11.2 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪

বিষণ্ন ব্যক্তিকে যে ১০ কথা বলবেন না

বিষণ্ন ব্যক্তিকে যে ১০ কথা বলবেন না
প্রতীকী ছবি

বিষণ্নতা, হতাশা, অবসাদ। ডিপ্রেশনকে আমরা যেভাবেই সংজ্ঞায়িত করি না কেন, তা মূলত এক ধরনের মানসিক সমস্যা। তবে মানসিক সমস্যা হলেও সময়ের সঙ্গে এবং অবহেলার কারণে শাখা- প্রশাখা গজিয়ে শরীরেও বিস্তার করতে পারে এই ব্যাধি। তাই আপনার কোনো আপনজন যখন বিষণ্নতায় ভোগেন, তখন আপনি আপনার সবটা দিয়ে চেষ্টা করেন তাকে সাহায্য করতে, অনুপ্রাণিত করতে। কিন্তু আপনার সব পরামর্শই যে বিষণ্ন ব্যক্তি ইতিবাচকভাবে নিচ্ছে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। হয়তো আপনার পরামর্শ তার জন্য হিতে বিপরীত হচ্ছে।
বিষণ্ন ব্যক্তিকে যে ১০ কথা বলবেন না

আপনি যখন বিষণ্ন ব্যক্তির নিকট তার অবস্থার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছেন কিংবা তাকে উজ্জীবিত করতে চাইছেন তখন আপনার বলা কথাগুলো আপনার কাছে নিরীহ মনে হতে পারে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমরা অপর ব্যক্তিকে সান্ত্বনা দেয়ার সময় এমন কিছু কথা বলি বা বাক্য ব্যবহার করি যা তাদের আরও হতাশ করে তুলে। তাই বিষণ্নতায় ভুগছেন এমন কারও সঙ্গে কথা বলার সময় একটু সচেতন হতেই হবে।

- Advertisement -

বিষণ্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার সময় যে কথা বা বাক্যগুলো কখনোই বলবেন না–

ডিপ্রেশন জাস্ট একটা মিথ

ডিপ্রেশন বা হতাশা কখনোই মিথ বা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়ার জিনিস নয়। বিষণ্নতা গুরুতর এক মানসিক ও স্বাস্থ্য সমস্যা। সঠিক চিকিৎসা পেলে যা থেকে মুক্তিও পাওয়া যায়। তাই আপনার এমন মন্তব্য রোগীকে উৎসাহী নয় বরং সঠিক চিকিৎসা নিতে নিরুৎসাহিত করে তুলবে।

তোমাকে দেখতে সুস্থ লাগছে

অসুস্থ ব্যক্তিকে উজ্জীবিত করতে আমরা তাদের এরকম বলেই থাকি। কিন্তু আমাদের অভয় বার্তা আদতে হতাশাগ্রস্থ ব্যক্তিকে হতাশার আরও গভীরে নিয়ে যায়। তারা ভাবা শুরু করে, বাকিরা তাদেরকে বুঝতে পারছে না। ফলে সবার থেকে নিজেকে আড়াল করে নিতে চায়।

তুমি বেশি বেশি ভাবছ

অবসাদগ্রস্ত ব্যক্তির উৎকণ্ঠা তার নিজের কাছে যথেষ্ট যৌক্তিক। তাই এ রকম অযৌক্তিক কথা বলে তাকে আরও অসুস্থ করে তুলবেন না।

বিষণ্নতার কোনো চিকিৎসা নেই

হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তিকে কখনো এ কথা বলতে যাবেন না। চিকিৎসা অবশ্যই রয়েছে। এর পাশাপাশি প্রয়োজন ধৈর্যের। আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরাও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই তাদেরও সহিষ্ণু হতে হবে।

ডিপ্রেশন একরকম পাগলামি

সব মানসিক সমস্যাই পাগলামি নয়। কিংবা মানসিকভাবে কেউ অসুস্থ হলেই আমরা তাকে পাগল বলে চালিয়ে দিতে পারি না। এরূপ নেতিবাচক মন্তব্য বিষণ্ন ব্যক্তির মনোজগতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

দোষ তোমারই ছিল

আমরা অনেকসময় ভাবি সত্যকে মেনে নিলেই সব কিছুর সমাধান হবে। কিন্তু সব ক্ষেত্রে তা হয় না। বিষণ্ন ব্যক্তির ওপর দোষ চাপালে সে আরও বেশি ভেঙ্গে পড়বে।

শান্ত হও

উপদেশমূলক এই বাক্যটি আসলে স্ববিরোধী। তাই কাউকে শান্ত হতে বললে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়ে পড়ে। সেজন্য বিষণ্ন ব্যক্তিকে এই বাক্যটি বলা থেকে অবশ্যই বিরত থাকুন।

তুমি এমন আচরণ কেন করছো?

হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তিরা নিজেদের মানসিক পরিস্থিতি নিয়ে সবসময় বিচলিত থাকে। তাদের ওপর রাগ কিংবা অসংযত আচরণ করলে তারা আরও দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে পড়বে। তাই তাদেরকে এ ধননের কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।

নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখো

শারীরিক রোগ আমরা যতটা বুঝি, মানসিক রোগ নিয়ে আমরা ততটাই অজ্ঞ। তাই বিষণ্ন ব্যক্তি নিজেও এ রোগ নিয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সন্দিহান থাকেন। সে নিজেও বুঝে না তার কী করা উচিত। তাই অযথাই তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত না।

অপেক্ষা করো, সব ঠিক হয়ে যাবে

কথায় চিড়া না ভিজিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ান। মিথ্যা আশ্বাস ডিপ্রেশনের ওষুধ নয়; বরং বাস্তবতা মেনে তাকে এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিদিন একটু একটু করে তাকে সাহস দিন।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles