13.5 C
Toronto
সোমবার, মে ৬, ২০২৪

বিয়ের প্রলোভনে ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক, জবির শিক্ষককে অব্যাহতি

বিয়ের প্রলোভনে ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক, জবির শিক্ষককে অব্যাহতি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণিত বিভাগের এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে একই বিভাগের এক শিক্ষককে বিভাগীয় সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে গণিত বিভাগের একাডেমিক সভায় সর্বসম্মতি ক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

- Advertisement -

একই সঙ্গে বিভাগের পক্ষ থেকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত আবেদন দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষক হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ. বি. এস. মাণিক মুনসী এবং ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী একই বিভাগের বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।

জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক তার বিভাগের ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ এক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। সেই সঙ্গে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে বলে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে বিয়ে করার আশ্বাস দেন। গত বুধবার ওই শিক্ষকের কক্ষে ভুক্তভোগী ছাত্রীসহ দীর্ঘসময় দরজা বন্ধ অবস্থায় থাকেন। বিষয়টি বিভাগের অন্য একজন শিক্ষকের নজরে আসলে ঘটনাটি প্রকাশ হয়।

এ ঘটনার পর ওই ছাত্রী শিক্ষককে বিয়ে করতে বললে তিনি আপত্তি জানান। পরবর্তী সময়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিভাগীয় চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গণিত বিভাগের একজন শিক্ষক বলেন, ‘তিনি ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কীভাবে এমন একটি জঘন্য কাজ করতে পেরেছেন আমরা সবাই হতবাক। যদি না বিষয়টি হাতেনাতে ধরা না পড়তো তাহলে হয়তো আড়ালেই থাকতো। তিনি ওই শিক্ষার্থীকে মধু এবং পানি পড়া পর্যন্ত খাইয়েছেন, কারণ ওই শিক্ষার্থীর আচরণ নাকি অস্বাভাবিক- আমাদের বলেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রথমে ওই শিক্ষকের কাছে কাউন্সিলিং এবং বিভিন্ন পরামর্শের জন্য আসেন। এই সুযোগে ওই শিক্ষক ছাত্রীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন এবং একপর্যায়ে শিক্ষার্থীকে বিয়ে করবে বলে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন।’

এ বিষয়ে গণিত বিভাগের অভিযুক্ত শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক এ. বি. এস. মাণিক মুনসী বলেন, ‌‘আমি এ বিষয় নিয়ে আপনাকে কিছু বলতে চাচ্ছি না। যা বলার আমার বিভাগের চেয়ারম্যানকে বলব।’

অভিযোগের বিষয়ে গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শরিফুল আলম বলেন, ‘আমাদের বিভাগের একজন মেয়ে শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আমরা বিষয়টি বিভাগের একাডেমিক সভায় তুলেছি এবং প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ওই শিক্ষককে বিভাগের সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। আমরা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিভাগের পক্ষ থেকে উপাচার্য বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েছি। ’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আমরা গণিত বিভাগের পক্ষ থেকে উপাচার্য বরাবর একটি লিখিত আবেদন পেয়েছি। উপাচার্য অসুস্থ হওয়ায় তারা আবেদনটি আমাকে দিয়েছে। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় আগামীকাল বুধবার সকালে উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেব।’

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মোতাবেক তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

সূত্র : আমাদের সময়

 

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles