9.3 C
Toronto
সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪

নিরাপত্তা সতর্কতা উপেক্ষা করেছিল ওশানগেট?

নিরাপত্তা সতর্কতা উপেক্ষা করেছিল ওশানগেট?

ঐতিহাসিক সাগর-বিপর্যয়ের নিদর্শন দেখতে গিয়ে মহাসাগরের তলদেশে নিজেরাই প্রাণঘাতী বিপর্যয়ের শিকার হলেন সাবমেরিন টাইটানের পাঁচ আরোহী। আটলান্টিক মহাসাগরে ১১১ বছর আগে ডুবে যাওয়া টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ ঘুরে দেখতে গিয়ে সাবমেরিনটি পানির চাপে বিস্ফোরিত হয়েছে বলে প্রাথমিক বিবৃতিতে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড। যদিও ঠিক কীভাবে কী ঘটেছিল, সেই উত্তর পেতে আরও সময় লাগবে; এমনকি আদৌ সে উত্তর নিখুঁতভাবে অনুসন্ধান করা সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের পাশাপাশি আরও দুটি বিষয় এখন গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে : টাইটান কি সব ধরনের নিরাপত্তা পরীক্ষায় সফল ছিল এবং নিহতদের দেহ কী উদ্ধার করা সম্ভব হবে?

- Advertisement -

টাইটান সাবমেরিনের পাঁচ আরোহী হলেন : ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ধনকুবের শাহজাদা দাউদ (৪৮) ও তার ১৯ বছরের ছেলে সুলেমান দাউদ, ব্রিটিশ অভিযাত্রী হ্যামিশ হার্ডিং (৫৮), ফরাসি নৌবাহিনীর সাবেক ডুবুরি পল হেনরি নিরজিওলেট (৭৭) এবং টাইটানের

প্রধান নির্বাহী স্টকটন রাশ (৬১), যিনি এই ডুবোযানের চালক ছিলেন।

নিহতদের পরিবার ও স্বজনরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও শোক জানিয়েছে। পাশাপশি তারা আহ্বান জানিয়েছে, ঠিক কী হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখতে। এদিকে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের পরিবার ক্ষতিপূরণ পাবে কি না, তা নিয়েও আইনি জটিলতা রয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমুদ্রবিজ্ঞানী, নৌবিশারদ, ডুবোযান প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট গবেষকরা অভিযোগ তুলছেন, নিরাপত্তা ঝুঁকি বিষয়ক সব ধরনের পরীক্ষায় অবতীর্ণ না হয়েই টাইটান সাবমেরিনকে পর্যটন-অভিযানে নামিয়েছিল ওশানগেট। এমনকি সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর একাধিক নিরাপত্তা সতর্কতাকে উপেক্ষা করেছে সাবমেরিন প্রতিষ্ঠানটি।

মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ এলাকায় যাওয়া প্রথম ব্রিটিশ ডুবুরি ডিক বারটন সাবমেরিনটির গঠন নকশা ও এর পরিচালনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন; তারও সন্দেহ, অনেক নিরাপত্তা প্রশ্ন উপেক্ষা করে গেছে টাইটানের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওশানগেট।

তবে ওশানগেটের সহপ্রতিষ্ঠাতা, যিনি ১০ বছর আগে প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে দিয়েছেন, তিনি বিবিসিকে বলেছেন, সাবমেরিনটি সব ধরনের পরীক্ষা দিয়েই তবে অভিযানের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল।

কিন্তু ১৯৯৭ সালের টাইটানিক সিনেমার পরিচালক জেমস ক্যামেরন- যিনি নিজে ৩৩ বার টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়েছেন- তিনি দাবি করেছেন, নিরাপত্তা বিষয়টিকে অবহেলা না করলে এ রকম বিপর্যয়ের শিকার হতো না সাবমেরিন ও এর আরোহীরা।

১৯১২ সালে টাইটানিক তার প্রথম যাত্রায় ডুবে গিয়েছিল। ১৯৮৫ সালে এর ধ্বংসাবশেষ সাগরের তলদেশে শনাক্ত হয়। এর পর থেকে অনেক পেশাদার ডুবুরি ও হালে শৌখিন ধনকুবের পর্যকটরা ওই সাইটটি পরিদর্শন করেছেন।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles