16.3 C
Toronto
রবিবার, মে ৫, ২০২৪

মাদ্রাসা পরিচালকের বলৎকারের শিকার হয়ে ১২ বছরের ছাত্রের মৃত্যু

মাদ্রাসা পরিচালকের বলৎকারের শিকার হয়ে ১২ বছরের ছাত্রের মৃত্যু

পটুয়াখালীর বাউফলে মাদ্রাসা পরিচালকের বলাৎকারের শিকার হয়ে আল রাফি (১২) নামের এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার নাজিরপুর তাতেঁরকাঠী ইউনিয়নের বড় ডালিমা মদিনাতুল উলুম কাওমিয়া হাফেজিয়া ও নুরানী কিল্ডার গার্ডেন মাদ্রাসা ও এতিম খানার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হাফেজ সেলিম গাজীর (৪০) বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।

- Advertisement -

গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই শিশুর মৃত্যু হয়। আল রাফি উপজেলার নাজিরপুরের বড়ডালিমা গ্রামের খালিফা বাড়ির রেজাউল আকনের ছেলে এবং ওই মাদ্রাসার হাফেজ বিভাগের ছাত্র ছিল।

জানা গেছে, রাফিকে বিভিন্ন কৌশলে প্রায়ই বলৎকার করতেন মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ সেলিম গাজী। গত দুই সপ্তাহ আগে শিশুটি পেটের ব্যথাসহ নানা ব্যধিতে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এরপর তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা শেষে ঢাকা জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে সে মারা যায়।

অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। তবে এ ঘটনায় বাউফল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন নিহতের পরিবার।

পরিবার সূত্র জানায়, গত তিন সপ্তাহ আগে শিশুটি পেটের ব্যথাসহ নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে বিষয়টি তার মা-বাবাকে জানানো হয়। এরপর তারা শিশুটিকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান তার অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাকে ঢাকার মহাখালীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসা শেষে চিকিৎসকরা জানান, রাফির মলদারে ক্যানসার হয়েছে যা ওর শরীরের রক্তে ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর ওকে ভর্তি করা হয় জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার সময় শিশুটির মৃত্যু হয়।

রাফির বাবা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার সন্তানটিকে দিলাম হাফেজ হতে, হয়ে গেল লাশ। আমি এই হত্যার বিচাই চাই।’

ঘটনার পর অভিযুক্ত মাদ্রাসার পরিচালক শিক্ষক হাফেজ সেলিম গাজী পলাতক রয়েছেন। তার মোবাইল বন্ধ থাকায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে তার বড় ভাই নাজিরপুর-তাতেঁরকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাবিব গাজী বলেন, ‘হ্যাঁ, এমন ঘটনা আমি শুনেছি। বর্তমানে তিনি (ভাই সেলিম গাজী) পলাতক আছেন। আমার ভাই ঠিক আছে, তবে আমরা আলাদা থাকছি।’

নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম মহসিন বলেন, ‘আমি এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জেনেছি। এ বিষয়ে সব প্রকার আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সূত্র : আমাদের সময়

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles