙ্গে পঞ্চগড়ের অখিল চন্দ্র রায়ের ছেলে বিটু রায়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২১ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ থানার শিকারপুর এলাকায় রিয়া বালাকে বিয়ে করেন বিটু। বিয়ের পর তারা সেখানে এক মাস ভাড়া বাড়িতে থাকেন। একদিন হঠাৎ পালিয়ে দেশে ফিরে আসেন বিটু রায়।

এদিকে তার আসার খবর পেয়েই বাড়ি থেকে পালিয়ে যান বিটু। গতকাল শুক্রবার ডিসেম্বর স্বামীর বাড়িতে নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোন করে সহযোগিতা চান ওই তরুণী। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানীয় নারী ইউপি সদস্যদের সহযোগিতা তাকে উদ্ধার করে তেঁতুলিয়া থানার নারী ও শিশু সেলে থাকার ব্যবস্থা করেন। এ সময় বিটুর বাবা অখিল চন্দ্রও সাথে ছিলেন। তিনি ছেলে ফিরে আসলে তাকে নিয়ে ভারতে গিয়ে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন।

আজ শনিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি তাকে বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত তাকে পৌঁছে দেন।

তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানা রাজিয়া বলেন, ছেলেটি পালিয়ে থাকায় বিষয়টি সমাধান করা সম্ভব হয়নি। তবে ছেলের বাবা ছেলে ফিরে আসলে তাকে নিয়ে ভারতের যাওয়ার আশ্বাস দেন। পরে ওই ভারতীয় তরুণী দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আমরা বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে গিয়ে তার বোনের কাছে তুলে দিয়েছি।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles