আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়া ৪০ হাজার শরনার্থীকে পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কানাডা। এজন্য নারী নেত্রী, মানবাধিকার কর্মী ও নীপিড়নের শিকার সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ একটি কর্মসূচিও হাতে নিয়েছে তারা। আগস্টের শেষ পর্যন্ত কানাডিয়ান ও দোভাষী হিসেবে কাজ করা ৩ হাজার ৭০০ জনকে উদ্ধার করেছে কানাডা।
কানাডিয়ান সেনাবাহিনী ও বেসরকারি সংস্থাকে সহায়তাকারী অসংখ্য আফগান দেশ ছাড়ার অপেক্ষায় কাবুলের সেফ হাউজে অবস্থান করছেন। তবে তহবিল সংকটে এসব সেফ হাউজের কিছু আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
কানাডায় পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষায় আছে একটি সেফ হাউজের ১ হাজার ৭০০ আফগান, যেটি পরিচালনা করছে একটি সংস্থা। তারা বলছে, তাদের জন্য সময় ফুরিয়ে এসেছে। সরকারের সহায়তা না পেলে কিছু সেফ হাউজ বন্ধ করে দিতে হবে। কারণ, এগুলো চালিয়ে নেওয়ার মতো অর্থ তাদের হাতে নেই।
কানাডিয়ান সেনাবাহিনীকে সহায়তাকারী দোভাষী ও কানাডিয়ান বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে কাজ করা করা আফগানদের জন্য তৈরি এসব সেফ হাউজে অর্থের জোগান দিয়ে থাকেন ভেটেরান, দাতব্য সংস্থা ও ব্যক্তিগত অনুদানকারীরা। যেসব আফগান এরই মধ্যে কানাডায় প্রবেশের অনুমতি পেয়েছেন শিগগিরই তাদেরকে আশ্রয় দেওয়ার মতো যথেষ্ট তহবিল না থাকার কথা জানিয়ে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন শরনার্থীদের নিয়ে কাজ করা সংস্থা নর্দার্ন লাইটস কানাডার স্টিফেন ওয়াট।
আফগান ইন্টারপ্রেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক ওয়েন্ডি নূরী লং বলেন, সেফ হাউজগুলো চালু রাখতে কানাডিয়ান সরকারের কাছে তহবিল চাওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তা পাওয়া যায়নি।
অভিবাসন মন্ত্রী মার্কো মেন্ডিসিনোর একজন মুখপাত্র শুক্রবার বলেন, কানাডায় আফগান শরনার্থীদের নিয়ে আসতে এখনও নতুন উপায় খোঁজ অব্যাহত রেখেছে ফেডারেল সরকার।
সেফ হাউজ পরিচালনাকারী কানাডিয়ান বেসরকারি সংস্থার আমান লারা বলেন, উদ্ধার কার্যক্রম অত্যধিক ধীর গতির হওয়ায় সেফ হাউজগুলো খোলার রাখার মতো তহবিলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।